একা বসে তাই ভাবি নিরালায় কেমনে সে কথা কই
বুক ফেটে যায় সেই বেদনায় ভাবিয়া ব্যাকুল হই।
সৃষ্টির সেরা এই মানুষেরা করে কেন অনাসৃষ্টি?
এই অবনীতে কিবা এলো নিতে সেই দিকে নেই দৃষ্টি।
অন্তর থাকিতে পারে না ভাবিতে কখনও অন্তর দিয়া
মানুষের যম নিষ্ঠুর নির্মম কঠিন পাষাণ হিয়া।
চক্ষু থাকিতে পায় না দেখিতে যেন সে অন্ধ সম
আত্মীয়-স্বজন কে তার আপন বন্ধু কে অনুপম?
কর্ণ থাকিতে পায় না শুনিতে যেন সে কর্ণহীন
চলে গতি ধির যেন সে বধির শুনে না আওয়াজ দ্বীন।
নেই জ্ঞান-হুঁশ যেন সে বেহুঁশ পশুর সমান দেখি
মানুষ হইয়া কেমন করিয়া চতুষ্পাদ সে একি?
পশুর সমান নেই তার মান নেইকো মূল্য কিছু
মানুষ হইয়া পশুর চাইতেও হইয়া গিয়াছে নীচু।
নিখিল ভূবন কে করে সৃজন কেবা সে মহান প্রভু?
কে করে পালন জীব অগণন ভাবিয়া দেখে না কভু।
আখেরী রাসূল নেই যাঁর তুল সকল নবীর সেরা
আল্লাহর বাণী পাইলেন জানি ধ্যানে বসে গারে হেরা।
সেই বাণীটারে জিন-ইনসানেরে অহী-র বিধান জেনে
সারাটা জীবন সদা-সর্বক্ষণ চলিতে হইবে মেনে।
শিক্ষার তরে মুখে অন্তরে রাখিতে হইবে ধরে
দিয়া কায় মন সদা-সর্বক্ষণ রাখিবে রপ্ত করে।
দু’নয়ন দিয়া পড়িয়া পড়িয়া জ্ঞান করি অর্জন
শয়নে-স্বপনে জীবনে-মরণে না করিবে বর্জন।
কান দিয়া শুনে পাক কালাম জেনে অতীব ভক্তি ভরে
করে যে পালন সারাটি জীবন আল্লাহর বিধান পরে।
সেই তো মানুষ আছে জ্ঞান-হুঁশ সৃষ্টির সেরা জীব
আখেরাতে তবে চির সুখে রবে হবে তার সুনছীব।
আর যারা কালামুল্লার মানে না হুকুম কিছু
মানুষই সে নয় স্রষ্টা যে কয় পশুর চাইতে নীচু।