পৃথিবীতে যেসব
কারণে প্রাণের অস্তিত্ব আছে তার অন্যতম একটি হ’ল অক্সিজেন। বিজ্ঞানীরা
বলছেন, পৃথিবী থেকে দ্রুত কমে যাচ্ছে অক্সিজেন। এতে ওযনে হালকা হয়ে যাচ্ছে
পৃথিবী; যা রীতিমতো উদ্বেগজনক। পৃথিবী থেকে যে হারে অক্সিজেন কমছে সেই হারে
কিন্তু কার্বন ডাই-অক্সাইড কমছে না। আবার বাতাসের নাইট্রোজেন ও মিথেনও সেই
হারে কমছে না। বিজ্ঞানীদের ধারণা, বহু কোটি বছর আগে এই একই অবস্থা হয়েছিল
আমাদের সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশী মঙ্গল গ্রহের। ঠিক কি কারণে পৃথিবী থেকে এত
দ্রুত হারে অক্সিজেন কমে যাচ্ছে তা জানার চেষ্টা করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এ
লক্ষ্যে নরওয়ের উত্তর উপকূল থেকে সম্প্রতি পাঠানো হয় ভিশন্স-২ নামে একটি
অভিনব সাউন্ডিং রকেট। শুধু রকেট পাঠিয়েই তাদের কাজ শেষ করেননি বিজ্ঞানীরা।
একটি গবেষকদল পৌঁছে গিয়েছে নরওয়ের উত্তর উপকূলে। ঐ গবেষকদের এক সদস্য
বলছেন, অরোরা বোরিয়ালিসের সৌন্দর্য দেখতে আসিনি আমরা। পৃথিবীর বায়ুমন্ডল
পাতলা হয়ে যাওয়া, শ্বাসের বাতাস অক্সিজেনের মহাকাশে দ্রুত চলে যাওয়ার পিছনে
বড় ভূমিকা রয়েছে অরোরা বোরিয়ালিসের। আমরা সেটাই দেখতে এসেছি। পৃথিবীর
বায়ুমন্ডল উত্তরোত্তর পাতলা হয়ে যাওয়ার ধারণার কথা প্রথম বলেছিলেন স্যার
জেমস জিনস। তিনি বলেছিলেন, পৃথিবীর বায়ুমন্ডল এক দিন আমাদের ছেড়ে মহাকাশে
হারিয়ে যাবে। সেই দিন পৃথিবীরতে আর কোন বায়ুমন্ডল থাকবে না। ফলে বেঁচে
থাকার অন্যতম প্রধান উপকরণটি আর পাবে না এই নীলাভ গ্রহের জীবজগৎ। তবে সেটা
হতে সময় লাগবে আরও অন্তত ১০০ কোটি বছর। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখন বলছেন,
ঘটনাটি অত ধীরে ঘটছে না। অর্থাৎ দ্রুতই সেটা হতে পারে।
[অদূরদর্শী বিশ্বনেতাদের কারণেই দ্রুত পৃথিবীর ধ্বংস ঘনিয়ে আসছে। তাদেরকে থামাবে কে? ওরা তো কেবল নগদটাই চায়। আল্লাহ বলেন, ‘তারা ক্বিয়ামতকে দূরে মনে করে। অথচ আমরা নিকটে মনে করি’ (মা‘আরেজ ৭০/৬-৭)। বিশ্বনেতারা সাবধান হও (স.স.)]