চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে মুসলিমদের ঘরে থাকা কুরআন ও মুছল্লা (জায়নামায), তাসবীহ সহ সব ধর্মীয় সামগ্রী সরকারের কাছে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যথাসময়ে নির্দেশ পালন না করলে শাস্তি দেয়ারও ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। জিনজিয়াংয়ের এক নির্বাসিত মুসলিম জানিয়েছেন, প্রদেশটির উইঘুর মুসলিমদের জন্য ধর্মীয় সামগ্রী সরকারের কাছে হস্তান্তর করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ। এর ব্যত্যয় হ’লে দেয়া হবে কঠোর শাস্তি।
দিলজাত রাজিত নামে নির্বাসিত উইঘুর মুসলিমদের সংগঠন ওয়ার্ল্ড উইঘুর কংগ্রেসের ঐ নেতা রেডিও ফ্রি এশিয়াকে বলেন, আমরা এমন একটি নোটিশ পেয়েছি যাতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক মুসলিমের ঘরে থাকা ধর্মীয় সামগ্রী অবশ্যই কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে। ঐ অঞ্চলের জাতিগত কাজাখ ও কিরগিজ মুসলিমদেরও একই নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রেডিও চ্যানেলটি। চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইচ্যাটের মাধ্যমে সরকারের এই নির্দেশনা প্রচার করা হয়েছে।
এদিকে চীনা কর্তৃপক্ষের এই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সেনেগালের জাতীয় দলের তারকা ফুটবলার ডেম্বা বা টুইটারে দারুণ এক জবাব দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘যদি তারা জানত যে, মুসলিমরা মেঝেতেই ছালাত পড়তে পারে এবং লাখ লাখ মুসলিম কুরআন না খুলেই মুখস্থ পড়তে পারে, তাহ’লে সম্ভবত তারা (চীন) তাদেরকে (মুসলিম) হৃৎপিন্ড খুলে তাদের কাছে হস্তান্তর করার আদেশ দিত।
[নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো ক্ষমতাধারী এই দেশটিতে অন্যদের নিরাপত্তা থাকলেও ইসলামের নিরাপত্তা নেই। ইনশাআল্লাহ তাদের এই যুলুম একদিন শাপে বর হবে এবং সমগ্র চীন ইসলামের শান্তিময় আদর্শের দিকে ফিরে আসবে (স.স.)]