১২ ও ১৩ই সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতি ও শুক্রবার নওদাপাড়া, রাজশাহী : ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর বার্ষিক কর্মী সম্মেলন ২০২৪-এর উদ্বোধনী ভাষণে সম্মেলনের সভাপতি মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্ল­াহ আল-গালিব অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রতি উপরোক্ত আহবান জানান। সূরা নিসার ৫৯-৬১ আয়াত উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট ভূখন্ড, জনসমষ্টি, সরকার ও সার্বভৌমত্ব এবং সেই সাথে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলে একটি রাষ্ট্র বাস্তবে রূপ লাভ করে। আমরা এখন আধুনিক গণতন্ত্রের যুগে বাস করছি। যা দলীয় শাসনব্যবস্থা। এটি কখনো সুশাসন উপহার দিতে পারে না।

তিনি বলেন, যুলুম করাটাই এখন রাষ্ট্র দর্শনে পরিণত হয়েছে। অথচ নবীগণের রাষ্ট্র দর্শন ছিল তাওহীদ ও তাক্বওয়ার দর্শন। এতে সার্বভৌমত্বের মালিক হচ্ছেন আল্লাহ। পরামর্শের ভিত্তিতে এতে আমীর নির্বাচিত হবেন। জনগণ হবে আমীরের আনুগত্যকারী যতক্ষণ তিনি আল্লাহর আনুগত্যকারী থাকেন। এটাই হ’ল খেলাফত রাষ্ট্র দর্শন। যার অধীনে রাষ্ট্র প্রধান সহ সকল মানুষের অধিকার সমান। সেই বৈষম্যহীন রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। অতঃপর তিনি সবাইকে ধৈর্যের সাথে দু’দিনব্যাপী কর্মী সম্মেলনে সুশৃংখলভাবে অবস্থানের আহবান জানিয়ে আল্লাহর নামে কর্মী সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, ১ম দিন বৃহস্পতিবার সকাল ৯-টায় সম্মেলন শুরু হয়। ১ম অধিবেশনের পরিচালক কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইনের পরিচালনায় আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফীর হিফয বিভাগের পরিচালক হাফেয লুৎফর রহমানের অর্থ সহ কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সম্মেলন শুরু হয়। অতঃপর আল-হেরা শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য মুহাম্মাদ রাক্বীবুল ইসলাম (মেহেরপুর) জাগরণী পরিবেশন করে। স্বাগত ভাষণ পেশ করেন কর্মী সম্মেলনের আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম।

উদ্বোধনী ভাষণের পর বিষয়ভিত্তিক ধারাবাহিক বক্তব্য শুরু হয়। প্রথমে (১) ‘কর্মীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য’ বিষয়ে বক্তব্য পেশ করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম। এরপর (২) ‘সমাজ সংস্কারে আলেম সমাজের ভূমিকা’ বিষয়ে খুলনা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম বক্তব্য পেশ করেন। তারপর (৩) ‘সমাজ পরিবর্তনের স্থায়ী কর্মসূচী’ বইয়ের বিভিন্ন অধ্যায়ের উপর ৬ জন আলোচকের মাধ্যমে পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হয়। যথা- (ক) ‘তাযকিয়াহ ও তারবিয়াহর মাধ্যম সমূহ বিষয়ে পর্যালোচনা করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন (খ) ‘তাযকিয়াহ ও তারবিয়াহর নীতি ১-৫’ বিষয়ে জয়পুরহাট যেলা সভাপতি ডা. আমীরুল ইসলাম, (গ) ‘তাযকিয়াহ ও তারবিয়াহর নীতি ৬-১০’ বিষয়ে রাজশাহী-পূর্ব সাংগঠনিক যেলার সাধারণ সম্পাদক যিল্লুর রহমান, (ঘ) ‘তাযকিয়াহ ও তারবিয়াহর নীতি ১১-১৫’ বিষয়ে কুমিল্লা যেলার সাধারণ সম্পাদক জামীলুর রহমান, (ঙ) ‘তাযকিয়াহ ও তারবিয়াহর বৈশিষ্ট্য সমূহ’ বিষয়ে জামালপুর-দক্ষিণ সাংগঠনিক যেলার সাধারণ সম্পাদক ক্বামারুয্যামান বিন আব্দুল বারী এবং (চ) ‘তারবিয়াহর প্রকারভেদ ও বাধা সমূহ’ বিষয়ে চট্টগ্রাম যেলার সাধারণ সম্পাদক আরজু হোসাইন ছাববীর পর্যালোচনা করেন। একই সময়ে মারকাযের মহিলা শাখার মসজিদে ‘আহলেহাদীছ মহিলা সংস্থা’র কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা, কেন্দ্রীয় কমিটি ও কর্মীদের নিয়ে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর পরিচিতির উপর পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

অতঃপর বাদ আছর (৪) ‘আল-‘আওন-এর বার্ষিক রিপোর্ট ও গুরুত্ব’ বিষয়ে বক্তব্য পেশ করেন ‘আল-‘আওন-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেয আহমাদ আব্দুল্ল­াহ শাকির (মারকায), (৫) ‘কর্মীদের ইখলাছ অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা’ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা দুররুল হুদা, (৬) ‘আন্দোলন-এর অঙ্গ সংগঠনসমূহের কার্যক্রম’ বিষয়ে কেন্দ্রীয় যুববিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশীদ আখতার (কুষ্টিয়া)।

অতঃপর যেলা সংগঠন সমূহের কর্মতৎপরতা বৃদ্ধিতে যেলা সভাপতি ও প্রতিনিধিগণের মধ্য হ’তে পরামর্শমূলক বক্তব্য পেশ করেন (৭) কিশোরগঞ্জ যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি অধ্যাপক এস.এম নূরুল ইসলাম, (৮) চট্টগ্রাম যেলা ‘আন্দোলন’-এর প্রচার সম্পাদক মিনহাজুর রহমান, (৯) ঠাকুরগাঁও যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ যিয়াউর রহমান, (১০) ঢাকা-দক্ষিণ সাংগঠনিক যেলার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদূদ, (১১) লালমণিরহাট যেলার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আশরাফুল আলম, (১২) ময়মনসিংহ-দক্ষিণ যেলার সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ ফযলুল হক, (১৩) কুমিল্লা যেলার যুববিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, (১৪) পাবনা যেলার প্রচার সম্পাদক আফতাবুদ্দীন, (১৫) বগুড়া যেলার কর্মী আবুবকর ছিদ্দীক, (১৬) নওগাঁ যেলার কর্মী মামূনুর রশীদ প্রমুখ।

বাদ মাগরিব (১৭) ‘সমাজ সংস্কারে আহলেহাদীছ আন্দোলনের ভূমিকা’ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মাদারটেক আহলেহাদীছ জামে মসজিদের খতীব মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল (পাবনা), (১৮) ‘সমাজ সংস্কারে তরুণ ও যুবকদের করণীয়’ বিষয়ে ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম, (১৯) ‘রাষ্ট্র সংস্কারে আমাদের প্রস্তাবনা’ বিষয়ে ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক এবং ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন শিক্ষা বোর্ড’-এর চেয়ারম্যান ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, (২০) আদর্শ শিশু-কিশোর গঠনে সোনামণি সংগঠনের ভূমিকা বিষয়ে ‘সোনামণি’র কেন্দ্রীয় পরিচালক রবীউল ইসলাম। বাদ এশা (২১) ‘মাল ও মর্যাদার লোভ : সংগঠনের অগ্রগতিতে দু’টি বড় অন্তরায়’ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন ঢাকা-দক্ষিণ সাংগঠনিক যেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুল ওয়াদূদ।

২য় দিন শুক্রবার বাদ ফজর মারকাযের পশ্চিম পার্শ্বস্থ মসজিদে ‘মৃত্যুকে স্মরণ’ বিষয়ে দরসে কুরআন পেশ করেন কেন্দ্রীয় গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম। একই সময়ে পূর্ব পার্শ্বস্থ মসজিদে ‘তাক্বওয়া’ বিষয়ে দরস পেশ করেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম।

দরসের পর সামান্য বিরতি শেষে মারকাযের পূর্ব পার্শ্বস্থ মূল প্যান্ডেলে বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য শুরু হয়। (১) ‘সাপ্তাহিক তা‘লীমী বৈঠকের গুরুত্ব’ বিষয়ে বক্তব্য পেশ করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম (যশোর), (২) ‘কর্মীদের আমানতদারিতা’ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম (মেহেরপুর), (৩) ‘সাম্প্রতিক বন্যাত্রাণে সংগঠনের ভূমিকা’ বিষয়ে ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আহমাদুল্লাহ (কুমিল্লা), (৪) ‘আন্দোলন’-এর ‘অনলাইন কার্যক্রম পরিচিতি’ বিষয়ে ‘আত-তাহরীক টিভি’র ম্যানেজার আবুল বাশার (দিনাজপুর)।

নাশতার বিরতির পর (৫) ‘আহলেহাদীছ পেশাজীবী ফোরামকে অগ্রসর করতে আমাদের করণীয়’ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. শওকত হাসান (ফেনী), (৬) ‘ইহতিসাব রাখার গুরুত্ব ও সংগঠনের অগ্রগতিতে কর্মীদের নিয়মিত এয়ানত’ বিষয়ে ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল হালীম (মারকায), (৭) ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে কিছু অপপ্রচার ও তার জবাব বিষয়ে কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন (মারকায) বক্তব্য রাখেন। (৮) অতঃপর বিগত ২০২৩-২৪ সেশনের বার্ষিক সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম। (৯) সবশেষে ‘সমাজ সংস্কারে হাদীছ ফাউন্ডেশন প্রকাশনার ভূমিকা’ বিষয়ে বক্তব্য পেশ করেন কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল লতীফ। অতঃপর আমীরে জামা‘আত ‘যুবসংঘে’র শুরুর দিকের কিছু প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ২০২৪-২০২৬ সেশনের জন্য ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের নাম ঘোষণা করেন এবং জুম‘আর পূর্বেই তাদের সহ উপস্থিত সকলের আনুগত্যের বায়‘আত গ্রহণ করেন।

কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্য সম্মেলন : সম্মেলনের ২য় দিন শুক্রবার সকাল ৯-টা থেকে ১১-টা পর্যন্ত মারকাযের পশ্চিম পার্শ্বস্থ মসজিদে মুহতারাম আমীরে জামা‘আতের সভাপতিত্বে ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক উদ্বোধনী বক্তব্যের পর সভাপতির নির্দেশক্রমে ২০২৩-২০২৪ সেশনে কেন্দ্রের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের অডিটকৃত হিসাব পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম (কুষ্টিয়া)। এরপর সংগঠনের ২০২৪-২৫ সেশনের কেন্দ্রীয় বাজেট ও পরিকল্পনা অবহিত করেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম। অতঃপর সংগঠনের অগ্রগতি সম্পর্কে পরামর্শমূলক বক্তব্য পেশ করেন রাজশাহী-সদর যেলার উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট জারজিস আহমাদ সহ অন্যান্যগণ। সবশেষে কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বিষয়ে হেদায়াতী ভাষণ প্রদান করেন মুহতারাম আমীরে জামা‘আত।

সম্মেলনের অন্যান্য রিপোর্ট : দু’দিন ব্যাপী কর্মী সম্মেলনের বিভিন্ন অধিবেশনে কুরআন তেলাওয়াত করেন হাফেয লুৎফর রহমান (মারকায), হাফেয ওবায়দুল্লাহ (মারকায), হাফেয মুখলেছুর রহমান (বগুড়া), মাওলানা জামীলুর রহমান (কুমিল্লা) ও হাফেয আব্দুল্লাহ নাহিয়ান (ছাত্র, মারকায)। জাগরণী পরিবেশন করেন আল-হেরা শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য মুহাম্মাদ মীযানুর রহমান (জয়পুরহাট), রাক্বীবুল ইসলাম ও ইয়াকূব হোসাইন (মেহেরপুর), হাফেয আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ (বগুড়া), আব্দুল্লাহ আল-ফাহীম (কুষ্টিয়া) প্রমুখ।

সম্মেলনের ৭টি অধিবেশনের পরিচালক ছিলেন যথাক্রমে (১) ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন, (২) সমাজকল্যাণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা দুররুল হুদা, (৩) শূরা সদস্য কাযী হারূণুর রশীদ ও (৪) মুহাম্মাদ তরীকুয্যামান, (৫) ঢাকা-দক্ষিণ সাংগঠনিক যেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল ওয়াদূদ এবং (৬) ময়মনসিংহ-দক্ষিণ সাংগঠনিক যেলার সাধারণ সম্পাদক ক্বামারুয্যামান বিন আব্দুল বারী।

সম্মেলনে ৬৬টি সাংগঠনিক যেলার ১২৪০ জন বাছাইকৃত কর্মী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও অনেক উপদেষ্টা যোগদান করেন। সম্মেলনের ২য় দিন সকালে ১ জন কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্য এবং ৩৮ জন সাধারণ পরিষদ সদস্য মুহতারাম আমীরে জামা‘আতের নিকট আনুগত্যের বায়‘আত গ্রহণ করেন।

জুম‘আর খুৎবা : জুম‘আর খুৎবায় মুহতারাম আমীরে জামা‘আত ইক্বামতে দ্বীনের ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। সূরা শূরা ১৩ আয়াত উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, আল্লাহ তা‘আলা পৃথিবীর সকল নবীকে পাঠিয়েছেন ইক্বামতে দ্বীন তথা দ্বীন কায়েমের জন্য। ইক্বামতে দ্বীন অর্থ ইক্বামতে তাওহীদ। অর্থাৎ সার্বিক জীবনে আল্লাহর দাসত্ব প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু কোন কোন মুফাসসির ইক্বামতে দ্বীনের অর্থ শুধু রাষ্ট্র ক্ষমতার মধ্যে সীমাবদ্ধ করেছেন, যা মারাত্মক ভুল। অতঃপর তিনি সবাইকে অহি-র বিধান আঁকড়ে ধরে আপোষহীন গতিতে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান। সবশেষে তিনি কর্মী সম্মেলন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন।






আরও
আরও
.