লেখনী

শিহাবুদ্দীন আহমাদ

কালাইহাটা, গাবতলী, বগুড়া।

সৃষ্টি সূচনায় প্রতীতি বিকাশে

ভূমিকা রাখিল কলম,

কত আগে তা জানা সুকঠিন

মানব লয়নিত জনম।

স্রষ্টা সবের মহান দয়াময়

আরশে ছিলেন যবে,

মানব জাতির হয়নি সৃষ্টি

আসেনি তখনও ভবে\

আরশে আযীমে বসে একদা

পয়দা করিলেন লেখনী,

সৃষ্টিকুলের উত্থান-পতনে

ভাগ্য করিতে নির্ধারণী।

লওহে মাহফূযে লিখিতেছিল

ভাগ্যের পরিণাম ফলাফল,

তা হ’তেই তার চলিছে কর্ম

চলিবে তা চিরকাল\

সৃষ্টির সেরা মানব জাতির

ছিল না কোনই জ্ঞান,

স্রষ্টার বাণী মন্থনে হাছিল

করিয়া গভীর ধ্যান।

অমূল্য জ্ঞানের অনেক কিছুই

আসিয়াছে মসি হ’তে

জানা গিয়াছে তা নিশ্চিত করে

ঐশী বাণী মতে\

            ভাগ্যের সীমা লেখা রহিয়াছে

            অমূল্য লেখনী দ্বারা,

            কি কাজ করিবে কি ফল পাবে

ধরাধামে এসে তারা\

সেই ধারা হ’তে ধারাবাহিকতায়

ভূমিকা রাখিছে সেরা,

জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতি সাধন

তারই প্রস্রবণ দ্বারা\

            রচনা করিল ইতিহাসবেত্তা

            জগতের বিস্ময়কর ইতিহাস,

            ধরিয়া রাখিল ঘটিত বিবরণ

            উত্থান-পতন নাশ।

এখনও উন্নতির সেরা হাতিয়ার

সেই লেখনী ব্যবহৃত,

বিকল্প এর পাবে না কখনও

তৈরী হোক যন্ত্র যত\

            জীবন-সমাজ ঢেলে সাজাতে

            ধরিতে হইবে কলম,

            আহবান লেখনী ধরিবার তরে

            স্বার্থক করিতে জনম\

শেষ ঠিকানা

মুহাম্মাদ শামসুর রহমান

পাংশা, রাজবাড়ী।

জন্ম হ’লে মরতে হবে

শেষ ঠিকানা কবর,

এই দুনিয়ার রঙের মেলায়

কে রাখে তার খবর?

যাদের জন্য জীবন-যৌবন

বিলিয়ে দিলে পথে,

দম ফুরালে চিনতে চায় না

চায় না আপন হ’তে।

খাঁচা ছেড়ে পরাণ পাখি

উড়াল দেবে যেই,

ঠিক তখনই দেখবে তোমার

আপন কেহ নেই।

সাঙ্গ হবে চিরতরে

ভবের বেচা-কেনা

যেতে হবে পরপারে

সঙ্গী-সাথী বিনা।

যতই থাকুক অট্টালিকা

রাজ সিংহাসন,

সবকিছু রইবে পড়ে

ওরে অবুঝ মন।

ধনী-গরীব রাজা-প্রজা

এক কাতারে রবে,

শশ্মান কিংবা গোরস্থানে

শেষ ঠিকানা হবে\

***

বন্দেগী

মুহাম্মাদ আমজাদ হোসেন

নরদাশ, বাগমারা, রাজশাহী।

সুখের খবর দুঃখের খবর আনল বয়ে পাক কুরআন

নিদ্রা যেতে নিষেধ এলো বান্দা তা তুই সঠিক জান।

তোর মনিবের তরফ থেকে নির্দেশ এলো তোর তরে,

উঠ জেগে তুই জলদি করে গাফলতির এই ঘুম ছেড়ে।

এভাবে তুই তন্দ্রা বিভোর থাকবি কিরে জীবন ভর?

যা দ্বারা তুই আনবি টেনে আল্লাহর গযব মাথার পর।

মৃত্যুবরণ করার পরে সুখের নিদ্রা দীর্ঘ দিন,

কাটবে তোর নেক আমল দ্বারা দিলে-মনে কর একীন।

অলসভাবে গোনার মাঝে কাটাস যদি এ জীবন,

জ্বলবি তবে জাহান্নামে পর জীবনে অনুক্ষণ\

পড়বি যমদূতের হাতে তার থেকে তোর মুক্তি নেই,

বজ্রকঠোর দন্ড দিয়ে যানটি কবয করবে যেই।

তাই বলি তুই ঘুম ছেড়ে দে রাত জেগে কর বন্দেগী,

পড় ছালাত আল্লাহর কাছে চেয়ে সুখের যিন্দেগী।

যারা সুরার নেশায় বিভোর অবুঝ গাফিল দুনিয়াদার,

ঘুমের মাঝে তারাই থাকুক তাদের জীবন মিথ্যাসার\

***






আরও
আরও
.