সম্মেলনের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি নিম্নোক্ত প্রস্তাবনা সমূহ পেশ করা হয়। ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আবুল কালাম প্রস্তাবনা পাঠ করেন ও উপস্থিত সকলে তা সমর্থন করেন।-

১. ৯০% মুসলিমের দেশ বাংলাদেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে ঢেলে সাজাতে হবে।

২. প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত বিশুদ্ধ ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। মাদ্রাসা ও স্কুল-কলেজের সিলেবাস থেকে নতুন পরীক্ষাপদ্ধতি বাতিল করে বাস্তবসম্মত এবং শিক্ষাবান্ধব পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করতে হবে। ৩. মুসলিম সমাজে অনুপ্রবিষ্ট শিরক-বিদ‘আত, কুসংস্কার, জঙ্গীবাদ, চরমপন্থাসহ যাবতীয় ভ্রান্ত মতবাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ধর্মমন্ত্রণালয়ের অধীনে আহলেহাদীছসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের সমন্বয়ে একটি ‘ধর্মীয় উপদেষ্টা পরিষদ’ গঠন করতে হবে।

৪. কোটা নয়, মেধা মূল্যায়নের মাধ্যমে সবাইকে সমানভাবে দেশ সেবার সুযোগ দিতে হবে। জাতীয় বাজেটে নির্দলীয়ভাবে সকল যুবকদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে।

৫. ছেলে ও মেয়েদের সহশিক্ষা প্রথা বাতিল করতে হবে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রেখে পৃথক কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

৬. অফিস-আদালত থেকে ঘুষ ও দুর্নীতি বন্ধের জন্য আলেমদের সমন্বয়ে সরকারীভাবে একটি ‘সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজ থেকে নিষেধ’ বিভাগ সৃষ্টি করতে হবে।

৭. অসাধু ব্যবসায়ী ও মওজূদদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে হবে।

৮. বিনোদন ও সংস্কৃতির নামে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনার অবাধ প্রসার বন্ধ করতে হবে। সেই সাথে শহরে-গ্রামে যত্রতত্র মদ, জুয়া এবং লটারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৯. এই সম্মেলন আহলে কুরআন, কাদিয়ানী, হিজবুত তাওহীদ, দেওয়ানবাগী প্রভৃতি ইসলামের নামে ভ্রান্ত ফের্কাসমূহ প্রতিরোধে সরকারীভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানাচ্ছে।

১০. এই সম্মেলন ইস্রাঈলের পাশবিক হামলার শিকার অসহায় ফিলিস্তীনী মুসলিম ভাই-বোনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছে এবং ইস্রাঈলের অস্ত্রসরবরাহকারী যুক্তরাষ্ট্রসহ পশু শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে। সেই সাথে বাংলাদেশ সরকারকে সকল বিশ্বফোরামে ভূমিকা রাখার আহবান জানাচ্ছে। সর্বোপরি দখলদার ইস্রাঈলকে প্রতিরোধে আল্লাহর গায়েবী মদদ প্রার্থনা করছি। 






আরও
আরও
.