সম্প্রতি
ক্যান্সারের ওষুধ উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশী তরুণ বিজ্ঞানী আবু ছালেহ।
পেশায় বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ৪৭ বছর বয়সী আবু ছালেহ
বলেন, তার ওষুধ গ্রহণের ৭ হ’তে ১০ দিনেই এর কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া যায়
এবং ৪ হ’তে ৬ মাস নিয়মিত গ্রহণে ক্যান্সার সম্পূর্ণরূপে সেরে যায়। আর
টিউমারটি ধীরে ধীরে শরীরে মিলিয়ে যায়। ফলে আক্রান্ত স্থান আর কেটে ফেলতে হয়
না।
আবু ছালেহ বলেন, দেড় যুগেরও বেশী সময় গবেষণায় অ্যান্টি ক্যান্সার ওষুধটি উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছি। এ ওষুধটি মূলতঃ জিনগত অস্বাভাবিকতাকেই টার্গেট করে। ফলে সব ধরনের ক্যান্সারের ক্ষেত্রেই ওষুধটি কার্যকর। একটি মাত্র ওষুধের মাধ্যমে সব ধরনের ক্যান্সার নিরাময় হয় বলে এর সুবিধা অনেক। ইতিমধ্যে কয়েকজন ক্যান্সার রোগীর উপর ওষুধটি তিনি প্রয়োগ করেছেন এবং তারা সবাই সুস্থ হয়েছেন বলে দাবী করেন।
এসব রোগীদের মধ্যে একজন পাকস্থলীর ক্যান্সারে (অ্যাডিনোকারসিনোমা অব গ্রেড-থ্রি), একজন ব্রেস্ট ক্যান্সারে (ডাক্ট সেল কারসিনোমা অব গ্রেড-টু) এবং তৃতীয় রোগী রেক্টাম ক্যান্সারে (পেপিলারি অ্যাডিনোকারসিনোমা অব গ্রেড-ওয়ান) আক্রান্ত। পাকস্থলীর ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীটি তিন মাস ১২ দিনে শতভাগ ক্যান্সার মুক্ত হন। ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত চার মাস এবং রেক্টাম ক্যান্সার আক্রান্ত চার মাস পর সুস্থ জীবন যাপন করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি চাই এ ওষুধটির ওপর সরকারী পর্যায় থেকে আরো গবেষণা হোক এবং আধুনিক ডোজেজ পদ্ধতি বের করা হোক। উদ্ভাবক জানান, আবিষ্কৃত ওষুধটির কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে কি-না তারও পরীক্ষা-নীরিক্ষা সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে ইতিমধ্যে। সেখানে দেখা গেছে ওষুধটি সম্পূর্ণরূপে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ামুক্ত।
তিনি জানান, তার উদ্ভাবিত ক্যান্সার ওষুধটির মূল উপাদান সেপোনিন। সেপোনিন হ’ল প্রাকৃতিক গ্লাইকোসাইডস গ্রুপের একটি উপাদান। এটি প্রায় ১০০ প্রজাতির গাছের মধ্যে পাওয়া যায়। তবে মাত্র দুই প্রকার উপাদানে উচ্চ মাত্রায় এটি ক্যান্সার প্রপারটি রয়েছে। কিন্তু এই উপাদান দু’টোকে সরাসরি মানবদেহে প্রবেশ করানো যায় না- কয়েকটি ধাপে ফর্মুলেশানের মাধ্যমে একে মানবদেহের জন্য উপযোগী করা হ’লে তবেই এটি এন্টি টিউমার/এন্টি ক্যান্সার ঔষধ হিসাবে কাজ করে এবং আক্রান্ত ব্যক্তি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে।
আবু ছালেহ তার উদ্ভাবিত উপাদানগুলোকে প্রথমে বিভিন্নভাবে ইঁদুরের উপর প্রয়োগ করে আশানুরূপ ফলাফল পান। তারপর তা BCSIR (সাইন্সল্যাব)-এর ফার্মাকোলজী বিভাগে পাঠান ফাইনাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য। অতঃপর BCSIR কর্তৃক রিপোর্ট পাওয়ার পরই তা সরাসরি মানবদেহে প্রয়োগের জন্য উপযুক্ত বলে স্থির করেন। বিভিন্ন গ্রুপে চাকুরী করার পর বর্তমানে চাকরী থেকে ইস্তফা দিয়ে নিজস্ব গবেষণাগারে গবেষণারত আছেন তিনি।
[আমরা সর্বাগ্রে আল্লাহর শুকরিয়া জানাই এবং এই গবেষককে মুবারকবাদ জানাই। সেই সাথে সরকারকে তার সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহবান জানাই (স.স.)]