স্বদেশ
উপজাতীয়দের আদিবাসী দাবী ও পাবর্ত্যাঞ্চলে খৃষ্টান বানাতে এনজিওগুলোর অপতৎপরতা
পার্বত্যাঞ্চলে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী বিশেষ করে দরিদ্র বৌদ্ধ ও হিন্দু উপজাতি ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর হাযার হাযার মানুষ খৃষ্টান হয়ে যাচ্ছে। পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর সেবার অন্তরালে বিদেশী সাহায্যপুষ্ট এনজিওগুলো প্রায় দুই দশক ধরে চালাচ্ছে ধর্মান্তরিতকরণ তৎপরতা। পার্বত্যাঞ্চলকে খৃষ্টভূমিতে পরিণত করা, এক সময় স্বায়ত্তশাসন (আত্ননিয়ন্ত্রণ অধিকার) দাবী এবং চূড়ান্তভাবে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে পূর্ব তিমুরের মতো স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়েই এ ধর্মান্তরিতকরণ প্রক্রিয়া চলছে। একই লক্ষ্যে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে ‘আদিবাসী’ হিসাবে স্বীকৃতিদানের ইস্যুটিও সম্প্রতি সামনে আনা হয়েছে। উপজাতি জনগোষ্ঠীর জন্য সাংবিধানিকভাবে ‘আদিবাসী’ হিসাবে স্বীকৃতি আদায় সম্ভব হ’লে সরকার ‘আই.এল.ও কনভেনশন ১৬৯’ কার্যকরে বাধ্য থাকবে। আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী সরকারকে তখন উপজাতীয়দের আত্ননিয়ন্ত্রণ অধিকার (স্বায়ত্তশাসন)ও দিতে হবে।
গত ২০ বছরে খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি পার্বত্য যেলার প্রত্যন্ত এলাকায় ১২ হাযার ২শ’ উপজাতীয় পরিবারকে খৃষ্টান বানিয়েছে বিভিন্ন এনজিও। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পেশ করা হয়েছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ সরকারের অন্যান্য সংস্থার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তিন পার্বত্য যেলা খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটিতে বর্তমানে ১৯৪টি গীর্জা উপজাতীয়দের ধর্মান্তরিত করে খৃষ্টান বানানোর ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। এ গীর্জাগুলোকে কেন্দ্র করেই দেশী-বিদেশী এনজিও ও অন্যান্য সংস্থা তাদের সব তৎপরতা চালায়। শুধু বান্দরবান যেলাতেই কমপক্ষে ৩৯টি এনজিও কার্যক্রম চালাচ্ছে। এনজিও ও গীর্জাগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্রিশ্চিয়ান ফ্যামিলি ডেভেলপমেন্ট অব বাংলাদেশ (সিএফডিবি), বাংলাদেশ ব্যাপ্টিস্ট চার্চ ফেলোশিপ, সাধু মোহনের ধর্মপল্লী, বাংলাদেশ ইউনাইটেড ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশন, ক্রিশ্চিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (সিসিডিবি), গ্রাম উন্নয়ন সংগঠন (গ্রাউস), কারিতাস বাংলাদেশ, অ্যাডভেন্টিস্ট চার্চ অব বাংলাদেশ, ক্যাথলিক মিশন চার্চ, রাঙামাটি হোমল্যান্ড ব্যাপ্টিস্ট চার্চ, জিওন ব্যাপ্টিস্ট চার্চ, গ্রীন হিল, আশার আলো প্রভৃতি।
এসব এনজিও ও গীর্জাগুলো স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, নগদ অর্থসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে খৃষ্টধর্মে দীক্ষিত করছে উপজাতীয়দের। উপজাতীয়দের খৃষ্ট ধর্ম গ্রহণের জন্য প্রাপ্য আর্থিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে রোববার বাধ্যতামূলক গীর্জায় যেতে হয়। এমনকি পার্বত্যাঞ্চলে বিভিন্ন স্থান থেকে এসে বসতি স্থাপনকারী মুসলিম পরিবারের শিশুদের সেবা ও আর্থিক সাহায্যের বিনিময়ে গীর্জায় প্রার্থনা করতেও অনুপ্রাণিত করা হচ্ছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক গত ১৫-২৬ জুন পরিচালিত এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
ফারাক্কার প্রভাবে সুন্দরবনের ৩৮ শতাংশ সুন্দরী গাছ আগামরা রোগে আক্রান্ত
ফারাক্কার বিরূপ প্রভাব এবং মিঠা পানির অভাবে সুন্দরবনের সৌন্দর্য সুন্দরী গাছের ব্যাপক ‘টপ ডাইং’ বা আগামরা রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গেছে, বনের অভ্যন্তরে গড়ে প্রায় ৩৮ শতাংশ সুন্দরী গাছ আগামরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আগামরা রোগের কারণে প্রায় ৫০ শতাংশ সুন্দরী গাছ হ্রাস পেয়েছে। গত ৩০ বছরে আগামরা রোগে আক্রান্ত হয়ে সুন্দরবনে ১.৪৪ মিলিয়ন ঘনমিটার সুন্দরী গাছ নষ্ট হয়েছে। নষ্টকৃত কাঠের মূল্য আনুমানিক হাযার কোটি টাকা।
দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন নিহত হচ্ছে ১৩ জন
বর্তমান বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে। দেশে গড়ে প্রতিদিন ১৩ জন নিহত এবং ৪২ জনেরও বেশী আহত হচ্ছে। সরকারী হিসাব অনুযায়ী ১৯৯৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ১৭ বছরে ৭০ হাযার সড়ক দুর্ঘনার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে ১ লাখ ৩ হাযার জন। মারা গেছে ৫০ হাযার ৫শ ৪৪ জন মানুষ। এদিকে ‘সেন্টার ফর মিডিয়া রিসার্চের’ (এমআরটি) বার্ষিক প্রতিবেদনে ২০১০ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহ’তের সংখ্যা ৪ হাযার ৪৮১ জন বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যা গড়ে প্রতিদিন ১২ জনেরও বেশী। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৫ হাযার ৫৬৯ জন অর্থাৎ গড়ে ৪২ জনেরও বেশী।
প্রবল বর্ষণ ও বন্যায় বিপর্যস্ত দেশ
দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রবল বর্ষণের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও নদী ভাঙনে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দেশের সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনা, বাগেরহাট, নড়াইল, কুষ্টিয়া, রংপুর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, চট্টগ্রাম প্রভৃতি যেলায় প্রবল বর্ষণের ফলে লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। শুধু সাতক্ষীরায় পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা ৩ লাখ। সাতক্ষীরায় গ্রামের পর গ্রাম ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে রোপা আমন ক্ষেত, বীজতলা ও আউশ ধান। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাঁচা ঘরবাড়ি। লাখ লাখ লোক বাড়ীঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। কোটি কোটি টাকার চিংড়ি মাছ ভেসে গেছে। উজান থেকে ধেয়ে আসা পানির কারণে যমুনা, মেঘনা, পদ্মা প্রভৃতি নদীগুলোতে ব্যাপক ভাঙ্গনের ফলে বিস্তীর্ণ এলাকার জনপদ, ফসলের জমি, বসতভিটা ও বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। বৃষ্টির পানি ও নোংরা পরিবেশে খোলা জায়গায় বসবাস করার ফলে শিশুরা জ্বর, সর্দিতে আক্রান্ত হয়ে নিউমোনিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এমনকি ভাতের অভাবে ছিয়াম পালন করতেও অনেকে হিমশিম খাচ্ছে। তাছাড়া প্রবল বর্ষণ ও বন্যার কারণে দেশের মহাসড়কগুলোর যাচ্ছেতাই অবস্থা। অধিকাংশ সড়কই যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। বাড়ছে জনদুর্ভোগ।
বিদেশ
হিউম্যান রাইটস ফার্স্টের রিপোর্ট
মার্কিন গোপন কারাগারগুলোতে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত মার্কিন গোপন কারাগারগুলোতে বন্দীদের ওপর শারীরিক নির্যাতনসহ নানা অমানবিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় বলে জাতিসংঘের ধারাবাহিক তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এসব কারাগারে আটক হতভাগ্য বন্দীদের তাদের আইনজীবি কিংবা পরিবার-পরিজনের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয় না। তাছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের সময় মার্কিন কর্মকর্তারা বন্দীদের উলঙ্গ থাকতে বাধ্য করে। বন্দীদের চোখ ও মুখ বেঁধে রাখা হয় এবং ছাদের সঙ্গে দড়ি বেঁধে তাদের দীর্ঘক্ষণ ঝুলিয়ে রাখা হয়। ‘হিউম্যান রাইটস ফার্স্ট’ নামের একটি মানবাধিকার সংগঠনের হিসাব অনুযায়ী আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটিতে অবস্থিত মার্কিন বিশেষ কারাগারে দুই হাযারের বেশী বন্দী রয়েছে। এসব বন্দীকে কোন রকম অভিযোগ বা আইনগত প্রক্রিয়া ছাড়াই দিনের পর দিন আটক রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারত মহাসাগরের দিয়াগো গার্সিয়া দ্বীপ, জর্ডান এবং সাগরে মোতায়েন মার্কিন উভচর জাহাজগুলোতে স্থাপিত বিশেষ বন্দীশিবিরে প্রায় ২৭ হাযার বন্দী রয়েছে।
ভারতীয় মন্ত্রীর নির্দেশ
গীতা পড়, না হয় ভারত ছাড়
ভারতীয় হিন্দুরা তাদের ধর্মগ্রন্থ গীতা পড়ে সম্মান না দেখালে ভারত ছেড়ে ভিন দেশে যাওয়ার কথা বলেছেন দেশটির কর্নাটক রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বিশ্বেস্বর হেগদি কাগেরি। তিনি বলেন, ভগবত গীতা সূর্য সদৃশ। তাই ভারতীয়রা চারপাশের অন্যান্য জিনিসকে যেভাবে সম্মান করে, পবিত্র গীতাকেও সম্মান দেখানো প্রত্যেক ভারতীয়র দায়িত্ব। তিনি আরো বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, কোন ভারতীয় যদি গীতার প্রতি সম্মান না দেখায় তাহ’লে তাদের ভারতের কোথাও স্থান হবে না। তাদের দেশ ত্যাগ করে বিদেশে পাড়ি জমানো উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ভারতে দুর্নীতির ভয়াল থাবা
ভারতে দুর্নীতি ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে। একের পর এক বেরিয়ে আসছে আর্থিক দুর্নীতির ভয়াবহ সব ঘটনা। প্রকাশিত এক তথ্যে জানা গেছে, ইউনিয়ন ব্যাংক অব সুইজ্যারল্যান্ড (ইউবিএস)-এ জমা রাখা টাকার মালিকদের শীর্ষে রয়েছে ভারত। এখানে ভারতীয়দের জমা অর্থের পরিমাণ ১ হাযার ৪৫৬ বিলিয়ন ডলার (১ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশের ৭ হাযার কোটি টাকা)। এ ব্যাংকে জমা রাখা কাল টাকার ভারতীয় মালিকদের শীর্ষে রয়েছে ব্যবসায়ী, রাজনীতিক এবং সরকারী আমলা। ভারতের অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের যে পরিমাণ কাল টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে তা ভারতের বৈদেশিক ঋণের ১৩ গুণ। আর এ টাকা বাংলাদেশের ৬০ বছরের বাজেটের সমান।
২০০৮ সালে ৩০ কোটি গ্রাহকের জন্য মোবাইল সেবা পৌঁছে দিতে বিনা টেন্ডারে আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে ৯টি কোম্পানীকে লাইসেন্স দেয়া হয়। এতে দুর্নীতি হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাযার কোটি রূপী। এবার টেলিযোগাযোগ খাতে যে দুর্নীতি হয়েছে সেই পরিমাণ অর্থ দিয়ে ভারতের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সব মানুষকে আগামী ১০ বছর খাওয়ানো যেত বলে ‘দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে’ প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বলা হয়েছে। দুর্নীতির এ তকমা গায়ে লাগিয়ে এরই মধ্যে পদত্যাগ করেছেন ভারতের টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এ রাজা। তিনি এখন জেলে। এর আগে দুর্নীতির দায়ে পদত্যাগ করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী অশোক সেন এবং কমনওয়েলথ গেমসের আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান সুরেশ কালমাদি। এদিকে সমাজকর্মী আন্না হাজারে দুর্নীতি প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবীতে দিল্লীতে ১৫ দিনব্যাপী অনশন পালন করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে আরো ৩ ব্যাংক বন্ধ
প্রচন্ড অর্থনৈতিক সংকটের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরো তিনটি ব্যাংক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলো হচ্ছে- ফ্লোরিডার পাম বিচের লিডিয়ান প্রাইভেট ব্যাংক, জর্জিয়ার সাউদার্ন ন্যাশনাল ব্যাংক এবং ইলিনয়েস অঙ্গরাজ্যের জেনেভা এলাকার ফার্স্ট চয়েস ব্যাংক। এ নিয়ে চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৮টি ব্যাংক বন্ধ করা হ’ল। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১৫৭। এর আগে ২০০৯ সালে আর্থিক মন্দার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৪০টি ব্যাংক বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
লন্ডনে দাঙ্গা; প্রধানমন্ত্রীর নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কথা স্বীকার
গত ৪ আগষ্ট বৃহস্পতিবার লন্ডনের টটেনহাম এলাকায় পুলিশের গুলীতে মার্ক ডুগান নামের ২৯ বছর বয়সী এক যুবক নিহত হওয়ার প্রতিবাদে শনিবার ৬ আগষ্ট সন্ধ্যায় ঐ এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বেধে যায়। বিক্ষুব্ধ লোকজন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকে হামলা ও লুটপাট করে এবং আগুন দেয় বড় বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, বিপণীবিতান ও গাড়িতে। ক্রমেই এই সহিংসতা ও লুটপাট লন্ডন ছাড়াও বার্মিংহাম, লিভারপুল, নটিংহাম, ব্রিস্টল সহ অন্যান্য স্থানে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। দেশে চরম এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে পার্লামেন্টে যরূরী অধিবেশনও ডাকতে হয়। দাঙ্গাবাজদের হামলায় পাঁচ জন নিহত হয়। প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এ ঘটনার জন্য ব্রিটেনে নৈতিক অবক্ষয়কেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বিগত কয়েক প্রজন্মে আমাদের দেশের বিভিন্ন অংশে যে ধীরগতির নৈতিক অবক্ষয় ঘটে চলেছে, তা প্রতিরোধের মতো দৃঢ়তা কি আমাদের আছে’? তিনি আরো বলেছেন, ‘সমাজের কোথাও কোথাও এমন এক সংস্কৃতি বিরাজ করছে যেখানে শিশুদের কোনটি ভাল কোনটি মন্দ তা শেখানো হচ্ছে না। সেটাই প্রধান সমস্যা’।