কানেটিকাটে নিজের বাড়ির কাছের বায়তুল আমান জামে মসজিদে গুলি ছুঁড়েছিলেন সাবেক মার্কিন সেনা টেড হ্যাকি। প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি ২০১৫ সালে এই কাজ করেন। এরপরই পাল্টে যায় তাঁর জীবন। টেড হেকিকে এখন সেই মসজিদে তার মুসলিম প্রতিবেশীদের পাশে হাঁটু পেতে প্রার্থনায় মগ্ন থাকতে দেখা যায়। ২০১৫ সালে প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার রাতে ৪৮ বছর বয়সী হেকি মদ্যপান করে। অতঃপর সকালে বাড়িতে গিয়ে রাইফেল লোড করে মসজিদের পাশে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এই ঘটনার পর তাকে ঘৃণা করার পরিবর্তে মসজিদের সভাপতি ড. মুহাম্মাদ কুরেশী আশা করেছিলেন, তিনি হেকি ও তার স্ত্রীর কাছে কি ঘটেছিল সে সম্পর্কে জানতে চাইবেন। তাই হামলার পাঁচ মাস পর কুরেশী তাকে মসজিদে আয়োজিত ‘সঠিক ইসলাম ও উগ্রবাদ’ শীর্ষক সেমিনারে আমন্ত্রণ জানান।
হেকি সেখানে হাযির হলে মুসলিমরা তাকে স্বাগত জানান। সকল ধর্মের মানুষ এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে প্রকৃত ইসলাম ও উগ্রবাদ সম্পর্কে আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে তিনি তার বক্তব্যে হামলার কথা স্মরণ করে অনুতপ্ত হন। তিনি তার ভুল বুঝতে পারেন এবং সবার কাছে ক্ষমা চান। সবাই তাকে আন্তরিকভাবে ক্ষমা করে দেয়। হেকি বলেন, আমি আসলে ইসলাম সম্পর্কে এতদিন ভুল ধারণার ওপর ছিলাম। ইসলাম কখনো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সমর্থন করতে পারে না। পরবর্তীতে ছয় মাসের কারাদন্ড হয় তার। জেলে থাকার সময় নিয়মিত দেখতে যেতেন মসজিদের মুছল্লী আব্দুল মান্নান। এরই মাঝে তার জীবন পাল্টে যায়।
[মুসলিম নামধারী জিহাদীরা কি এ থেকে শিক্ষা নিবে? তাদেরই কারণে আজ ইসলামকে জঙ্গীধর্ম এবং মুসলমানকে সর্বত্র জঙ্গী বলা হচ্ছে। অতএব ফিরে এস প্রকৃত ইসলামের পথে (স.স.)]