স্বদেশ

সুপ্রিম কোর্টে হাইকোর্টের রায় বহাল

নোটবই নিষিদ্ধ

অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত নোটবই ছাপানো, বিক্রি ও বিতরণ নিষিদ্ধ করার সরকারী সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সরকারের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে ‘বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি’র আপিল গত ৯ ডিসেম্বর খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি এমএম রুহুল আমীনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগ। এর ফলে সরকারে অনুমতি ছাড়া কোন গাইড বই বা নোটবই প্রকাশ করা যাবে না।

১৯৮০ সালে সর্বপ্রথম সরকার আইন করে প্রথম ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তকের নোটবই মুদ্রণ, প্রকাশনা, আমদানী, বিতরণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ করে। আইন অনুযায়ী এই বিধান লংঘনকারীরা সাত বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদন্ড বা ২৫ হাযার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। একই সঙ্গে নিষিদ্ধ নোটবই বাজেয়াপ্ত করা হবে। এমনকি যে ছাপাখানা থেকে এসব বই মুদ্রিত হয়েছে সেটাও বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেবেন আদালত

দেশে এইডসে আক্রান্ত ১৪৭৫ জন

দেশে মোট এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১৭৪৫ জন। এর মধ্যে এইডস হয়েছে ৬১৯ জনের এবং মারা গেছে ২০৪ জন। চলতি বছর এইডসে আক্রান্ত হয়ে দেশে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছে ২৫০ জন। তাদের মধ্যে এইডস ধরা পড়েছে ১৪৩ জনের। উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে প্রথম এইচআইভি ভাইরাস ধরা পড়ে।

তিন কোটি ৩০ লাখ শিশু নিরঙ্কুশ দারিদ্র্যসীমায়

দেশের তিন কোটি ৩০ লাখ শিশু বাসস্থান, খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্য ও নিরাপদ পানিসহ বিভিন্ন মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত। এসব শিশু নিরঙ্কুশ দারিদ্র্যসীমার মধ্যে বসবাস করায় তাদের শারীরিক বৃদ্ধি ঠিকমত হয় না। ইউনিসেফ কর্তৃক প্রকাশিত ‘বাংলাদেশে শিশুর দারিদ্রাবস্থা ও বৈষম্য’ বিষয়ক এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, দেশে মোট সাড়ে ছয় কোটি শিশু রয়েছে। এদের অর্ধেকই নিরঙ্কুশ দারিদ্র্যসীমার মধ্যে বাস করে। এর এক-চতুর্থাংশ আবার স্থায়ী দারিদ্রে্যর শিকার। এছাড়া শতকরা ৪১ ভাগ আবাসন, ৬৪ ভাগ পয়ঃনিষ্কাশন, ৫৭ ভাগ পুষ্টি, ১৬ ভাগ স্বাস্থ্য ও ৭১ ভাগ তথ্যপ্রাপ্তির সুবিধা থেকে বঞ্চিত। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের প্রতি ৬ শিশুর একজন কর্মজীবী। দেশে মোট কর্মজীবী শিশুর সংখ্যা ৭৪ লাখ ২০ হাযার।

 (ক) অভাবের তাড়নায় সন্তান বিক্রি!

অভাবের তাড়নায় ভূমিষ্ঠ হওয়ার ১৫ দিনের মাথায় কন্যাসন্তান আর্নিকে বিক্রি করে দিয়েছেন মা। মাত্র ৮ হাযার টাকার বিনিময়ে অন্যের হাতে সন্তানকে বিক্রি করে দিয়ে মা আনজুমান আরা এখন দিশেহারা। বেদনাদায়ক এ ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ যেলার কালীগঞ্জ উপযেলা শহরের আড়পাড়ায়। আনজুমান আরা বেগমের বাড়ী কুষ্টিয়া যেলার দৌলতপুর থানার মহিশকুন্ডি গ্রামে। বিয়ের পর তার পরপর দু’টি কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করায় তার স্বামী তাদের রেখে চলে যায়। ফলে অভাবের তাড়নায় ৩ মাসের গর্ভবতী অবস্থায় সে বাড়ী থেকে চলে আসে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপযেলার আড়পাড়া গ্রামে। সেখানে একটি বাসা ভাড়া করে ২ সন্তান নিয়ে বসবাস শুরু করে আনজুমান আরা। অন্যের বাড়ীতে কাজ করে ২ মেয়েকে নিয়ে কোন রকমে দিন কাটতে থাকে। এরই মধ্যে ২০ নভেম্বর তার ঘরে তৃতীয় মেয়ে জন্মগ্রহণ করে। ফলে সে তৃতীয় মেয়েকে নিঃসন্তান এক দম্পতির কাছে মাত্র ৮ হাযার টাকায় বিক্রি করে দেয়।

(খ) চট্টগ্রামের মীরসরাই উপযেলার ১নং করেরহাট ইউনিয়নের ছত্তরুয়ার বাশিন্দা শাহানা আক্তার অভাবের তাড়নায় মাত্র ২ হাযার টাকায় দেড় বছরের পুত্র সন্তান আযাদ হোসেনকে চট্টগ্রামের এক সবজি বিক্রেতার নিকট বিক্রি করে দিয়েছে। সম্প্রতি ভিজিএফ-এর চাল বিতরণ হ’লে কার্ডে নাম থাকা সত্ত্বেও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে খালি হাতে ফিরে অভাবের তাড়নায় এ পথে পা বাড়ান মানুষের বাড়ীতে ঝি-এর কাজ করা শাহানা।

দেশে প্রতিবছর এক লাখ ২০ হাযার নবজাতক শিশু মারা যায়

দেশে প্রতিবছর এক লাখ ২০ হাযার নবজাতকের (শূন্য থেকে ২০ দিন বয়সের মধ্যে) মৃত্যু ঘটে। এর মধ্যে জন্মের প্রথম ২৪ ঘণ্টায় ৫০ শতাংশই মারা যায়। ইউনিসেফের তথ্য মতে, ১৯৯৬-৯৭ সালে শিশু মৃত্যুর হার ছিল প্রতি হাযারে ১১৬; ২০০৭ সালে তা কমে হাযারে ৬৫ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন। উল্লেখ্য, বিশ্বের যে ২০টি দেশে শিশু মৃত্যুর হার বেশী তাদের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম।

জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্তবাংলাদেশ

গত ১৮ বছরে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকার শীর্ষে বাংলাদেশ। ১৯৯০ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের পরেই রয়েছে মিয়ানমার, হন্ডুরাস, ভিয়েতনাম ও নিকারাগুয়া। আঠার বছরের হিসাবে বাংলাদেশ শীর্ষে থাকলেও শুধু ২০০৮ সালের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মাত্রার নিরিখে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি দেশ হ’ল মিয়ানমার, ইয়েমেন ও ভিয়েতনাম।

শিগগিরই স্বতন্ত্র মাদরাসা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হবে

-শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বিশ্বায়নের যুগে মাদরাসা শিক্ষা পিছিয়ে থাকতে পারে না। সরকার মাদরাসা শিক্ষা উন্নয়ন ও যুগোপযোগীকরণে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। শিগগিরই স্বতন্ত্র মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের (মাদরাসা ও কারিগরি) নেতৃত্বে এ সংক্রান্ত কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে। গত ১২ ডিসেম্বর শিক্ষামন্ত্রী গাযীপুরের বোর্ডবাজারে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট (বিএমটিটিআই) মিলনায়তনে সিনিয়র মাদরাসা অধ্যক্ষদের ৩১তম শিক্ষা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ কোর্স এবং ৬৭তম দাখিল স্তরের মাদরাসা শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বাড়ছে কিশোর অপরাধী

সারাদেশেই বাড়ছে শিশু ও কিশোর অপরাধীর সংখ্যা। কোমলমতি কিশোরদের নানা কৌশলে জড়ানো হচ্ছে অপরাধের সাথে। তালিকাভুক্ত পেশাদার সন্ত্রাসীদের তালিকা আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে থাকায় পেশাদার অপরাধী ও গডফাদাররা নিজেদের আড়াল করতে শিশু-কিশোরদের ব্যবহার করছে। মাত্র ৫ হাযার টাকার বিনিময়ে দিনের আলোতে তারা মানুষ খুনও করছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের ৬৪টি কারাগারে হত্যা, ছিনতাই, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটক রয়েছে ২৮৪ জন শিশু ও কিশোর। এদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ২১২টি।

রাউজানে ৪শ’ বছর আগের বিশ্বের ক্ষুদ্রতম কুরআন শরীফের সন্ধান লাভ

চট্টগ্রাম যেলার রাউজান উপযেলার চিকদাইর গ্রামের মাদরাসাপড়ুয়া মুহাম্মাদ নাজমুল হাসানের কাছে ৪শ’ বছর আগের একটি ক্ষুদ্র কুরআন শরীফের সন্ধান পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিশ্বের ক্ষুদ্রতম কুরআন শরীফের এটি একটি। এক ইঞ্চি পরিমাপের এ ক্ষুদ্রতম কুরআন শরীফটি তার নানা মৃত্যুর পূর্বে নাতিকে দিয়ে যান। মাত্র আট আউন্স ওযনের এই কুরআন শরীফটি তার নানা পাঁচ পূর্বপুরুষ সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন বলে জানা যায়। নাজমুল হাসান জানান, এর অক্ষরগুলো এত ক্ষুদ্র যে, মাইক্রোলেন্স দিয়ে পড়তে হয়। এটির কভারটি এলমুনিয়ামের মতো বিশেষ ধাতু দিয়ে তৈরী। ৪শ’ বছরের পুরনো হ’লেও দেখে মনে হবে আধুনিক প্রযুক্তিতে কম্পিউটার প্রিন্টে ছাপানো।

দেশের উচ্চতম লেক রাঙ্গামাটির রিলিপ্পি

বগা লেক ও রাইখিয়াং লেককে ছাড়িয়ে বাংলাদেশের সর্ব উচ্চতম লেকের সন্ধান বের করেছে নেচার এডভেঞ্চার ক্লাবের একদল তরুণ। স্থানীয়ভাবে লেকটি ‘রিলিপ্পি’ নামে পরিচিত। রিলিপ্পি লেকটি ২২ ডিগ্রী ০০ মিনিট ০৪.৪ সেকেন্ড দ্রাঘিমা এবং ৯২ ডিগ্রী ৩৪ মিনিট ৪৬.০ সেকেন্ড অক্ষাংশে অবস্থিত। জারমিন জিপিএস (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) যন্ত্রের মাধ্যমে এর উচ্চতা পাওয়া যায় ১৮১০ ফুট। এ লেকটি রাঙ্গামাটি যেলার বিলাইছড়ি থানায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমানায় অবস্থিত কাইংশে হাফং বা রিলিতি নামক পাহাড়ের গায়ে অবস্থিত।

বিচারপতি নজরুলের খেদোক্তি

‘কেরানীরা আইনের খসড়া লিখে পাঠিয়ে দেন। এমপি-রা হো হো করে হাততালি দিয়ে তা পাস করে দেন। অনেকে তা পড়েও দেখেন না’।

গত ১৯ ডিসেম্বর শনিবারে বেসরকারী সংগঠন ‘অধিকার’ আয়োজিত ঢাকায় এক সেমিনারে হাইকোটে কর্তব্যরত বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী জাতীয় সংসদ ও এমপিদের সম্পর্কে এ বিরুপ মন্তব্য করেন। এতে আইন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী ক্ষেপে গিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দিলেও সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিষ্টার রফিক-উল-হক ও শাহদীন মালিক বলেন, বিচারপতি আমাদের সংসদের রিয়্যালিটি অনুধাবন করেই এ মন্তব্য করেছেন।

বিদেশ

১৭ বছর পর লিবারহান কমিশনের রিপোর্ট

বাবরী মসজিদ ধ্বংসের হোতা বাজপেয়ী, আদভানী ও যোশি গং

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতের অযোধ্যায় অবস্থিত বাবরী মসজিদ (নির্মাণ কাল: ১৫২৮খৃ:) ভেঙ্গে ফেলে ভারতের উগ্রপন্থী হিন্দুরা। এর ফলে সৃষ্ট দাঙ্গায় দুই হাযারের বেশী মানুষ নিহত হয়। মসজিদ ধ্বংসের ১০ দিন পর সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি লিবারহানের নেতৃত্বে ‘লিবারহান কমিশন’ গঠন করা হয়। দীর্ঘ ১৭ বছর পর গত ৩০ জুন কমিশন তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। ২৩ নভেম্বর ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ পত্রিকা রিপোর্টটি আগাম ফাঁস করে দেয়। ২৪ নভেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরাম সংসদে রিপোর্টটি পড়ে শোনালে সেখানে লঙ্কাকান্ড বেধে যায়। এমনকি হাতাহাতির ঘটনা পর্যন্ত ঘটে।

লিবারহান কমিশন এ ঘটনায় মোট ৬৮ জনকে অভিযুক্ত করে রিপোর্ট জমা দেয়। অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন- ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী, বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতা এলকে আদভানী, বিজেপির সাবেক সভাপতি মুরলি মনোহর যোশি, উত্তর প্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং যাদব, ‘বিশ্ব হিন্দু পরিষদ’ নেতা অশোক সিংঘাল ও প্রবীণ তোগাড়িয়া, ‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ’ (আরএসএস) প্রধান কে এস সুদর্শন ও গোবিন্দাচর্য, উমা ভারতী, শিব সেনা প্রধান বাল ঠাকরে, বিনয় কাটিয়ার, গিরিরাজ কিশোর প্রমুখ। কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী এবং বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতা লালকৃষ্ণ আদভানী বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরিকল্পনা জেনেও তা ঠেকানোর কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেননি।

বিশ্বের ৬০ শতাংশ খাদ্যের মালিক ৪টি কোম্পানী

বিশ্বের প্রধান খাদ্যশস্যগুলোর ৬০ শতাংশের মালিক ৪টি কোম্পানী। কোম্পানীগুলো হ’ল- কারগিল, সেনেক্স, হারভেষ্ট স্টেটস ও এডিএম এবং জেনারেল মিলস। আর বিশ্ব বাজারে শস্য রফতানীয় ৮২ শতাংশই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে ৩টি কোম্পানীর মাধ্যমে। কোম্পানী তিনটি হ’ল- কারগিল, এডিএম এবং জেন নহ।

বিশ্বে দেড়শ’ কোটি মানুষ বিদ্যুৎবিহীন

বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ অর্থাৎ ১৫০ কোটি মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছেনি। এদের ৮০ ভাগ লোকের কম দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশে এবং আফ্রিকার সাহারা মরু অঞ্চলে বসবাস করে। ‘আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা’র (আইইএ) সহযোগিতায় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী (ইউএনডিপি) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) তৈরীকৃত এক রিপোর্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিশ্বে এইডস আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন কোটি

বিশ্বব্যাপী আনুমানিক প্রায় ৩ কোটি ৩৪ লাখ মানুষ এইডস ভাইরাসে আক্রান্ত বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং জাতিসংঘের এইডস বিষয়ক যৌথ কর্মসূচী ‘ইউএনএইডস’। ২০০৭ সালে বিশ্বে এইডস আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ কোটি। ২০০৮ সালে এইডসজনিত কারণে মারা গেছে প্রায় ২০ লাখ মানুষ।

আফগানিস্তানে আরো ৩০ হাযার মার্কিন সৈন্য প্রেরণ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আরো ৩০ হাযার মার্কিন সৈন্য আফগানিস্তানে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ২০১১ সালের মাঝামাঝি থেকে তাদের সামরিক বাহিনী সেখান থেকে প্রত্যাহার শুরু করবে। এ নিয়ে সেখানে মার্কিন সৈন্যের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখেরও বেশী।

সুইজারল্যান্ডে মসজিদের মিনার নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা

গত ২৯ নভেম্বর সুইজারল্যান্ডে মিনার নির্মাণের উপর নিষেধাজ্ঞার পক্ষে ভোট দেয় সেদেশের জনগণ। দেশব্যাপী গণভোটে ৫৭.৫ শতাংশ ভোটার ও দেশের ২৬টি ক্যান্টনের মধ্যে চারটি ছাড়া সবকটি ভোট দিয়েছে প্রস্তাবের পক্ষে। সুইজারল্যান্ডের কট্রর ডানপন্থী রাজনৈতিক দল সুইস পিপলস পার্টি (এসপিপি) এ গণভোটের প্রস্তাব করেছিল। দেশের সংবিধান, ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং পরমতসহিষ্ণুতার দীর্ঘ ঐতিহ্যের বিরোধী হবে বিবেচনা করে সুইস সরকার ও পার্লামেন্ট মিনার নির্মাণ বন্ধের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। সরকার বলেছিল, ‘ঐ নিষেধাজ্ঞা উগ্রবাদীদের স্বার্থই কেবল রক্ষা করবে’। কিন্তু গণভোটের পর সরকার জানায়, জনগণের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে নতুন মিনার নির্মাণের অনুমতি আর দেয়া হবে না।

এভারেষ্টের চূড়ায় নেপালী মন্ত্রীসভার বৈঠক: জলবায়ু সচেতনতায় ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশ্বব্যাপী জনসচেতনতা তৈরী করতে সাগরের নীচে মালদ্বীপের মন্ত্রীসভার অভিনব বৈঠকের পর এবার হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেষ্টের বেইজ ক্যাম্পে বৈঠক করেছে নেপালের মন্ত্রীসভা। গত ৪ ডিসেম্বর নেপালের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীসভার ২০ জনেরও বেশী মন্ত্রী ভারি জ্যাকেট ও অক্সিজেন মাস্ক পরে হেলিকপ্টারে করে এভারেষ্টের কালাপাত্থুর বেইজ ক্যাম্পে ওঠেন। সবুজ ঘাসে ছাওয়া এই বেইজ ক্যাম্পটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫,২৪২ মিটার (১৭,২০০ ফুট) উপরে।

ড. ইউনুসের স্বপ্ন: এক পতাকা ও অভিন্ন মুদ্রার দক্ষিণ এশিয়া

এক পতাকা এবং একটি অভিন্ন মুদ্রা সম্বলিত স্বপ্নের দক্ষিণ এশিয়ার রূপকল্প উপস্থাপন করেছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মাদ ইউনুস। তাঁর স্বপ্নের দক্ষিণ এশিয়ায় এক দেশের নাগরিক আরেক দেশে ভ্রমণে কোন ভিসা লাগবে না। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সফর নিয়ন্ত্রণে কোন শুল্ক কর্মকর্তারও প্রয়োজন হবে না। জাতীয় পতাকার পাশে থাকবে একটি অভিন্ন পতাকা, থাকবে অভিন্ন মুদ্রা। গত ৯ ডিসেম্বর ভারতীয় পার্লামেন্টে দ্বিতীয় হিরেন মুখার্জি স্মারক বক্তৃতা দিতে গিয়ে ড. ইউনুস এই স্বপ্নের কথা বলেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ড. ইউনুস তার এই নতুন সুপারিশমালার মাধ্যমে প্রকারান্তরে ভারতের পরলোকগত নেতা জওয়াহের লাল নেহরুর সুবিখ্যাত ‘নেহরু ডকট্রিন’-এর প্রতিধ্বনি করেছেন। যেটি পরবর্তীতে ‘ইন্ডিয়া ডকট্রিন’ নামে পরিচিত হয়েছে। এই নেহরু ডকট্রিন বা নেহরু তত্ত্ব পরবর্তীতে আরো এ্যাগ্রেসিভ ফর্মে ‘ইন্দিরা ডকট্রিন’ নামে পরিচিত হয়। মূল স্পিরিটকে অক্ষুণ্ণ রেখে কৌশলগতভাবে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যানেলে ঐ ডকট্রিন বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দোর কুমার গুজরাল। তার নামানুসারে সেই তত্ত্বের নাম হয়েছে ‘গুজরাল ডকট্রিন’।

নেহরু বা ইন্ডিয়া ডকট্রিনের এক স্থানে বলা হয়েছে, India will inevitably exercise an important influence. India will also develop as the center of economic and political activity in the Indian Ocean area. The small national state is doomed. It may servive as a culturally autonomous area, but not as an independent political unit. ‘ভারত অবধারিতভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করবে। ভারত মহাসাগরে ভারত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডের কেন্দ্র হিসাবে আবির্ভূত হবে। ক্ষুদ্র জাতি রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ শেষ। এগুলো সাংস্কৃতিকভাবে স্বায়ত্তশাসিত এলাকা হিসাবে টিকে থাকতে পারে। তবে স্বাধীন রাজনৈতিক সত্তা হিসাবে নয়’।

যে অভিন্ন মুদ্রা এবং একক পতাকার কথা ড. ইউনুস বলছেন সেটি অন্যভাবে ইন্ডিয়া ডকট্রিন, ইন্দিরা বা গুজরাল ডকট্রিনকে বাস্তবায়ন করার নামান্তর। যা সার্কভুক্ত দেশগুলিকে ভারতভুক্ত করবে।

সাদ্দামের কাছে অস্ত্র নেই জানলেও ইরাক যুদ্ধে যাওয়ার নির্দেশ দিতেন ব্লেয়ার

সাবেক বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার বলেছেন, ইরাকের নেতা সাদ্দাম হোসেনের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র সম্ভার নেই, এটি জানা থাকলেও তিনি বৃটেনকে ইরাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাওয়ার নির্দেশ দিতেন। বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, সে রকম ক্ষেত্রে ইরাক কি ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে সে ব্যাপারে তিনি ভিন্নভাবে তার যুক্তি তুলে ধরতেন। সাদ্দাম হোসেন যেহেতু তার নিজের দেশের লোকদের বিরুদ্ধেই রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করেছেন, তাই আঞ্চলিক স্তরেও তিনি একটি হুমকি ছিলেন বলেও মি. ব্লেয়ার মন্তব্য করেন।

[এর পরেও ইরাকে কয়েক লাখ মানুষের হত্যার জন্য বুশ-ব্লেয়ার চক্র যুদ্ধাপরাধী নন কেন?- (স.স.)]

আমেরিকার বিচার ব্যবস্থা

৩৫ বছর কারাবাসের পর বেকসুর খালাস

এএফপি: ৯ বছরের এক বালিকা ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় ৩৫ বছর কারাবাসের পর ডিএনএ টেষ্টে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় ফ্লোরিডার এক বিচারক আসামী জেমস বেইনকে মুক্তি দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানান। জেমস ১৯৭৪ সালে ১৯ বছর বয়সে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত হয়ে জেলে যান।

মার্কিন জনসংখ্যা ব্যুরোর প্রতিবেদন

২০৪২ সালে শ্বেতাংগরা আমেরিকায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে

গত বছরের জনসংখ্যা বিন্যাসের তুলনামূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলা হয় যে, আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে আমেরিকায় শ্বেতাঙ্গ শিশুরা সংখ্যালঘুতে পরিণত হবে এবং ২০৪২ সালের মধ্যে সেদেশে বসবাসকারী অন্যান্য জাতি সত্তার তুলনায় শ্বেতাঙ্গদের সংখ্যা কমে যাবে। ৩০৮ মিলিয়ন জনসংখ্যার এই দেশটিতে বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ অভিবাসী প্রবেশ করছে। যারা যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বাজারে ব্যাপক অবদান রাখছে। তাদেরকে বাদ দিলে যুক্তরাষ্ট্র অচল হয়ে পড়বে।






আরও
আরও
.