পরামর্শ হোক শিক্ষকের সাথে

ভূমিকা : শিক্ষক আমাদের পিতৃতুল্য। কারণ, দুনিয়ার সবচেয়ে মূল্যবান বস্ত্ত আমরা তাঁদের কাছে প্রাপ্ত হয়েছি। এজন্যই তাঁরা সম্মানিত। তাঁদের মর্যাদা নিয়ে যদি মনীষীদের বাণী উল্লেখ করতে শুরু করি তবে এই সংক্ষিপ্ত আলোচনা সুদীর্ঘ ফিরিস্তিতে রূপ নেবে। আমি প্রলম্বিত পথে যাব না। আমি সেই কথাগুলো বলব না, যে কথাগুলো সব বইয়েই বলা হয়। আমি আজ নিজেদের শোচনীয় অবস্থান তুলে ধরব। শিক্ষকদের সম্পর্কে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে আমরা কী হারিয়েছি? আজ কেন আমরা এতটা পিছিয়ে? কেন আমাদের প্রতিটি ধাপে ধাপে ভুল হয়? দেড় যুগ লেখাপড়া করার পরেও কেন আমরা ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশ? কর্মজীবনের দশ বছরের মাথায় এসেও আমরা কেন সেখানেই থেকে যাই, যেখান থেকে আমরা শুরু করেছিলাম? আমাদের জীবন কেনই বা এতটা অগোছাল? এই সমূহ সমস্যার সমাধান কী? এসবেরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করব আলোচ্য নিবন্ধে-

শিক্ষক সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি : আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হওয়া উচিৎ ছিল, সেটা নিয়ে অনেক বিস্তারিত আলোচনা বিভিন্ন বইয়ে রয়েছে। আমি বলব, আমাদের উপস্থিত অবস্থা সম্পর্কে। সত্য কথা এটাই যে, বর্তমান জেনারেশনের অবস্থা বাঁধনহারা বনগরুর মতই। যে জেনারেশন পিতাকেই মান্য করে না, সে জেনারেশন শিক্ষককে পিতৃতুল্য মনে করল কিনা সেটা নিতান্তই আপেক্ষিক। এই প্রজন্ম যদি শিক্ষককে পিতৃতুল্য মনে করত তবুও তাদের অবস্থা বেহালই হ’ত। কারণ, তারা পিতাকেও মানে না, শিক্ষককেও মানত না। তারা ব্যক্তিগত স্বাধীনতার নামে যে চরম স্বেচ্ছাচারিতায় মত্ত হয়েছে এর ফলাফল কখনই সুখকর হচ্ছে না এবং হবেও না।

অনৈতিকতা এবং অদূরদর্শিতা আমাদের শিরায় শিরায় পৌঁছে গেছে। ফলাফলে পরিবারের মধ্যে আমার সবচেয়ে বড় শত্রু আমার বাবা। শুধু বাবার কারণেই আমি আমার জীবন ঠিকভাবে উপভোগ করতে পারি না। সেই একই বিষের বিষক্রিয়ায় আমরা শিক্ষক বলতে এমন একজন মানুষকে কল্পনা করি যার সাথে আমার ‘দা-কুমড়ার’ সম্পর্ক। শিক্ষক মানেই আমরা বুঝি, তিনি আমাকে এমন সব কাজ করতে বাধ্য করবেন, যে কাজগুলোর প্রতি আমার রাজ্যের অনীহা। শিক্ষক মানেই এমন একজন মানুষ, যিনি সর্বদা আমার সাথে শত্রুতা করে যাবেন আর ক্লাসে এসে বলবেন, তোমাদের সাথে তো আমার জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ নাই, আমি কেন তোমাদের খারাপ চাইব! অথচ তিনিই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সমস্যা।

একশতে নববইজন ছাত্রেরই দৃষ্টিভঙ্গি এমন হওয়ার বিষয়টি সরেযমীনে প্রমাণিত। তাদের অন্তরে বদ্ধমূল হয়ে গেছে, শিক্ষক কখনো আমাদের কল্যাণ চান না। শিক্ষকরা আমাদেরকে নিজেদের কাজে ব্যবহার করেন। তাদের কাছে আমাদের জীবনের কোন মূল্য নেই। এই ধ্যান-ধারণা লালন করে কোন ছাত্রই শিক্ষকের কাছে পরিপূর্ণ ইস্তেফাদা অর্জন করতে পারবে না। এটাই স্বাভাবিক। কারণ, কূপে যদি মরা কুকুর পড়ে থাকে তবে তাতে যতই মেশকে আম্বার ছিটানো হোক, তা কোন কাজে আসবে না। মেশকের সুঘ্রাণ ছড়াতে হ’লে আগে কূপ থেকে মরা কুকুর সরাতে হবে।

দৃষ্টিভঙ্গির ফলাফল : দা কুমড়ার ওপরে মারা হোক বা কুমড়া দায়ের ওপরে মারা হোক ফলাফল কিন্তু একই আসবে। আমাদের চোখের সামনে যে পঙগু প্রজন্ম গড়ে উঠছে তা দৃশ্যমান থাকার পরেও ফলাফল ফের নোটিশ বোর্ডে ঝুলানোর প্রয়োজন অনুভব করছি না। একসময় শিক্ষার্থীরা প্রাথমিকে যতটুকু বিদ্যা অর্জন করেছে এখন ছাত্ররা মাধ্যমিকেও ততটুকু বিদ্যা অর্জন করতে পারছে না। শত তদবীর করার পরেও ছাত্ররা দক্ষ হয়ে উঠছে না। লেখাপড়ার মাঝপথে শত শত শিক্ষার্থী ঝরে যাচ্ছে। লেখাপড়া শেষের পরেও অনেকেই হারিয়ে যাচ্ছে, নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর মূল সমস্যা কোথায়! 

আমি বলব, বর্তমানের স্মার্ট প্রজন্মের এই বেহাল দশার সবচেয়ে বড় কারণ ‘অভিভাবকশূণ্যতা’। এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। আপনি বলতেই পারেন, যুগের পরিবর্তনে সন্তানের প্রতি বাবা-মা আরো বেশী যত্নবান হয়েছেন। অভিভাবকের স্থান আরো পূর্ণতা পেয়েছে। তবে এমন ধারণা সঠিক নয়। কারণ, অভিভাবকের স্থান তখনই পূর্ণতা পাবে যখন সন্তান আপনাকে অভিভাবক বলে মেনে নেবে। অবশ্য সেটা খাতা কলমে নয় বরং জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে। আর এই ধরণের সন্তানের সংখ্যা আজ হাতের আঙগুলে সীমাবদ্ধ।

আপনি নিজেকে খুব জাঁদরেল অভিভাবক ভাবলেও সন্তান নিজের সিদ্ধান্তে আপনার মতামতের চার আনাও দাম দিচ্ছে না। সে আপনাকে উত্তম পরামর্শদাতা বা সিদ্ধান্তদাতা হিসাবে মানতে পারছে না। যে সমাজে উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েদের শেখান হচ্ছে, ‘নিজের জীবন, নিজের ইচ্ছা’ সেখানে অভিভাবক শব্দটি খাতা-কলমে সীমাবদ্ধ হওয়াই স্বাভাবিক। সুতরাং এই কঠিন সমস্যার পেছনে যে পিতা-মাতা ও শিক্ষক সম্পর্কে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির বড় অবদান রয়েছে তা নতুনভাবে বলার অপেক্ষা রাখে না।

আমাদের করণীয় : করণীয় বিষয়গুলো আলোচনা করার পূর্বে সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ এই যে, যদি কোন তালিবুল ইলম স্বাধীনচেতা প্রতিবন্ধী মানসিকতার হয় তবে এই আলোচনা তার জন্য নয়। এই আলোচনা সে সকল তালিবুল ইলমের জন্য যারা স্বেচ্ছাচারী জীবন যাপন করতে চায় না। যারা টিকটক আর অনলাইন গেমসের আধুনিকতার দিকে নয় বরং সফলতার দিকে অগ্রসর হ’তে চায়। যারা শিক্ষার সাথে মিশে গিয়ে শিক্ষা-উদ্যোক্তা হ’তে চায়। বাগানের সকল ফুলই পূর্ণতা লাভ করে সুবাস ছড়াবে না। কিছু ফুল পোকায় খাবে, কিছু ফুল ঘ্রাণ ছড়াবে। এমনটাই স্বাভাবিক। তবে আমরা শিক্ষার্থীদের এমন পথ দেখিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব, যে পথে একেকটি ফুল একেকটি অগ্নিশিখা হয়ে আত্মপ্রকাশ করবে ইনশাআল্লাহ।

সর্বপ্রথম আমাদেরকে কূপ থেকে মরা কুকুর সরাতে হবে। হ্যঁা, ব্যবসায়ী, স্বার্থপর, অলস কিছু শিক্ষক থাকতে পারেন। আল্লাহ তাঁদেরকে হেদায়েত দান করুন। মনে রাখতে হবে, তাঁরা অসম্মানের পাত্র নন, আবার অনুসরণেরও পাত্র নন। তবে এর বাইরে একনিষ্ঠ, নিবেদিতপ্রাণ, পরিশ্রমী শিক্ষকের সংখ্যাও কম নয়। তাঁরা আমাদের শুভাকাঙ্খী। তাঁরা সর্বদা আমাদের কল্যাণ কামনা করেন। তাঁরা আমাদের জন্মদাতা পিতার মতই শ্রদ্ধা, সম্মান ও অনুসরণের পাত্র। এই বিশ্বাস অন্তরে বদ্ধমূল করতে হবে। বলা যায়, এই বিশ্বাসই একজন শিক্ষার্থীর চূড়ান্ত সফলতার সোপান হ’তে পারে।

এক বা একাধিক অভিজ্ঞ ও হিতাকাঙ্খী শিক্ষকের সাথে পরামর্শ করেই জীবনের প্রতিটি ধাপ ফেলতে হবে। পরামর্শ আমাদের প্রতিটি ধাপ নির্ভুল করবে। আমি বলছি না, সবাইকে শিক্ষকের সাথেই পরামর্শ করতে হবে। যদি কারো বাবা উচ্চ শিক্ষিত হয় এবং সন্তান যে পথে চলতে চায় সে পথ তার চেনা থাকে, তবে বাবাই হ’তে পারেন উত্তম পরামর্শদাতা। অন্যথায় পরামর্শদাতা হবেন শিক্ষক। খেয়াল রাখতে হবে, বাবা-মা এবং শিক্ষকের বাইরে পরামর্শদাতা যেন তৈরি না হয়। অন্যথায় হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশী। সহপাঠি বা সিনিয়রের পরামর্শ নিরাপদ নয়। তার প্রথম কারণ, তাদের পরামর্শে স্বার্থ লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। দ্বিতীয় কারণ, তারা নিজেরাই পরিনামদর্শী নয়। তারপরও তাদের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে তবে অবশ্যই তা শিক্ষক এবং বাবা-মায়ের মাধ্যমে যাচাই করে নিতে হবে।

শিক্ষকের সাথে পরামর্শ করার অনেকগুলো যৌক্তিক কারণ রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসাবে বলা যায়, একজন ছাত্রের শিক্ষাগত যোগ্যতা, চারিত্রিক মনোভাব ও মেজায সম্পর্কে শিক্ষক যতটুকু জানেন, অনেক ক্ষেত্রে তার বাবা-মাও ততটুকু জানেন না। এমনকি শিক্ষার্থী নিজেও তার অবস্থান সম্পর্কে ততটুকু অবগত নয়। এই গুণাগুণ জানার সুবাদে একজন অভিজ্ঞ শিক্ষক বুঝতে পারেন, তার কোন পথে চলা উচিৎ এবং কীভাবে চলা উচিৎ। কোন পথগুলো সর্বদা এড়িয়ে চলা উচিৎ। কতদূর পড়াশোনা করলে তার জন্য ভাল হবে। এই মেধা এবং যোগ্যতা নিয়ে কোন প্রফেশনে গেলে সে জীবনে সফল হ’তে পারবে।

আরো একটি কারণ বলা যায়, শিক্ষার্থী শিক্ষকের নিয়মিত সংস্পর্শে থাকা। মূলতঃ এটার জন্যই শিক্ষকের মাঝে শিক্ষার্থীর হালচাল সম্পর্কে মযবূত ধারণা সৃষ্টি হয়। এজন্য নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যেই পরামর্শদাতা নির্বাচন করা দরকার। কারণ, প্রতিটি পদক্ষেপ যার সাথে পরামর্শ করে গ্রহণ করা হবে তাকে অবশ্যই সবর্দা নাগালের ভেতরে পেতে হবে। পরামর্শ নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত সচেতন কিছু তালিবে ইলমও দেখেছি যারা এক প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত থেকে ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের সাথে পরামর্শ করত। তবে ফলাফলে তাদেরকে সফল হ’তে দেখিনি। কারণ, দুই তিনমাস পর পর সাক্ষাৎ হওয়ার কারণে সম্পর্কও ঘনিষ্ট হয় না। সব বিষয়ে পরামর্শও হয় না। পরামর্শদাতা শিক্ষার্থী সম্পর্কে অধিক অবগত না হওয়ার কারণে তার বিষয়গুলো ভেতর থেকে বুঝতেও পারেন না। কখনো তাকে নিয়ে ভাবার প্রয়োজনও বোধ করেন না। কারণ, নিজের ‘ক্লাসের শিক্ষার্থী’ আর ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ‘অনুরাগী’র ভেতরে ঢের পার্থক্য আছে। ফলাফলে পরামর্শদাতা প্রসিদ্ধ জ্ঞানী ব্যক্তি হ’লেও তার পরামর্শগুলো পরামর্শগ্রহীতার জীবন গঠনের উপযোগী হয়ে ওঠে না।

শেষকথা : শিক্ষকের সাথে পরামর্শের মাধ্যমে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানোর অজস্র উদাহরণ দেয়া যাবে। এর গুরুত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রশংসাপত্র বা তাযকিয়াহ’ এর গোড়া বিশ্লেষণ করলেও আলোচনা কয়েক পাতা অতিরিক্ত হবে। শুধু তাই নয়, দেশের কওমী অঙ্গনেও পরামর্শদাতার বেশ গুরুত্ব রয়েছে। সেখানে পরামর্শদাতাকে ‘তালীমী মুরববী’ নামে অবহিত করা হয়। দেশের নামকরা কওমী মাদরাসাগুলোতে শিক্ষকতার আবেদন করলে আবেদন কারীর ‘তা‘লীমী মুরববী’ কে ছিলেন এটা যাচাই করা হয় এবং তার সাথে যোগাযোগ করে আবেদনকারীর কিতাবী যোগ্যতা সম্পর্কে জেনে নেয়া হয়। এই মাদরাসাগুলোতে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে অভিভাবকের স্থানে তালীমী মুরববীর পরিচয় এবং স্বাক্ষরে সহজে ভর্তিও হওয়া যায়। তবে দিনে দিনে তারাও এধারা থেকে সরে যাচ্ছে। নিজেদেরকে যোগ্য এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করায় তারাও জীবন স্রোতে হারিয়ে যাচ্ছে।

প্রিয় তালিবুল ইলম! তোমার জীবনের মোড়ে মোড়ে চৌরাস্তা। নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে কোন মোড়ে কোন রাস্তা ধরতে হবে এটা তুমি জান না, তোমার শিক্ষক জানেন। কারণ, তুমি আজ যে পথ অতিক্রম করছ, বহু আগে তিনি সেই পথ অতিক্রম করে এসছেন। হয়ত সে যুগে পথ কাঁচা ছিল, পথের ধারে ঝোপ-ঝাড় ছিল, এ যুগে সেই পথ পাকা সড়ক হয়েছে, পথের ধারে বড় বড় দালান কোঠা হয়ে চেহারা পরিবর্তন হয়েছে। তোমাকে মনে রাখতে হবে, পথের চেহারা যুগে যুগে বদলাতে পারে তবে পথ কখনো বদলায় না।

হাযার বছর আগে ইমাম বুখারী (রহঃ) তৈরি হয়েছেন। এযুগেও যদি তুমি ইমাম বুখারীর মত হ’তে চাও তবে তোমাকেও সে পথই অবলম্বন করতে হবে। তিনি পায়ে হেঁটে, উটের পিঠে ইলমের জন্য ছফর করেছেন, তুমি উন্নত যানবাহনে ছফর করবে। তিনি দোয়াত কলমে লিখেছেন, তুমি হয়ত কম্পিউটারে লিখবে। এটাকে বলে পথের চেহারার পরিবর্তন। আজ বোখারা হারিয়ে গেছে, দোয়াত কলম হারিয়ে গেছে বলে বুখারী তৈরি হবে না এমন তো নয়। বোখারা হারালেও বুখারীর পথ ও পন্থা আজও আমাদের সামনে উপস্থিত। আজও যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ, মুফাসসির, মুনাযির তৈরি হ’তে পারে। বাগানের শতভাগ ফুল পূর্ণতা লাভ করে সুবাস ছড়াতে পারে। তবে তার জন্য অভিজ্ঞ শিক্ষকের পরামর্শ, দিকনির্দেশনা ও ইলমী ছোহবত আবশ্যক। তাই এসো! অভিজ্ঞ ও হিতাকাঙ্খী শিক্ষকের পরামর্শে জীবন সাজাই। পরামর্শ গ্রহণ করার মানসিকতা আজ শিক্ষার্থীদের মাঝে খুবই কম। এসো! সেই কমের মাঝেই গণ্য হই, ইলমী নূরের রত্ন হই।

* শিক্ষক, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহী।







আরও
আরও
.