শীতে ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি আর নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া খুবই সাধারণ বিষয়। যাদের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা আছে তারা বেশী ভুক্তভোগী। নাক বন্ধ হ’লে দ্রুত পরিত্রাণের জন্য অনেকে নোজল ড্রপ বা ওষুধের সাহায্য নেন। তবে এক্ষেত্রে ঘরোয়া কিছু সমাধান উপকারী ভূমিকা পালন করে। এ বিষয়ে নিম্নে আলোকপাত করা হ’ল-
কেন নাক বন্ধ হয়?
নাসাপথের ঝিল্লিগুলোর প্রদাহ বা অস্ব^স্তির ফলে নাকে যে গুমোটভাব তৈরি হয়, তাকে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া বলা হয়। নাকের রক্তবাহগুলো ফুলে গেলেও নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সাধারণত ঠান্ডা লাগা, অ্যালার্জি অথবা সাইনাসের সংক্রমণের সঙ্গে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি সম্পৃক্ত।
ঘরোয়া চিকিৎসা
১. একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে তাতে একটি মাইক্রোফাইবার তোয়ালে বা রুমাল ডুবিয়ে ভাল করে চিপে নিতে হবে। অতঃপর রুমাল নাকে-মুখে দিয়ে রাখুন ৫-১০ মিনিট। এ প্রক্রিয়া ৩-৪ বার করুন। বন্ধ নাক খুলে যাবে।
২. গরম পানিতে এক চা-চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করুন। এই পানীয় দিনে দু’বার পান করবেন। ভিনেগারে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড এবং পটাশিয়াম বন্ধ নাক খুলতে, বুকের কফ অপসারণ এবং ভাইরাস দূর করতে সাহায্য করে।
৩. একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে তাতে কিছু পুদিনাপাতা দিন। এবার পাত্রটি কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন। তারপর কম আঁচে ৫-১০ মিনিট সেদ্ধ পানিটা গরম করে নিন। এই পানীয় দিনে দু’বার চায়ের মতো পান করুন। পুদিনার পানীয় বুকের প্রদাহ কমায় ও বন্ধ থাকা নাক খুলতে সাহায্য করে।
৪. এক লিটার পানি ভালভাবে ফুটিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপ্টাস তেল দিন। এবার তোয়ালে দিয়ে মুখ ঢেকে ভাপ নিন। এটা করলে কয়েক মিনিটের মধ্যে নাকের বন্ধভাব খুলে যাবে। সঙ্গে মাথাব্যথা থাকলে সেটাও কিছুটা উপশম হবে।
৫. এক গ্লাস পানিতে আধা চা-চামচ লবণ দিন। এবার নাক দিয়ে এ পানি টেনে ভেতরে নিন। চাইলে দিনে দুই থেকে তিনবার এটা করতে পারেন। ড্রপের সাহায্যে নাকেও দিতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে দুই থেকে তিন ফোঁটার বেশী নয়।
৬. বন্ধ নাক খুলতে ভাল কাজ করে গোলমরিচ। হাতের তালুতে অল্প একটু গোলমরিচ গুঁড়া নিয়ে সামান্য শর্ষের তেল দিন। আঙ্গুলে লাগিয়ে নাকের কাছে ধরুন। হাঁচি হবে এবং সেই সঙ্গে নাক ও মাথার জমাটভাবও কেটে যাবে।
৭. এক কাপ টমেটোর রস, এক টেবিল চামচ রসুনকুচি, এক টেবিল চামচ লেবুর রস, ঝাল সস ও এক চিমটি লবণ মিশিয়ে নিন। এ মিশ্রণ দিনে দু’বার খান। ঠান্ডা, কাশি ও নাক বন্ধভাব দ্রুতই কেটে যাবে।