শীতে ব্যথা বাড়লে করণীয়

শীতের তীব্রতায় বাতব্যথার রোগীদের কষ্ট বাড়ে। তবে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারায় পরিবর্তন আনলে এবং কিছু নিয়ম মেনে চললে ভাল থাকা যায়। চারদিকে সাধারণত ঘাড়, কোমর, বাহুর সংযোগ, হাঁটুব্যথার রোগীই বেশী। এ ধরনের ব্যথার ৯০ শতাংশ হয় মেকানিক্যাল সমস্যার কারণে। অর্থাৎ মেরুদন্ডের মাংসপেশি, লিগামেন্ট মচকানো বা আংশিক ছিঁড়ে যাওয়া, দুই কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক সমস্যা, কশেরুকার অবস্থানের পরিবর্তন ইত্যাদি। অন্যান্য কারণের মধ্যে বয়সজনিত হাড়জোড় ক্ষয় বা বৃদ্ধি, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, গেঁটেবাত, অর্স্টিআর্থ্রাইটিস, অস্টিওপোরোসিস, এনকাইলজিং স্পন্ডাইলাইটিস, বার্সাইটিস, টেন্ডিনাইটিস, স্নায়ুবিক রোগ, টিউমার, ক্যান্সার, মাংসপেশির রোগ, অপুষ্টিজনিত সমস্যা, অতিরিক্ত ওযন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। শীতে এসব সমস্যায় ব্যথা আরও তীব্র হয় এবং রোগী ক্রমে কর্মহীন হয়ে পড়ে। সুতরাং শীতে ব্যথা বাড়লে কিছু নিয়ম মেনে চলা ভাল। সেগুলো হ’ল।-

১. ব্যথা বেশী হ’লে সাত দিন সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকুন।

২. ঠান্ডা পড়লেও নিয়মিত ব্যায়াম করুন। তবে ব্যথা বেড়ে গেলে ব্যায়াম বন্ধ রাখুন। ব্যথার জায়গায় ১০-১৫ মিনিট গরম বা ঠান্ডা সেঁক দিন।

৩. বিছানায় শোয়া ও ওঠার সময় যেকোন একদিকে কাত হয়ে হাতের ওপর ভর দিয়ে শোয়া ও ওঠার অভ্যাস করুন।

৪. চেয়ারে বসার সময় পিঠে সাপোর্ট দিয়ে মেরুদন্ড সোজা করে বসুন।

৫. দাঁড়িয়ে বা চেয়ারে বসে রান্না করুন।

৬. শরীরের ওযন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

৭. সিঁড়িতে ওঠার সময় হাতল ধরে ধীরে ধীরে উঠুন। ঝরনায় বা চেয়ারে বসে গোসল করুন।

৮. ঘুমানোর সময় মধ্যম আকারের বালিশ বা সার্জিক্যাল পিলো ব্যবহার করুন।

৯. বাইরে চলাফেরার সময় কোমরে বেল্ট ব্যবহার করুন। ঘুমানো ও ব্যায়ামের সময় বেল্ট খুলে রাখুন।

১০. উঁচু কমোড ব্যবহার করা ভাল।

যা করা যাবে না

ঘাড় নিচু করে কোন কাজ করা যাবে না। কোন ধরনের মালিশ করবেন না। দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে বা দাঁড়িয়ে থাকবেন না। এক ঘণ্টা পরপর অবস্থান বদলান। হোন্ডা বা মোটরবাইকে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকবেন না। হাইহিল জুতা ব্যবহার করবেন না। ফোমের নয়, শক্ত ও সমান বিছানায় শোয়ার অভ্যাস করুন। ভারী বোঝা বহন করবেন না। করলেও সমান্তরালে রাখুন। পেট ভরে খাবেন না। প্রয়োজনে অল্প অল্প করে বার বার খান। [সংকলিত]







আরও
আরও
.