দেশে চা উৎপাদনে নতুন রেকর্ড
দেশে চা উৎপাদনের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হ’তে যাচ্ছে। ২০১৩ সালে ৬ কোটি ৩৫ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে, যা এ শিল্পের ১৫৯ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১২ সালে ৬ কোটি ২৬ লাখ ২০ হাযার কেজি চা উৎপাদন করে চা শিল্প রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল। চা বোর্ডের উপপরিচালক (পরিকল্পনা) ড. কাজী মোযাফফর হোসাইন বলেন, চা শিল্পের জন্য নেয়া কৌশলগত পরিকল্পনা ‘ভিশন-২০২১’ বাস্তবায়ন হ’লে দেশে চা উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে ১০ কোটি কেজি।
তিনি বলেন, বর্তমানে বিদেশে প্রায় দেড় কোটি কেজি চা রফতানী হচ্ছে। ভিশন-২০২১ বাস্তবায়ন হ’লে ২ কোটি কেজি চা রফতানী করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। অবশিষ্ট ৮ কোটি কেজি চা দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে পারবে। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হ’লে বাংলাদেশ হারিয়ে যাওয়া বাজার ফিরে পাবে।
পাহাড়ে স্ট্রবেরি চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা
দেশের পাহাড়ী অঞ্চলে টসটসে, রসালো, মিষ্টি ফল স্ট্রবেরি চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তামাক চাষ থেকে চাষীদের ফিরিয়ে আনতে পাহাড়ের মাটিতে স্ট্রবেরি চাষের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে রাঙামাটি যেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সহযোগিতায় উদ্যোগী হচ্ছে যেলা পুলিশ বিভাগ। রাঙামাটি সুখী নীলগঞ্জ এলাকায় পুলিশ বিভাগের বাগানের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ, বনজ, ঔষধিসহ বিভিন্ন গাছের বাগান। এসব মিশ্র ফলের গাছের পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে স্ট্রবেরি চাষ। উৎপাদিত স্ট্রবেরি দেখে আকৃষ্ট হচ্ছে স্থানীয় চাষীরা।
কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের সূত্রে জানা যায়, সাধারণত যেসব এলাকায় শীত বেশী পড়ে ও বেশীদিন শীত থাকে সেসব এলাকায় স্ট্রবেরি চাষ করা যেতে পারে। যেমন পঞ্চগড়, রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পাবনা, নাটোরেও স্ট্রবেরি চাষ করা হয়। তবে দেশীয় আবহাওয়া, মাটি ও পরিবেশের ভারসাম্যকে কাজে লাগিয়ে পাহাড়ের মাটিতে সঠিকভাবে চাষাবাদের মাধ্যমে স্ট্রবেরির উজ্জ্বল সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো সম্ভব। এতে করে স্থানীয় চাষীরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে।
রাঙামাটি সদরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুযযামান বলেন, ২০১২ সালে ছোট একটি বাগান থেকে আমরা স্ট্রবেরির চাষ শুরু করেছি। সেখান থেকেই চারা তৈরী করে এবার স্ট্রবেরি চাষটা বাড়ানো হয়েছে। ফলনও ব্যাপক হয়েছে। কারণ বাংলাদেশের মধ্যে রাঙামাটির মাটি খুবই উর্বর। তাছাড়া স্ট্রবেরির বাজারমূল্য খুবই ভাল। তাই পাহাড়ে তামাক চাষ কমাতে কৃষিবিভাগের সহযোগিতায় স্ট্রবেরি চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।
ভারতে প্রতি আট মিনিটে একটি শিশু নিখোঁজ হয়
প্রতি আট মিনিটে ভারতে একটি করে শিশু নিখোঁজ হয়। তাদের প্রায় অর্ধেকই আর কোন দিন ফিরে আসে না। অপহরণের শিকার মেয়েশিশুর অনেককে বাধ্যতামূলক যৌন ব্যবসায় নিয়োগ করা হয়। অনেকের ঠাঁই হয় গৃহকর্মী হিসাবে চার দেয়ালের কোন বাড়িতে। ভারত সরকারের ভাষ্যমতে, পাঁচ লাখ শিশু গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করে। শিশুদের পুনর্বাসনে কাজ করা দাতব্য প্রতিষ্ঠান ‘বাচপান বাঁচাও’ আন্দোলনের প্রধান কৈলাশ সত্যাত্রি বলেন, গৃহকর্মে শিশুশ্রম বাড়ার জন্য মধ্যবিত্ত শ্রেণীর চাহিদার একটি ভূমিকা আছে। তারা সস্তায় শ্রম খোঁজে। আর এই সুযোগ নিয়ে পাচারকারীরা নানা কৌশলে শিশু পাচার করে। উল্লেখ্য যে, ভারতে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের শ্রম নিষিদ্ধ। তবে এই আইনের তেমন কোন কার্যকারিতা নেই।
দুবাইয়ে কুরআন পার্ক
পবিত্র কুরআনের মাহাত্ম্য তুলে ধরতে দুবাইয়ে তৈরী করা হচ্ছে একটি বিশাল পার্ক। আগামী বছর দর্শনার্থীদের জন্য ঐ পার্ক উন্মুক্ত করা হ’তে পারে। কুরআনে বর্ণিত ফল ও সবজিসহ মোট ৫৪ প্রজাতির গাছের মধ্যে ৫১ প্রজাতির গাছ থাকবে ঐ পার্কে। ১৫৮ একর জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে এই পবিত্র কুরআন পার্ক। এর অবকাঠামো নির্মাণের কাজ পুরোদমে চলছে। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর একজন পরিচালক নূর মাশরুম বলেন, ডুমুর, ডালিম, জলপাই, পেঁয়াজ, রসুন, বার্লি, মসুর, গম, আদা, লাউ, তরমুজ, হলুদ, তিল, কলা, শসা, পুঁইশাকসহ ৩১ ধরনের গাছ ইতিমধ্যে রোপণ করা হয়েছে। তৃতীয় দফায় রোপণ করা হবে ২০ জাতের গাছ। দ্বিতীয় দফায় ৩২ হেক্টর এলাকা প্রস্ত্তত করা হয়েছে। পার্কটি তৈরি করতে মোট ব্যয় হচ্ছে ৭০ লাখ ডলার। দর্শনার্থীদের ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পবিত্র কুরআনের মু‘জেযা সমূহের বাস্তব চিত্র দেখাতে পার্কে একটি নয়নাভিরাম হরদও থাকছে। আরও থাকছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুড়ঙ্গপথ।