ছিয়াম
রাখলে ধ্বংস হয় ক্যান্সার ভাইরাসের জীবাণু। গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই এক
তথ্য। ছিয়ামের ওপর গবেষণা করে এ ফলাফল জানিয়েছেন জাপানী গবেষক ওশিনরি
ওসুমি। এ বিষয়টি নিয়ে ওশিনরি ২০১৬ সালে ‘অটোফেজি’ নামক একটি শারীরিক
প্রক্রিয়ার আবিষ্কার করেন এবং নোবেল পুরস্কার পান। কিভাবে ছিয়ামের মাধ্যমে
ক্যান্সারের জীবাণু ধ্বংস হয়, সেটি জানতে হ’লে শুরুতে জানতে হবে ‘অটোফেজি’
সম্পর্কে। ‘অটোফেজি’ শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ অটো ও ফাজেইন থেকে। বাংলায়
যার অর্থ হচ্ছে আত্মভক্ষণ বা নিজেকে খেয়ে ফেলা। এটি এমন একটি জৈব রাসায়নিক
প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে শরীরের ক্ষয়িষ্ণু ও অপ্রয়োজনীয় কোষাণুগুলো ধ্বংস ও
পরিচ্ছন্ন হয়। এটি হ’ল কোষের এক আবর্জনা পরিচ্ছন্নকরণ প্রক্রিয়া। এক কথায়,
কোষের কার্যক্ষমতাকে ঠিক রাখতে এই প্রক্রিয়ার কোন বিকল্প নেই। ছিয়াম ছাড়াও
ক্যানসারের জীবাণু ধ্বংসের ক্ষেত্রে বেইজিং সামরিক হাসপাতালের চিফ
এক্সিকিউটিভ অধ্যাপক চেন হোরিন বলেন, ‘গরম পানি এবং লেবু- এই দুইয়ের মিশ্রণ
ক্যান্সার কোষকে মেরে ফেলে। এক কথায় এক গ্লাস গরম পানি আর লেবু আপনাকে
বাঁচিয়ে দিতে পারে। বিজ্ঞানের ভাষায় গরম লেবু থেকে এন্টি ক্যানসার ড্রাগ
বের হয়। শুধু ক্যান্সার নয়, টিউমারের উপরেও গরম লেবুর রসের একটি কার্যকরী
প্রভাব আছে।