গত ১৬ই মে সোমবার মাওলানা ভাসানী কর্তৃক ফারাক্কা লংমার্চের ৪৬তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজশাহীর পদ্মাতীরে আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন। সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, তারা আমাদের ৫৪টি নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে নদীগুলিকে হত্যা করেছে এবং আমাদের প্রাণ প্রকৃতি ও জীব বৈচিত্র্য পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দিচ্ছে। পদ্মা, তিস্তা, সুরমা ও এসবের শাখা নদীগুলি এখন মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। তারা আমাদেরকে শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে মারছে এবং বর্ষা মৌসুমে ডুবিয়ে মারছে। তিনি বলেন, দূরদর্শী নেতা মাওলানা ভাসানী আজ থেকে ৪৬ বছর আগে ১৯৭৬ সালের ১৬ই মে রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দান থেকে চাঁপাই নবাবগঞ্জের কানসাট পর্যন্ত লাখো মানুষ নিয়ে লংমার্চ করেছিলেন। সেদিন অযুত কণ্ঠে মানুষ আওয়াজ তুলেছিল, ‘মরণবাঁধ ফারাক্কা ভেঙ্গে দাও গুঁড়িয়ে দাও!’ অথচ আমাদের ধ্বংস করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে শাসক মহলের কোন উচ্চবাচ্য নেই।
[১৯৭৫ সালে নতুন বন্ধুত্বের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তারা ২১শে এপ্রিল থেকে ৩১শে মে’৭৫ পর্যন্ত মাত্র ৪১ দিনের জন্য ফারাক্কা বাঁধ পরীক্ষা মূলক ভাবে চালু করার বিষয়ে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি করে। অথচ বিগত ৪৭ বছর ধরে তারা একতরফাভাবে পানি শোষণ করে চলেছে নির্লজ্জভাবে (দ্র. সম্পাদকীয় ‘ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প চালু’ জুন ২০১৬)। উল্লেখ্য যে, কানসাট থেকে ভারত সীমান্ত ১৬.৭ কি.মি. এবং ফারাক্কার দূরত্ব ৬১.৯ কি.মি. (স.স.)]।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী