রোগীকে পর্যবেক্ষণ করবে ইলেক্ট্রনিক ট্যাটু
চুলের মতো পাতলা একটি ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রের উদ্ভাবন করেছেন গবেষকেরা। যা ভবিষ্যতে রোগীর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার পাশাপাশি তা রেকর্ড করবে। এপিডারমাল ইলেকট্রনিক সিস্টেম (ইইএস) নামে ইলেক্ট্রনিক এ যন্ত্রটি লাগানো থাকবে রোগীর দেহে। দেখাবে ট্যাটুর মতো। শরীরের ওপর পানি ছিটিয়ে এটি স্থাপন করা যাবে। টান দিলেই আবার উঠে আসবে। মানুষের ত্বকের মতোই এটি নরম। যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও সিঙ্গাপুরের গবেষকেরা এটি উদ্ভাবন করেছেন। গবেষকেরা বলেছেন, এই ইলেক্ট্রনিক ট্যাটু মস্তিষ্ক, হৃৎপিন্ড ও মাংসপেশির কোষের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে।
আসছে হাযার বছর স্থায়ী ডিভিডি
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অপটিক্যাল ডিস্ক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মিলেনিয়েটা এবং হিটাচি-এলজি কর্তৃপক্ষ দাবী করেছে, তারা এমন প্রযুক্তিতে ডিভিডি তৈরী করেছে যা হাযার বছর তথ্য ধরে রাখতে পারবে। জানা গেছে, মিলেনিয়েটা সম্প্রতি ‘এম-ডিস্ক’ এবং ‘এম-ডিস্ক রেডি’ নামের দুই ধরনের ডিস্ক তৈরী করেছে। লেজার প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাইট করা সাধারণ ডিভিডির তথ্য সহজেই নষ্ট হয়ে যায়, তবে মিলেনিয়েটার ডিস্ক প্রতিদিন ব্যবহার করলেও শতাব্দীর পর শতাব্দী টিকে থাকবে। এটা তৈরী করা হয়েছে পাথরের মতো অজৈব পদার্থ দিয়ে। এ ডিস্কটির তথ্য ৯৩২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায়ও টিকে থাকে।
মোবাইল চার্জ হবে বাতাসে
সম্প্রতি গবেষকরা জানিয়েছেন, বাতাস থেকে শক্তি আহরণ করেই চলবে মোবাইল ফোন। একই প্রযুক্তিতে চলবে তারহীন সেন্সর এবং অন্যান্য যোগাযোগ যন্ত্রে ব্যবহৃত চিপসও। শক্তি সঞ্চারী এ ডিভাইসটি তৈরী করেছেন জর্জিয়া টেকনোলজিক্যাল স্কুল অফ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং-এর গবেষকরা। এ ডিভাইসটি জুতার সঙ্গেও বেঁধে রাখা যায়। এটি নিজে থেকেই চালু হ’তে পারে। এমনকি অন্য কোন যন্ত্রের সাহায্যেও এ ডিভাইসটি চালানো যায়।
সকালের ধূমপানে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশী
সকালে ঘুম ভাঙ্গার আধা ঘণ্টার মধ্যে ধূমপান করলে ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায় দ্বিগুণ। সাত হাযার ৬১০ জন ধূমপায়ীর ওপর জরিপ চালানোর পর এই মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ‘আমেরিকান জার্নাল অব ক্যান্সার’-এর এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেয়া হয়েছে। আমেরিকার পেন স্টেট কলেজের মেডিসিন বিভাগের একদল গবেষক এই প্রতিবেদনটি তৈরী করেছেন। জরিপে দেখা গেছে, ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত ধূমপায়ীদের ৭৯ শতাংশই ঘুম ভাঙার সঙ্গে সঙ্গেই মুখে সিগারেট তুলত। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনের শুরুতেই প্রথমে ধরানো সিগারেটটি সবাই একটু দ্রুত এবং জোরে টানে। যার ফলে এর ধোঁয়া ফুসফুসকে খুব দ্রুত আক্রান্ত করে এবং বেড়ে যায় ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি।