দুধ থেকে কাপড়!

জার্মানির হ্যানোফোরের এক তরুণ ফ্যাশন ডিজাইনার বাড়ির ফ্রিজে সংরক্ষিত দৈনিক খাবার থেকেই কাপড় তৈরি করেছেন। আর খাবারটি হচ্ছে একটি জনপ্রিয় পানীয় ‘দুধ’। দুধের মধ্যে থাকা প্রোটিনসমূহ ঘনীভূত করে তৈরি করা ‘কিউ মিলচ’ নামের এ কাপড়টি কোন রাসায়নিক ছাড়াই মানুষের হাতে তৈরি বিশ্বের প্রথম তন্তু। কিউ মিলচের উদ্ভাবক ২৮ বছর বয়সী আঙ্কে ডমাস্ক বলেন, এটা রেশমের মতো নরম ও কোন গন্ধ নেই। এটা ধোয়াও যাবে অন্য যেকোন কাপড়ের মতোই। তিনি জানান, এটি তৈরিতে অত্যন্ত ঘনীভূত ননী এবং কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা হয়। প্রথমে গুঁড়োদুধ থেকে ননী আলাদা করে নিয়ে গোশত কিমা করার যন্ত্রের মতো একটি যন্ত্রের সাহায্যে তাপ প্রয়োগ করে অন্যান্য উপাদানগুলোর সঙ্গে মেশানো হয়, তন্তু বেরিয়ে আসতে শুরু করলে তা অন্য যন্ত্রের সাহায্যে গুটিয়ে নেয়া হয়। মাত্র ছয় লিটার দুধ থেকে একটি পোষাক তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পুরো কাপড় পাওয়া যায়।

পৃথিবীতে ৮৭ লাখ প্রজাতির প্রাণী আছে

সম্প্রতি কানাডার একদল গবেষক পৃথিবীতে কত হাযার প্রজাতির প্রাণী রয়েছে তা গবেষণা করে দেখতে পান যে, পৃথিবীর বুকে এ মুহূর্তে বাস করছে প্রায় ৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন (৮৭ লাখ) প্রজাতির প্রাণী। এর মধ্যে ৭৮ লাখ প্রজাতি হ’ল মেরুদন্ডী, স্তন্যপায়ী, সরীসৃপ অথবা উভচর প্রাণী। ২ লাখ ৯৮ হাযার উদ্ভিদ; ৬ লাখ ১১ হাযার ফাংগাস; ৩৬ হাযার ৪০০ প্রটোজায়া এবং অ্যালগি ও জলজ প্রাণীসহ ২৭ হাযার ৫০০ ক্রোমিষ্ট রয়েছে। কানাডার ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানান, ভূপৃষ্ঠের প্রায় ৮৬ শতাংশ এবং সামুদ্রিক প্রায় ৯১ শতাংশ প্রজাতির প্রাণীকে এখনও নথিভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। মোটকথা, সর্বশেষ এ গবেষণার ফলে দেখা গেছে, এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা প্রাণীজগতের ৯০ শতাংশ প্রাণীরই কোন সন্ধান দিতে পারেননি।

হীরের তৈরি গ্রহের সন্ধান

হীরের তৈরি একটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবী থেকে ৪ হাযার আলোকবর্ষ দূরে এই গ্রহের সন্ধান মিলেছে। এই গ্রহে হীরা রয়েছে অত্যন্ত ঘনীভূত অবস্থায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, নতুন এই গ্রহের ঘনত্ব প্রতি ঘন সেন্টিমিটারে কমপক্ষে ২৩ গ্রাম। এই ঘনত্ব সীসার চেয়ে দ্বিগুণ। এই গ্রহটি একটি কার্বন সমৃদ্ধ সাদা বামন নক্ষত্র। এর অন্তর্বর্তী চাপ অত্যন্ত বেশি। আর এই অত্যধিক চাপের কারণেই কার্বন ঘনীভূত হয়ে হীরার স্ফটিকে রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, নতুন এই হীরার গ্রহটির ব্যাস ৫৫ হাযার কিলোমিটার বা পৃথিবীর ব্যাসের পাঁচগুণ হ’তে পারে। কার্বনের পাশাপাশি এর পৃষ্ঠে অধিক পরিমাণে অক্সিজেন থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূর্যের আলোকে জ্বালানীতে রূপান্তরের কৃত্রিম পাতা

মার্কিন বিজ্ঞানীরা একটি ‘কৃত্রিম পাতা’ আবিষ্কার করেছেন, যা সূর্যের আলোকে জ্বালানীতে রূপান্তরিত করে। এটি পরবর্তীতে সংরক্ষণ ও ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রত্যেক পাশে অনুঘটক পদার্থ লাগিয়ে সিলিকন সোলার সেলকে পানি ভর্তি একটি কন্টেইনারে রাখা হ’লে এর এক পাশে অক্সিজেনের বুদবুদ এবং অপর পাশে হাইড্রোজেনের বুদবুদ উৎপাদিত হয়- যা পৃথক ও সংগ্রহ করা যেতে পারে। এই গ্যাসকে একটি জ্বালানী সেলে ঢুকালে তা পুনরায় পানিতে রূপান্তরিত হয়। এ সময় একটি বৈদ্যুতিক স্রোতের সৃষ্টি হয়। এই ‘পাতা’ খুবই কমদামী পদার্থ দিয়ে তৈরী।






আরও
আরও
.