রোহিঙ্গাদের
অসহায়ত্বের সুযোগ ভালোভাবে কাজে লাগাচ্ছে খ্রিষ্টান মিশনারী গ্রুপগুলো।
রোহিঙ্গাদের সাহায্যের নামে সহজেই চলছে তাদের ধর্মান্তরিত করার কাজ। কখনো
গোপনে আবার কখনো প্রকাশ্যে খ্রিষ্টান ধর্মে দীক্ষিত করার কাজটি করছে কয়েকটি
এনজিও। প্রাথমিক হিসাবে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত দু’হাযারের
বেশী রোহিঙ্গাকে প্রলুব্ধ করে খ্রিষ্টান বানানো হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের খ্রিষ্টান বানানোর কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছে ‘ঈসায়ী চার্চ বাংলাদেশ’ (আইসিবি) নামের একটি সংগঠন। এই সংগঠনের প্রায় ১৫ জন নেতা উখিয়া ও টেকনাফে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নগদ টাকা দেয়া ছাড়াও ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পাওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয়া হচ্ছে রোহিঙ্গাদের। কক্সবাজার শহরের কয়েকটি অভিজাত হোটেলে তারা অবস্থান করে মুসলমানদের খ্রিষ্টান বানানোর কাজ করে যাচ্ছেন। একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে রোহিঙ্গাদের প্রলুব্ধ করে খ্রিষ্টান বানানোর বিবরণ।
তথ্য মতে, খ্রিষ্টান বানানোর কাজে নিয়োজিত ‘আইসিবি’কে অর্থায়ন করছে নেদারল্যান্ডস ও আমেরিকাসহ কয়েকটি দেশ। এ সংগঠনটি ১১ থেকে ১৫ জন খৃষ্টান হওয়া রোহিঙ্গাকে বাছাই করেছে, যাদেরকে প্রতি মাসে পাঁচ হাযার টাকা করে দেয়া হয়। তাদেরকে প্রতি মাসে কক্সবাজার শহরের একটি ব্যাপ্টিস্ট চার্চে পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এই ১৫ জনকে সুপারভাইজ করেন কুতুপালং ব্লক বি-১ এ বসবাসরত জনৈক আবু তাহের (৪২)। ধর্মান্তরিত রোহিঙ্গাদের খ্রিষ্টান নাম দেয়া হ’লেও কৌশল হিসাবে মুসলিম নাম উচ্চারণ করা হয়ে থাকে।
এ কাজে নেতৃত্ব দেয়া এক রোহিঙ্গা নূরুল ইসলাম ফকীরের ছেলে এহসানুল্লাহ (৩৫) বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে কয়েক বছর আগে নরওয়ে পাড়ি দেয় এবং সেখান থেকে টাকা পাঠাতে থাকে ধর্মান্তরিত খ্রিষ্টান পরিবারগুলোর জন্য। তার পাঠানো টাকায় কুতুপালং অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরের বি ব্লকে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই স্কুলে বর্তমানে ৩০ জন ছাত্র আছে। নূরুল ইসলাম ফকীরের নেতৃত্বে প্রতি রোববার চলে প্রার্থনা কার্যক্রম। তথ্য মতে, এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫০ পরিবারকে খ্রিষ্টান বানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
[ইসলামী এনজিওগুলিকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। অন্যদিকে খ্রিষ্টান মিশনারীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। ইন্দোনিশয়ার পূর্ব তিমুর ও পৃথিবীর অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা থেকে কর্তৃপক্ষ শিক্ষা নিন। এদেরকে নিষিদ্ধ করুন! (স.স.)]