সব
অপারেটরে অভিন্ন কলরেট চালু করার কথা বলে মোবাইল ফোন গ্রাহকদের খরচ বাড়িয়ে
দিয়েছে সরকার। গত ১৩ই আগষ্ট মোবাইল ফোন অপারেটরদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে
কলরেট বাড়ানোর নির্দেশনা দেয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। নতুন নির্দেশনা
অনুযায়ী অননেটে (একই অপারেটরের নম্বরে) পূর্বের ২৫ পয়সা থেকে ২০ পয়সা
বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ৪৫ পয়সা। অন্যদিকে অফনেটে (ভিন্ন অপারেটরের নম্বরে)
কথা বলার জন্য ১৫ পয়সা কমিয়ে প্রতি মিনিট নির্ধারণ করা হয় ৪৫ পয়সা। এর আগে
একই অপারেটরে ফোন করলে এই চার্জ ছিল মিনিট প্রতি ২৫ পয়সা। আর অন্য
অপারেটরে সর্বনিম্ন কলচার্জ ছিল মিনিট প্রতি ৬০ পয়সা। আগে ১০ মিনিটের
টকটাইম কেনা যেত ৩ টাকা ৮৫ পয়সায়। কিন্তু ১৩ই আগস্টের পর থেকে তা কিনতে
হচ্ছে ৫ টাকা ৭০ পয়সায়। আগে অননেটে কথা বলার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন কলরেট ছিল
২৫ পয়সা। এখন একটি কলের সর্বনিম্ন চার্জ যদি ৪৫ পয়সা হয় তাহ’লে তা ভ্যাট,
সম্পূরক শুল্ক ও সারচার্জসহ গিয়ে দাঁড়ায় ৫৫ পয়সায়। বিটিআরসির এই
সিদ্ধান্তের ফলে অনেকে এখন মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে ইন্টারনেট কলের
মাধ্যমে কথা সেরে নিচ্ছেন। গ্রাহকরা প্রায় ৯০ শতাংশ ফোন কল করছেন
ইন্টারনেটের মাধ্যমে।
বিটিআরসির হিসাব মতে, গত জুন’১৮ পর্যন্ত দেশে সচল ফোন সংযোগ রয়েছে ১৫ কোটি নয় লাখ। এর মধ্যে গ্রামীণ ফোনের রয়েছে ছয় কোটি ৯২ লাখ, রবির চার কোটি ৪৭ লাখ, বাংলালিংকের তিন কোটি ৩৩ লাখ এবং টেলিটকের ৩৭ লাখ ৪৬ হাযার। মোবাইল ফোন অপারেটরদের কাছে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে গ্রামীণফোন থেকে ৯০ শতাংশ কল হয় অননেটে, ১০ শতাংশ কল অফনেটে হয়। অন্যদিকে, সরকারের মালিকানাধীন অপারেটর টেলিটকের ১০ শতাংশ কল অননেটে ও ৯০ শতাংশ কল অফনেটে হচ্ছে। রবি ও বাংলালিংকের অননেট-অফনেট কলের পরিমাণ ৭০ ও ৩০ শতাংশ।