বাংলাদেশের
জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষ স্থূল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে,
পুষ্টিহীনতার চেয়েও বেশী মৃত্যু হয় অতিভোজন ও অতি ওযনের জন্য। স্থূলতার
সঙ্গে কিডনী রোগের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশে প্রায় দু’কোটি মানুষ
কোন না কোনভাবে কিডনী রোগে আক্রান্ত। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে এক গোল টেবিল
বৈঠকে এ তথ্য জানান ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের কিডনী বিভাগের প্রধান
প্রফেসর ডা. এম এ ছামাদ।
স্থূলতার সঙ্গে কিডনী রোগের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে জানিয়ে এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানান, বাড়তি ওযন সরাসরি কিডনীর ছাকনি নষ্ট করে দেয়। আবার পরোক্ষভাবে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগের মাধ্যমে কিডনির ক্ষতি হয়।
বৈঠকে কিডনী ফাউন্ডেশনের মহাসচিব প্রফেসর ডা. মুহিববুর রহমান জানান, শুধু লাইফ স্টাইল বা খাদ্যভ্যাস পরিবর্তন করে ৬৮ শতাংশ মৃত্যু ঝুঁকি কমানো সম্ভব। এজন্য পর্যাপ্ত ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়া এবং ওযন নিয়ন্ত্রণে রাখা আবশ্যক।