কক্সবাজার যেলার নাফ নদীরটির ওপার মিয়ানমার

বৌদ্ধদেরই রাষ্ট্র ওটা পরিচয় যে তার।

সেই দেশেরই প্রদেশ একটা নাম রাখাইন

যার অধিকাংশ অধিবাসী রোহিঙ্গা মুসলিম।

বেশীর ভাগই বৌদ্ধ ধর্মের, সেনা শ্বাসিত দেশ

স্বাধীন কেহ নেই যে সেথায় দুঃখের নাহি শেষ।

চলার বলার লেখার কিছু নেই যে স্বাধীনতা

শিকল পরা সব জাতীর পায়ে নিদারুণ অধীনতা।

যুগ যুগ ধরে নেই কো হেথায় স্বরাজ বলে কিছু

সেনা শ্বাসনের জাঁতাকলে জাতীর মাথা নিচু।

সেই দেশেতে হঠাৎ করে ঘটলো এক ঘটনা

হামলা করে পুলিশ মারা রটলো এক রটনা।

কেবা কারা করলো এ কাজ নেই কো কারো জানা

সন্দেহ বসে মুসলমানদের করলো জীবন ফানা।

ঘরে ঘরে দিল আগুন সৈনিকেরা তাই

গুলি করে মারলো কতই কে তার হিসাব নেয়।

মিয়ানমারে মুসলিম হত্যা বৌদ্ধদেরই কাজ

২০১৬ সালের ইতিহাসে লেখা থাকবে বিশ্ব মাঝ।

জান বাঁচাতে লাখো মুসলিম পালিয়ে আসে তারা

বাংলাদেশে ঠাঁই নিতে চায় হয়ে পাগল পারা।

মুসলিম দেশে ঠাঁই না পেলে কোথায় তারা যাবে

দুঃখ-শোকের সে কথা তাই অন্তরেতে ভাবে।

এদিকে ফের নাফ নদীটি বর্ডার গার্ডে ঘেরা

চোখে পড়লেই মিয়ানমারে ফিরিয়ে দেয় তারা।

জন্মভূমি মাতৃভূমি ঐ দেশেতেই বাস

চারশ’ বছর ধরে তারা হেথায় ফেলে শ্বাস।

তবু তারা পালিয়ে আসে বিভিন্ন পথ দিয়ে

ধন-সম্পদ আত্মীয়-স্বজন ফেলে শুধুই জীবন নিয়ে।

ইতিপূর্বেও পাঁচ লক্ষাধিক বাংলাদেশে আসে

একই রকম নির্যাতনের শিকার হয়ে অবশেষে।

মুসলিম নিধন খেলা খেলে মিয়ানমারের সেনা

বিশ্ব মুসলিম চুপ করে রয় কেউ কিছু বলছে না।

ওরা মোদের ধর্মীয় ভাই বিশ্বের মুসলিম শোন

এই দুর্দিনে তাদের পাশে দাঁড়াবে না কেন?

সব বিধর্মী এক হয়েছে সারা বিশ্বে আজ

ইসলাম ধর্ম শেষ করাটাই ওদের কাজ।

কুরআন মানো তবু কেন এক হওনা আজো

মুসলিম হয়ে কোন হৃদয়ে ওদের গোলাম সাজো।

জেগে ওঠো বিশ্বের মুসলিম ঘুমিওনা আর

বজ্রকষ্ঠে হাঁকো তাকবীর ‘আল্লাহু আকবার’।






আরও
আরও
.