খাবার খাওয়ার পর অনেকেরই আলসেমি পায়। বিশেষ করে রাতে খাদ্যগ্রহণ শেষে অনেকেই শুয়ে পড়েন। কিন্তু খাওয়ার পর খানিকটা হাঁটাহাঁটি করা ভালো অভ্যাস। কাজটা কষ্টকর মনে হ’লেও এর উপকারিতাগুলো জানা থাকলে দারুণ অভ্যাসটি গড়ে তুলতে উৎসাহ পাবেন। যদি তিনবেলা খাবার খাওয়ার পর আপনি ১০ মিনিট হাঁটেন, তাহ’লে রোজ আধা ঘণ্টা হাঁটার সুফল মিলবে।

খাওয়ার পরপরই শোবেন না : খাওয়াদাওয়া মানেই ক্যালরি গ্রহণ। খাওয়া সেরেই যদি শুয়ে পড়েন, তাহ’লে শরীরের বিপাকহার কমে যাবে। তার মানে পর্যাপ্ত ক্যালরি খরচ হবে না। তাছাড়া হজমপ্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্ত হ’তে পারে। তাই খাওয়ার পর শোবেন না। বরং বিপাকহার বাড়াতে খাওয়ার পর হাঁটুন। এভাবে হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে আপনার পক্ষে ওযন কমানোও সহজ হবে।

শুরুটা হোক ‘শুরু’ থেকেই : খাবার খাওয়া শুরুর আগেই সংকল্প করুন, খাওয়ার পর অবশ্যই হাঁটবেন। খেতে বসেও খেয়াল রাখুন, যাতে একেবারে ভরপেট খাওয়া না হয়ে যায়। কারণ ভরপেট খাবার খেলে আপনি হাঁটতেও অস্বস্তি অনুভব করবেন। তবে খাওয়ার পর হাঁটার অভ্যাস না থাকলে আপনাকে ধীরে ধীরে অভ্যাসটা গড়ে তুলতে হবে। শুরুতেই ১০ মিনিট হাঁটতে অসুবিধা মনে করলে আরও কম সময় হাঁটুন। ধীরে ধীরে সময় বাড়িয়ে নিন।

খাওয়ার পর যেভাবে হাঁটবেন : খাওয়ার পর আপনি খুব দ্রুত হাঁটতে পারবেন না। একটু ধীর বা মাঝারি গতিতে হাঁটুন। বারান্দায়, করিডোরে কিংবা ঘরেও হাঁটতে পারেন খাওয়ার পর। পরিবারের অন্যদের সঙ্গে নিয়েও হাঁটতে পারেন এই সময়। সুঅভ্যাস গড়ে তুলুন সবার মধ্যেই।

আরও যত উপকার : খাওয়ার পর হাঁটলে খাবার হজম হয় ঠিকঠাক। রক্তচাপ ও রক্তের সুগার থাকে নিয়ন্ত্রণে। রক্তে খারাপ চর্বির পরিমাণও কমে যায়। হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে, তাছাড়া এভাবে হাঁটলে আপনার ঘুমও ভালো হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে, খাওয়ার পর হাঁটলে কারও কারও বদহজম হ’তে পারে। তাঁদের খাওয়ার পর অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে এরপর হাঁটতে হবে। আর এই হাঁটার গতিও রাখতে হবে ধীর। খাওয়ার পরিমাণটা যাতে বেশী না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখা আবশ্যক।

\ সংকলিত \






আরও
আরও
.