বার্গার, স্যান্ডউইচ, পেস্ট্রি, কেক, বিস্কুট, শিঙ্গাড়া, সমুচাসহ মুখরোচক সব খাবার ফাস্টফুড নামে পরিচিত। চটজলদি খিদে মেটালেও এসব খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই তথ্য সবার জানা। তবে মুখরোচক ফাস্টফুড ঠিক কতটুকু ক্ষতিকর এই তথ্য অনেক সময় আমাদের মাথায় থাকে না। ওযন বাড়ার সমস্যা, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, পেটের সমস্যাসহ নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরির প্রধান কারণ ফাস্টফুড ও কোমল পানীয়তে আসক্তি। পাশ্চাত্যের বহু দেশে মুটিয়ে যাওয়া বা ওবিসিটি রোগ এখন মহামারি আকারে রূপ নিয়েছে। আর এর জন্য ফাস্টফুডকে দায়ী করছেন পুষ্টিবিদরা।

ফাস্টফুডে থাকা চর্বি রক্তে কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিয়ে ধমনিতে ব্লক সৃষ্টি করে। পাশাপাশি উচ্চমাত্রার লবণ, টেস্টিং সল্ট বা মনো সোডিয়াম গ্লুটামেট ও কৃত্রিম রং থাকায় ফাস্টফুড উচ্চ রক্তচাপ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি করে। সমান ঝুঁকি থাকে ডুবো তেলে ভাজা ফাস্টফুডেও।

এতে ফাইবার বা আঁশ থাকে না বলে শরীরে ক্ষতিকর মুক্তকণিকা বাড়িয়ে দেয়। অপরদিকে শাকসবজি বা ফুল জাতীয় আঁশযুক্ত খাবারে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীর থেকে মুক্তকণিকা দূর করে।

ফাস্টফুডের আরও একটি বিপদ হ’ল, এ থেকে নানা ধরনের পেটের রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। অধিকাংশ ফাস্টফুডে ক্ষতিকর রং ও প্রিজারভেটিভ থাকে।

আসুন, দেখে নেওয়া যাক ফাস্টফুডের সঙ্গে কী ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক জমা হচ্ছে আমাদের শরীরে।

১. টারট্রাজিন : হলুদ রঙের এই রাসায়নিক থাকে কোল্ড ড্রিংকস, কেক, বিস্কুট, পুডিং, সস ও গোশতের খাবারে। এর প্রভাবে শিশুদের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দেয়। শ্বাসকষ্ট হ’তে পারে। যাঁরা নিয়মিত অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ খান তাঁদের মাথা ঘোরা, মাথা ধরা ও অ্যালার্জির সমস্যা হ’তে পারে।

২. সানসেট ইয়েলো : বহুল ব্যবহৃত হলুদ রঙের এই প্রিজারভেটিভ চকলেট, অরেঞ্জ ড্রিংকস, স্যুপ ও বিস্কুটে ব্যবহার করা হয়। এর প্রভাবে শিশুদের অস্থিরতা, শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি দেখা দেয়।

৩. ইনডিগো কারমিন : নীল রঙের এই রাসায়নিক নানা রকম গোশতের খাবারে ব্যবহার হয়। এর প্রভাবে শ্বাসকষ্ট ও অ্যালার্জি দেখা দেয়।

৪. কার্বন ব্ল্যাক : কালো রঙের এই রাসায়নিক জুস, জ্যাম, জেলি, বাদামি সসে ব্যবহার করা হয়। এর প্রভাবে অ্যালার্জি হ’তে পারে।

৫. বেনজোয়িক অ্যাসিড : টিনের ফল, আচার, টিনের মাছ প্রভৃতি সংরক্ষণে ব্যবহার করা হয়। এর প্রভাবে হাঁপানি, অ্যালার্জি এবং ক্যান্সার হ’তে পারে।

এসব রাসায়নিক যকৃতেরও ক্ষতি করে। ক্যান্সার সৃষ্টির কারণও এসব উপাদান।

তাই ফাস্টফুড না খেয়ে রান্না খাবার যেমন ভাত, রুটি, ডাল, তরকারি, মাছ, বাদাম, শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। পাশাপাশি টক দই, সালাদ ও ফল খেতে হবে। ৪০ বছর বয়স পার হ’লে ডিম, গোশত, মাখন, ঘি, মিষ্টি খাওয়া কমিয়ে দিন।

\ সংকলিত \






ফল ও সবজিতে রাসায়নিক পদার্থ : করণীয় কি?
সকালের নাশতায় ফল খাওয়ার সুফল
লাল না সাদা ডিম; মুরগী, হাঁস না কোয়েলের ডিম? কোন্টির পুষ্টিগুণ বেশী?
চিয়া সিড খাওয়ার দারুণ কিছু উপকারিতা
সাপে কাটলে ভুলেও প্রচলিত এই ভুলগুলো করবেন না
ঘরে অ্যারোসল বা কীটনাশক ব্যবহারের সময় যেসব সতর্কতা অবলম্বন করা যরূরী
খাওয়ার পর মাত্র ১০ মিনিট হাঁটলেই যে সুফল পাবেন - আত-তাহরীক ডেস্ক
মেথির বিস্ময়কর উপকারিতা
এলার্জি ও এজমা রোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ - ডা. মহিদুল হাসান মা‘রূফ
তীব্র গরমে স্বাস্থ্য সতর্কতা - ডা. মেহেদী হাসান মনিম
সর্দিতে নাক বন্ধ হ’লে ঘরোয়া চিকিৎসা
সন্ধ্যা ৭-টার মধ্যে রাতের খাবার খাবেন যে কারণে
আরও
আরও
.