ছাঁটাই করতে গিয়ে দেশে প্রতি বছর ১৬ লাখ টন চাউল নষ্ট হচ্ছে। এ কাজ বন্ধ হ’লে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হ’ত না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। গত ১৪ই ডিসেম্বরে এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বছরে চার কোটি টন ধান ক্রাসিং হয়। রাইস মিল মালিকদের হিসাবে, চাউল চিকন করতে গিয়ে ৪-৫ শতাংশ উধাও হয়ে যায়। সে হিসাবে বছরে ১৬ লাখ টন চাল নষ্ট হয়ে যায়। তিনি বলেন, দেশের মিল মালিকরা ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী চিকন চাউল বাজারে সরবরাহ করে থাকে। কারণ গ্রাহকরা জিংক চালের জন্য উৎসাহ দেখান না এবং কৃষকরাও এই ধান চাষ করতে আগ্রহী হন না। কারণ জিংকসমৃদ্ধ ধানের চাল একটু মোটা হয়ে থাকে। গ্রাহক চিকন আর চকচকে চাল পসন্দ করে। সাধারণ চালেও পুষ্টি থাকে, তবে চাল চিকন করতে গিয়ে পুষ্টির অংশ ছেঁটে ফেলা হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, আজ আমরা রাসায়নিকভাবে তৈরী করা জিংক খাচ্ছি। কিন্তু ভাতের মাধ্যমে যে এই উপাদানটি আমরা প্রাকৃতিকভাবে পেতে পারি, তা জানি না। তিনি বলেন, বায়ো ফর্টিফায়েড জিংক রাইসের মাধ্যমে দেশের মানুষের জিংকের ঘাটতি পূরণ সম্ভব। পুষ্টিহীনতা দূর করতে কৃষকদের জিংক সমৃদ্ধ ধানের আবাদ বাড়াতে হবে। আর জিংক সমৃদ্ধ চাউলে ভোক্তাকে আকৃষ্ট করতে গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে।







আরও
আরও
.