যেখানে দেশের
অস্তিত্বের জন্য ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা আবশ্যক, সেখানে বাংলাদেশে আছে ১১.২
শতাংশ। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)-র ২০১৬ সালের তালিকায় নীচ থেকে
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। তার উপরে ২৪.১ ও ২৪.৮ শতাংশ বনাঞ্চল নিয়ে
রয়েছে যথাক্রমে ভারত ও চীন। আর ১.৯ শতাংশ বনাঞ্চল নিয়ে সর্বনিম্নে অবস্থান
করছে পাকিস্তান। অন্যদিকে ৯২.১ শতাংশ বনাঞ্চল নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে
লাওস। এরপরেই রয়েছে ভূটানে ৮১.৫, ব্রুনাইয়ে ৭৯.৭, মালয়েশিয়ায় ৬৭.৬ ও দক্ষিণ
কোরিয়ায় ৬৩.৭ শতাংশ বনাঞ্চল। বাংলাদেশের এ অবস্থান সম্পর্কে জনৈক
পরিবেশবিদ বলেন, বিগত ৩০-৪০ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সুন্দরবন এলাকায়
বনভূমির বিস্তর ক্ষতি হয়েছে। সে তুলনায় নতুন করে বন বাড়ানোর কোন পরিকল্পনা
নেওয়া হয়নি। সেকারণ বনভূমি কমে গেছে।
[পৃথিবীর সর্বাধিক ঘনবসতির এই দেশে প্রতিদিন ফসলী জমি ও গাছ-গাছালি কমছে। তার উপর নদী ভাঙনে স্থলভূমি হ্রাস পাচ্ছে। সেই সাথে বন রক্ষকদের ও ভক্ষকদের যোগ সাজশে প্রতিদিন বনভূমি ধ্বংস হচ্ছে। ইট ভাটার ধোঁয়ায় পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। এরপরে সুন্দরবন ধ্বংসের পূর্ণ আয়োজন নিয়ে আসছে রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। অতএব আত্মঘাতি কর্মকর্তারা আল্লাহর গযবকে ভয় করুন! (স.স.)]