কোপার্নিকাস বীরের মর্যাদায় ফের সমাহিত

সূর্য ও অন্যান্য গ্রহ-নক্ষত্র পৃথিবীর চারপাশে নয়; বরং পৃথিবীই সূর্যের চারপাশে ঘোরে এই যুগান্তকারী আবিষ্কার করে ক্যাথলিক চার্চের চরম তিরষ্কারের মুখে পড়েছিলেন পোল্যান্ডের জ্যোতির্বিদ নিকোলাস কোপার্নিকাস। মৃত্যুর পর নাম-পরিচয়হীনভাবে অবহেলায় কবর দেওয়া হয় তাঁকে। তাঁর মৃত্যুর প্রায় ৫০০ বছর পর গত ২১ মে কোপার্নিকাসকে বীরের মর্যাদায় পুনরায় সমাধিস্থ করেছে পোলিশ ক্যাথলিক চার্চ।

কোপার্নিকাস ক্যাথলিক চার্চের কর্মকর্তা ও চিকিৎসকের দায়িত্বও পালন করতেন। জ্যোতির্বিদ হিসাবে তখন তিনি একেবারেই অপরিচিত ছিলেন। সে সময় প্রচলিত বৈজ্ঞানিক মতবাদ ও ধর্মীয় বিশ্বাস ছিল পৃথিবী সারা বিশ্বের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছে। কিন্তু কোপার্নিকাস দাবী করেন, পৃথিবীই সূর্যকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে। এই তত্ত্বের জন্য তৎকালীন চার্চ কোপার্নিকাসকে বিপথগামী আখ্যা দিয়ে চরম নিন্দা করে। ১৫৪৩ সালে মৃত্যুর পর পোল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে ফামবর্ক নামক স্থানে কোনো নামফলক ছাড়াই কবর দেওয়া হয় তাঁকে। কোপার্নিকাসের মৃত্যুর পর ইতালীয় জ্যোতির্বিদ গ্যালিলিও তাঁর তত্ত্বের সত্যতা প্রমাণ করেন। কোপার্নিকাসের লেখা ‘অন দ্য রেভল্যুশনস অব দ্য হেভেনলি সিয়ারস’ বইটিকে আধুনিক জ্যোতির্বিদ্যার সূচনাবিন্দু বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।

২০০৪ সাল থেকে কোপার্নিকাসের কবর খোঁজার কাজ শুরু হয়। স্থানীয় পাদ্রীদের সঙ্গে কথা বলে একটি কবর থেকে যেসব হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়, সেগুলোর সঙ্গে তাঁর একটি বইয়ে পাওয়া চুলের ডিএনএ মিলে যায়। এরপর কোপার্নিকাসের দেহাবশেষ পোল্যান্ডের ওলস্টিন শহরের কাছে রাখা হয়। গত শুক্রবার কোপার্নিকাসের দেহাবশেষ রাখার কফিনটি তাঁর স্মৃতিবিজড়িত শহরগুলোতে ঘোরানো হয়। গত ২১ মে কফিনটি পুনরায় সমাধিস্থ করার আগে পোল্যান্ডের ক্যাথলিক চার্চের প্রধান কোপার্নিকাসের প্রতি সম্মান জানান। ‘কোপার্নিকাসের পরিশ্রম, কাজ ও বৈজ্ঞানিক মেধার কারণে স্থানীয় ক্যাথলিক চার্চ সম্মানিত বোধ করছে’ বলেন ফমবর্ক এলাকার আর্চবিশপ ওসিয়েচ জিয়েমবা।

হাইড্রোজেন তৈরীর সহজ উপায়

কম দামের ধাতব উপাদান ব্যবহার করে পানি থেকেই হাইড্রোজেন গ্যাস বানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আর এভাবে সস্তায় তৈরী করা গেলে ভবিষ্যতে নবায়নযোগ্য শক্তির জগতে হাইড্রোজেনই প্রধান ভূমিকা রাখবে বলে জানা গেছে। আমেরিকার এনার্জি ডিপার্টমেন্টের অন্যতম গবেষণাগার ন্যাশনাল লরেন্স বার্কলেতেই বিজ্ঞানীরা এই গ্যাসটি তৈরী করতে পেরেছেন। পানি থেকে হাইড্রোজেন তৈরীতে সহায়ক কম দামের এই ধাতব উপাদানটির নাম মলিবডেনাম-অক্সোমেটাল কমপ্লেক্স। প্লাটিনামের তুলনায় এর দাম ৭০ ভাগের এক ভাগ। আর এজন্যই পানির অনুতে ভাঙ্গন ধরাতে এখন এই উপাদানটি সবচেয়ে বেশী ব্যবহার হচ্ছে। উপাদানটি সহ আবিষ্কারক হিমামালা করুনাদাস জানান, এ ধরনের উপাদানের সঙ্গে কোনো জৈব উপাদান ব্যবহারের দরকার হয় না। নোংরা এবং সাগরের লোনা পানিতেও কাজ করতে পারে উপাদানটি। সাগরের পানি হাইড্রোজেনের বড় ধরনের আধার। একই সঙ্গে লবণাক্ত হওয়ার কারণে বিদ্যুতের সহায়তায় সাগরের পানির উপাদানগুলো আলাদা করাও সহজ। কোনো ধরনের ক্ষতিকর উপজাতক তৈরী না হওয়ার কারণেই নিরাপদ শক্তির অন্যতম উৎস মনে করা হচ্ছে হাইড্রোজেনকে।






আরও
আরও
.