দেশের
প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষাক্রম বদলে যাচ্ছে।
পরিমার্জিত এই শিক্ষাক্রম হবে যোগ্যতা ও দক্ষতাভিত্তিক। এর মাধ্যমে
শিক্ষার্থীদের সূক্ষ্ম চিন্তা, সৃজনশীল চিন্তাসহ ১০ ধরনের দক্ষতা শেখানো
হবে। এর সঙ্গে মিল রেখে ভাষা ও যোগাযোগ, গণিত ও যুক্তি, বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, সমাজ ও বিশ্ব নাগরিকত্ব, জীবন ও
জীবিকা, পরিবেশ ও জলবায়ু, মূল্যবোধ ও নৈতিকতা, শারীরিক-মানবিক স্বাস্থ্য ও
সুরক্ষা এবং শিল্প ও সংস্কৃতিসহ ১০টি বিষয় শেখানোর মধ্য দিয়ে একজন
শিক্ষার্থীকে যোগ্য করে তোলা হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড
(এনসিটিবি) ইতিমধ্যে নতুন শিক্ষাক্রম তৈরির কাজ গুছিয়ে এনেছে। সরকারের
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকে দুই বছর মেয়াদি (বর্তমানে এক
বছর) ধরে শিক্ষাক্রম তৈরি করা হচ্ছে। নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে ২০২১ সাল
থেকে শিক্ষার্থীদের নতুন বই দেওয়া শুরু হবে।
এছাড়া মাধ্যমিক স্তর (দশম শ্রেণী) পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে একই ধরনের বিষয় পড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে এনসিটিবি। এ বিষয়ে চূড়ান্ত হ’লে এখনকার মতো নবম শ্রেণী থেকে একজন শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ভাগ করা হবে না। এই ভাগ হবে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে গিয়ে। তবে এটি হ’লেও ২০২৪ সাল থেকে চালু হ’তে পারে। অবশ্য এনসিটিবির চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। শিক্ষাক্রম তৈরির সময় কর্মশালা থেকে এমন প্রস্তাব এসেছে। বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রীর কাছেও উপস্থাপন করা হয়েছে। সবাই এ বিষয়ে ইতিবাচক।
[যেটাই করুন ৫ম শ্রেণীর ও ৮ম শ্রেণীর পাবলিক পরীক্ষা বাতিল করুন! বইয়ের বোঝা কমিয়ে ফেলুন। ইসলামী মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক কিছু যেন চাপানো না হয় (স.স.)]