
বিধ্বংসী
ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলার ক্ষত শুকাতে না শুকাতেই উপকূল জুড়ে আবার ব্যাপক
তান্ডব চালাল সুপার সাইক্লোন আম্ফান। গত ২০ শে মে বুধবার সন্ধ্যায় প্রবল
গতিতে সুন্দরবন উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়টি। এটি ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫
কিলোমিটার গতিবেগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এবং ১৫১ কিলোমিটার গতিবেগে
বাংলাদেশের সাতক্ষীরা অঞ্চলে আঘাত করে। অঞ্চলভেদে ৮ থেকে ১৫ ঘন্টা ব্যাপী
চলে এর তান্ডব। এ সময় দেশের ৯টি যেলায় গাছ ভেঙে, দেওয়াল চাপা পড়ে এবং
পানিতে ডুবে কমপক্ষে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে লাখ লাখ ঘরবাড়ি ও
গাছপালা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পৌনে ২ লাখ হেক্টর জমির ফসল। ভেসে গেছে
চিংড়িসহ অন্যান্য মাছের কমবেশী ৭০ হাযার ঘের। ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছে সাতক্ষীরা যেলা। সেখানকার চার উপযেলার কমপক্ষে ২৩টি স্থানে বেড়িবাঁধ
ভেঙে বহু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া মোট ১৩টি যেলায় ৮৪টি পয়েন্টে
প্রায় সাড়ে ৭ কিলোমিটার বাঁধ ভেঙেছে। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে সাতক্ষীরার
নিম্নাঞ্চলের দুর্ভোগ অব্যাহত রয়েছে।
তবে আম্ফানের গতিবেগ ৭০ কিলোমিটার কমিয়েছে সুন্দরবন। এছাড়া এর কারণে জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতাও ৩ থেকে ৪ ফুট কমেছে। ফলে এই ঝড়ে যে পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে তার চেয়ে আরও অনেক বেশী ক্ষতির হাত থেকে উপকূলের মানুষ ও সম্পদ রক্ষা পেয়েছে সুন্দরবনের কল্যাণে। সুন্দরবন তাই উপকূলীয় রক্ষা প্রাচীর হিসাবে কাজ করেছে।
[এই মহাদুর্যোগে আমরা সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানাই এবং সুন্দরবন বিধ্বংসী প্রস্তাবিত রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জাআচ্ছি (স.স.)]