বিশ্বজুড়ে যেসব পানীয় জনপ্রিয়, তার অন্যতম চা। ছোট-বড় সবার কমবেশি পসন্দের পানীয় এটি। বিশ্বজুড়ে নানা রকম চা উৎপাদিত হয়। বিভিন্ন উপায়ে চা প্রক্রিয়াকরণ করা হয়, যার ওপর নির্ভর করে এর গুণাগুণ। শীতের সকালে দুধ চা দিয়ে অনেকের দিনের শুরু হয়। বেশী করে দুধ ও চিনি দেওয়া চা না খেলে যেন দিনই ভালো কাটবে না। কিন্তু এই অভ্যাসের পেছনে যে ক্ষতি আছে এ কথা অনেকেই জানেন না। তাই জড়তা কাটাতে চাইলে দুধ চায়ের বিকল্প পানীয় বেছে নিতে পারেন।

রং চা : রং চা বা লাল চা খেলে শরীর আর্দ্র থাকে। লাল চায়ের মাধ্যমে প্রচুর উপকারী রাসায়নিক উপাদান শরীরে প্রবেশ করে। এসকল উপাদান শরীরে বিভিন্ন উপকার করে থাকে। ফলে হাড় সতেজ থাকে, মন ভালো থাকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শরীরের তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে অনেকেই এন্টি অক্সিডেন্টের জন্যে গ্রিন টি-এর শরণাপন্ন হন। গ্রিন টি এর মধ্যে প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট আছে। কিন্তু লাল চা কোন অংশেই কম নয়। বিশেষত নিয়মিত লাল চা পান করলে কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস এবং প্রেসারের রোগীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটুকু হ্রাস পায়।

পুদিনা চা : নিয়মিত চায়ে খেতে পারেন পুদিনার চা। এতে পেটের অনেক সমস্যাই কমে যাবে। দূর হবে ক্লান্তি ও মাথা ব্যথা। পানি গরম করে তাতে কুচি কুচি করে কয়েকটা পুদিনা পাতা কেটে মিনিট ১৫ ঢাকনা দিয়ে রাখুন। এই চা খেলে নিমেষেই দূর হয়ে যাবে যে কোনও শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি।

দারুচিনি চা : অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে খেতে পারেন দারুচিনি চা। পানি গরম করে দারুচিনি গুঁড়ো, লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে নিন। তারপর তা ছেঁকে নিন। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা বিভিন্ন রোগ থেকে শরীরকে বাঁচাতে সহায়তা করে।

তুলসি চা : সর্দি, কাশি, জ্বরে ভুগে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাও বিগড়ে যায়। তবে শরীরকে যদি এসবের মধ্যে থেকে দূরে রাখতে চান তাহ’লে তুলসি পাতা খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যাডাপটোজেনিক ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের প্রভাব। একটি পাত্রে পানি গরম করে তাতে তুলসী পাতা ফুটিয়ে নিন। তারপর মধু ও লেবু মিশিয়ে নিলেই তৈরি তুলসি চা। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে নিয়মিত তুলসি চা খান, এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।






বিষয়সমূহ: চিকিৎসা
আরও
আরও
.