১৮৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ভারতের সবচেয়ে বড় এবং বিশ্বের ৪৫তম ব্যবসায়িক গ্রুপ ‘টাটা’র ইমেরিটাস চেয়ারম্যান ভারতের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী রতন টাটা (৮৬) মারা গেছেন। ভারতের বিশ্ববিখ্যাত শিল্পপতিদের অন্যতম এবং আন্তর্জাতিক মহলে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ভারতীয় ব্যবসায়িক নেতাদের একজন হ’লেও জনহিতৈষী ব্যক্তি হিসাবে রতন টাটার খ্যাতি ও সম্মান সর্বব্যাপী। ভারত ও ভারতের বাইরের বহু বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানজনক ডিগ্রি দিয়েছে। তবে রতন টাটা তাঁর দীর্ঘ জীবনে যেটা সবচেয়ে বেশী পেয়েছেন, তা হ’ল মানুষের সম্মান ও ভালোবাসা।

অসম্ভব বিনয়ী, নীতিবান, দূরদর্শী ও মানবতাসম্পন্ন একজন ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত রতন টাটা ১৯৩৭ সালে মুম্বাইয়ের এক পারসিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পরে টাটা পরিবার তাকে দত্তক নেয়। পড়াশোনা করেছেন স্থাপত্য ও কাঠামোগত প্রকৌশল নিয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটিতে। ১৯৬২ সালে টাটা গ্রুপে যোগ দেন সাধারণ কর্মী হিসাবে। শুরুতে তিনি টাটা স্টিল কারখানায় বেলচা দিয়ে চুনাপাথর সরানো ও চুল্লি ঠিক রাখার কর্মচারী হিসাবে কাজ করতেন। এসময় কয়েক বছর তাকে কারখানার মেঝেতেই রাত কাটাতে হয়েছে। এরপর কেবল এগিয়ে যাওয়ার ইতিহাস। ১৯৯১ সালে প্রপিতামহ জামসেদজি টাটা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ছাড়ার সময় অনেক সিনিয়র কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে রতন টাটাকে নিজের উত্তরাধিকারী ঘোষণা করেন। প্রথমে তাকে নিয়ে আপত্তি ছিল গ্রুপের ভেতরে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে তার।

টাটা গ্রুপ ভারতের ব্রান্ডিং-এ অনন্য ভূমিকা পালন করেছে। যার সবচেয়ে বড় অবদান রতন টাটার। অর্ধশত বছর ধরে তিনি নিরলস পরিশ্রম করেছেন টাটা গ্রুপের জন্য, তিলে তিলে বড় করেছেন গ্রুপকে। ১৫৬ বছরের পুরোনো প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ১০০টি দেশের সঙ্গে ব্যবসা করে। এই অনন্য প্রতিষ্ঠানটির ২১ বছর ধরে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন রতন টাটা। এই গ্রুপের রয়েছে শতাধিক কোম্পানি। কর্মী ৬ লাখ ৬০ হাযারের অধিক। বার্ষিক রাজস্ব আয় ১০ হাযার কোটি ডলারের অধিক।

বিলিয়নিয়ার হয়েও রতন টাটা সাদামাটা জীবন যাপন করতেন। ধনকুবেরদের কোন তালিকায় তার নাম ছিল না। কারণ গ্রুপের আয়ের প্রায় ৬৫% টাটা ট্রাস্টের কাছে চলে যাওয়ায় টাটা পরিবারের সদস্য কিংবা রতন টাটার হাতে খুব কম অর্থই থাকত। সুনামি হোক বা করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব, রতন টাটা প্রতিটি সংকটে সাহায্য করতে এগিয়ে ছিলেন। অন্তত ৯ হাযার কোটি টাকা তিনি কেবল শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামোন্নয়ন ও সামাজিক খাতে দান করেছেন।

ব্যবসাক্ষেত্র থেকে শুরু করে ব্যক্তিজীবনে তাঁর বেশ কিছু উক্তি ব্যাপক জনপ্রিয়। যেমন (১) যদি দ্রুত এগোতে চাও, একাই চলো। আর যদি অনেক দূর যেতে চাও, তাহ’লে সকলকে নিয়ে চলো। (২) আমি সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিশ্বাসী নই। আমি যে সিদ্ধান্ত নিই, সেটিকেই সঠিক হিসাবে বাস্তবায়ন করি (৩) জয়ের একটাই উপায় পরাজয়ের ভয় না পাওয়া (৪) নেতৃত্ব মানে দায়িত্ব নেওয়া। নেতৃত্ব মানে তোমার অধীন যারা আছেন, তাদের সবচেয়ে ভালোভাবে দেখভাল করা (৫) সফলতাকে মাথায় নেবে না, আর ব্যর্থতাকে হৃদয়ে নেবে না।







পারিশ্রমিক ছাড়াই এক হাযার কিডনী প্রতিস্থাপন করেছেন ডা. কামরুল ইসলাম
মেট্রোরেলের যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ
কিছু বুদ্ধিজীবী অকারণেই অপপ্রচার করেন (কওমী মাদরাসায় জঙ্গী তৈরী হয় না : আইজিপি)
সংবিধান থেকে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ তুলে দেয়া হবে - -ড. আব্দুর রাজ্জাক
বিরল নযীর স্থাপন করেছেন ময়মনসিংহ সরকারী মেডিকেলের পরিচালক (সেবার গল্প রূপকথা নয়, বাস্তবতা)
ডাঃ যাকির নায়েকের সম্পত্তি বাযেয়াফত করা যাবে না, জানিয়ে দিলেন বিচারপতি
ঝুঁকিতে থাকা নবজাতককে সুস্থ করতে ক্যাঙারু অভিজ্ঞতা
কুরবানীর পশুর উচ্ছিষ্টে বাণিজ্য হাযার কোটি টাকা!
ফারাক্কার কারণে সুন্দরবনের ক্ষতি
পশ্চিমবঙ্গের অনেক মানুষ উন্নত জীবনের আশায় বাংলাদেশে আসতে চান
সুনামগঞ্জে সামান্য কাঁঠালের নিলাম নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ৪ আহত ৪০
‘কালু কসাই’-এর মানবতা (৫৮০ টাকায় গরুর গোশত বিক্রি)
আরও
আরও
.