বাংলাদেশে
প্রতি তিনজনে একজন লিভার (যকৃত সংক্রান্ত) রোগে ভুগছেন। পাঁচ কোটি মানুষ
কোন না কোন ধরনের লিভার জটিলতায় আক্রান্ত। এত বেশী মানুষ লিভারের সমস্যায়
ভুগলেও দেশে মাত্র ১০০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। একজন মাত্র বিশেষজ্ঞ
চিকিৎসক পাঁচ লাখ লিভার সংক্রান্ত রোগীকে সেবা দিচ্ছেন। লিভার বিশেষজ্ঞরা
বলছেন, বাংলাদেশে লিভার রোগে বেশ পরিবর্তন এসেছে। হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের
প্রাদুর্ভাব কমে যাচ্ছে। একই সাথে শারীরিক পরিশ্রম কমে যাওয়ায় এবং
অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে মানুষ মুটিয়ে যাচ্ছে। ফলে লিভারে অনেক চর্বি জমছে।
এখন ফ্যাটি লিভারই বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিচ্ছে। তারা বলছেন, লিভার সিরোসিস
হ’লে প্রতিস্থাপনই শেষ ভরসা। বাংলাদেশে নতুন বছরে প্রতিস্থাপন শুরু হ’তে
পারে। গত ২৯শে নভেম্বর বৃহস্পতিবার হেপাটোলজি সোসাইটি আয়োজিত পঞ্চম
আন্তর্জাতিক সম্মেলনে লিভার বিশেষজ্ঞরা এসব তথ্য দেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত ৮৫ লাখ মানুষ, সি ভাইরাসে আক্রান্ত ১৫ লাখ মানুষ। ১৯৮০ সালের দিকে বাংলাদেশের ৭ শতাংশ মানুষ বি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। বর্তমানে এটি কমে ৪ শতাংশে নেমেছে। হেপাটাইটিস ভাইরাস কর্মক্ষম মানুষকে বেশী আক্রান্ত করছে এবং তাদের দীর্ঘ মেয়াদে কর্মহীন করে দিচ্ছে। তারা জানান, বাংলাদেশে এপ্রিল থেকে জুলাই মাসের মধ্যে বৃষ্টির সময় জন্ডিসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে। কারণ এ সময় বৃষ্টির পানি উপচে স্যুয়ারেজের পানির সাথে মিশে গিয়ে খাবার পানিকে দূষিত করে।