বাংলাদেশসহ সারা দুনিয়ায় রয়েছে লাখ লাখ কুরআনের হাফেয। কিন্তু এ যুগে কোন দেশে বুখারী শরীফের হাফেয আছেন বলে জানা যায়নি। কিন্তু এই বিরল কাজটি করেছেন বাংলাদেশী হাফেয হাবীবুল্লাহ সিরাজী (২৪), মাত্র ৪২ দিনে। যিনি সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ থানার ইসলাম নগর-পাইকশা গ্রামের মৃত মাওলানা ইসমাঈল হোসেন সিরাজীর পুত্র। তিনি নরসিংদীর জামে‘আ কাসেমিয়া কামিল মাদরাসার একজন প্রাক্তন ছাত্র এবং বর্তমানে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত। তিনি আল-হাদীছ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের পুনরুক্তি সহ ছহীহুল বুখারীর ৭৫৬৩টি হাদীছ হিফয করার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন। তার এ অসামান্য কৃতিত্বের জন্য মাদরাসার তিনদিন ব্যাপী ৪২তম বার্ষিক ওয়ায মাহফিলের প্রথম দিনে নগদ এক লক্ষ টাকা পুরস্কার প্রদান করেন নরসিংদী সদর উপযেলা চেয়ারম্যান মনযূরে এলাহী। এর আগে তিনি বুলূগুল মারামের মোট ১৫৬৯টি হাদীছ ২৫ দিনে এবং রিয়াযুছ ছালেহীনের ১৮৯৬টি হাদীছ ২৯ দিনে মুখস্থ করে পুরস্কার লাভ করেন।
এ ব্যাপারে তিনি জানান, প্রবল সংকল্প থাকলে কারু পক্ষে কোন কিছুই অসম্ভব নয়। আল্লাহ মানুষকে অনেক মেধা দিয়ে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। কিন্তু আমাদের ইচ্ছা আর ধৈর্য শক্তিকে ঠিকমত কাজে না লাগানোর কারণে অনেক কিছুই পারি না।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রথমে জামে‘আ কাসেমিয়া নরসিংদীর উস্তাদ মাওলানা রফীউদ্দীন ও মাওলানা খুরশিদ আলম আমার উৎসাহদাতা। পরে কুষ্টিয়া ইসলামিক ইউনিভার্সিটির হাদীছ বিভাগের উস্তাদ মরহূম ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যার আমাকে বিশেষ উৎসাহ প্রদান করেছেন।
[আমরা এই বিরল প্রতিভাকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি আখেরী যামানায় এরূপ অনন্য স্মৃতিধর মুমিন বান্দা সৃষ্টি করার জন্য। তরুণ এই হাফেযের প্রতি আমাদের উপদেশ, বুখারী শরীফের প্রথম হাদীছ অনুযায়ী নিয়ত পরিশুদ্ধ করুন এবং শেষ হাদীছ অনুযায়ী ছহীহ সুন্নাহ অনুযায়ী আমলের মাধ্যমে আখেরাতে মীযানের পাল্লা ভারী করার চেষ্টা করুন। সেই সাথে বিপরীত মুখী পরিবেশের বিরুদ্ধে দৃঢ়চিত্ত থাকার জন্য আল্লাহর সাহায্য কামনা করুন! এই সঙ্গে আমরা আশা করছি আপনি কুতুবে সিত্তাহর বাকী পাঁচটি হাদীছ গ্রন্থ হেফয করতে পারবেন। আল্লাহ আপনাকে তাওফীক দিন এবং আপনার মাধ্যমে দেশের ও উম্মাহর মর্যাদা বৃদ্ধি করুন- আমীন (স.স.)]