স্বদেশ
এনার্জি ড্রিংকসের নামে মাদকের থাবা
সারা দেশ নেশাজাতীয় এবং যৌন উত্তেজক এনার্জি ড্রিংকসে সয়লাব হয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মানহীন এসব এনার্জি ড্রিংকস খেয়ে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে মানুষ। এ ধরনের এনার্জি ড্রিংকস সেবনের পর শরীরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সাময়িক উত্তেজনার জন্যই যুবসমাজ এই মরণ নেশার দিকে ঝুঁকে পড়ছে। সাম্প্রতিক তথ্য মতে, বাজারে প্রচলিত এসব এনার্জি ড্রিংকসে অপিয়েটস এবং সিলডেনাফিল সাইট্রেট রয়েছে, যা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকায় ভয়ঙ্কর মাদকের উপাদান হিসাবে চিহ্নিত। ঐ ধরনের এনার্জি ড্রিংকসে এম ফিটামিন কেমিক্যাল থাকে। পচা সুপারির রস, গাছ-পালা, লতা-পাতার রস, ছালপচা রস, চিনি, পানি, রাসায়নিক উপাদান ও এ্যালকোহল মিশিয়ে তৈরি করা হয় এসব এনার্জি ড্রিংকস। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব এনার্জি ড্রিংকস নিয়মিত সেবনে হার্ট, লিভার, কিডনি অকেজো হয়ে পড়তে পারে। ক্ষতিকর এসব এনার্জি ড্রিংকসের মধ্যে রয়েছে হর্স পাওয়ার, হর্স ফিলিংস, টাইগার, এনার্জি ড্রিংকস, ডাবল হর্স, এনার্জি পাওয়ার, জিনসিন পাওয়ার, ফাস্ট হর্স, স্ট্রং, রুচিতাসহ নানান নামে যৌন উত্তেজনাকর ও নেশাজাতীয় পানীয় বোতল।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ
গত ১৮ জুলাই বুধবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৭৮.৬৭%। পাসের হার সবচেয়ে বেশি সিলেট বোর্ডে, ৮৫.৩৭%। এছাড়া ঢাকা বোর্ডে ৮১.৮৯%, চট্টগ্রামে ৭২.২৯%, বরিশালে ৬৬.৯৮%, কুমিল্লায় ৭৪.৫৬%, যশোরে ৬৭.৮৭%, দিনাজপুরে ৭৫.৪১% এবং রাজশাহী ৭৮.৪৪% শিক্ষার্থী পাস করেছে। মাদরাসা বোর্ডে এবার পাসের হার ৯১.৭৭%। আর কারিগরী বোর্ডে পাস করেছে ৮৪.৩২% শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্রীদের পাসের হার ৮৯.১৯%, আর ছাত্রদের ক্ষেত্রে ৭৮.২৩%।
বছরে ১৫ হাযার নারী ও শিশু পাচার
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সংঘবদ্ধচক্র গ্রামের দরিদ্র-অসহায় নারী-শিশু পাচার করছে। সীমান্ত দিয়ে তাদের পাশের দেশে পাচার করা হয়। বিদেশে চাকরি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামেও পাচার করা হয় নারীদের। এক সময় শিশুদের চাকরি দেয়ার নামে আরব আমিরাতে পাচার করে উটের জকি হিসাবে ব্যবহার করা হলেও এখন তা অনেকটাই বন্ধ হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার উদ্যোগে শিশুদের উটের জকিতে ব্যবহার বন্ধ হলেও নারী-শিশু পাচার বন্ধ করা যায়নি।
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) তথ্য অনুযায়ী , বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় ১৫ হাযার মানুষ পাচার হচ্ছে। এর বেশিরভাগই নারী ও শিশু। দেশের ২০ যেলার ৯৩টি পয়েন্ট দিয়ে মানুষ পাচার করা হয়। গত ১০ বছরে পাচার হয়েছে প্রায় এক লাখ মানুষ। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত পাচার হয়েছে ১০ লাখেরও বেশি। পাচার হওয়া চার লাখ নারী আটক আছে ভারতের পতিতালয়ে। ১০ হাযারেরও বেশি নারী বিক্রি হয়েছে পাকিস্তানের পতিতালয়ে।
কুমিল্লার শ্রীকাইলে দু’টি স্তরে গ্যাস পেয়েছে বাপেক্স
কুমিল্লার মুরাদনগরের শ্রীকাইলে গত ১৩ জুলাই প্রথম একটি স্তরে গ্যাস পাওয়ার পর সম্প্রতি দ্বিতীয় স্তরেও গ্যাস পেয়েছে বাপেক্স। গত ৩১ জুলাই বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মর্তুযা আহমাদ ফারূক এ কথা জানান। তিনি আরো জানান, গ্যাসের খুব ভালো চাপ আছে। এখানে ভালো মজুদের আশা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এ স্তর থেকে দৈনিক ১৭ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উঠবে। আগামী নভেম্বর মাস নাগাদ প্রতিদিন ৪০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস তোলা সম্ভব হবে। উল্লেখ্য যে, এটি দেশের ২৫তম গ্যাসক্ষেত্র।
শায়খুল হাদীছ আযীযুল হকের ইন্তিকাল
ইসলামী ঐক্যজোটের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাবেক আমীর ও অভিভাবক সদস্য, ছহীহ বুখারীর অনুবাদক আল্লামা আযীযুল হক (৯৪) গত ৮ আগস্ট বুধবার দুপুর সাড়ে ১২-টায় ঢাকার আজিমপুরস্থ নিজ বাসভবনে ইন্তিকাল করেন। ইন্না লিলা-হি ওয়া ইন্না ইলায়হে রাজি‘ঊন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি ৫ ছেলে, ৮ মেয়ে, নাতী-নাতনী, আত্মীয়-স্বজনসহ বহু গুনগ্রাহী রেখে যান। পরদিন বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১-টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে তাঁর জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার ছালাতে ইমামতি করেন তাঁর মেজো ছেলে ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত জামে‘আ রহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাহফূযুল হক। জানাযা শেষে বেলা ১-টার সময় তাঁকে কেরানীগঞ্জের আটিবাজারে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
শিক্ষা জীবন : মাওলানা আযীযুল হক ১৯১৯ সালে ঢাকা যেলার মুন্সিগঞ্জ মহকুমার লৌহজং থানাধীন ভিবিচখা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগহণ করেন। পাঁচ বছর বয়সে তিনি তার মাকে হারান। ৭ বৎসর বয়সে তার পিতা তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামে‘আ ইউনুসিয়ায় ভর্তি করান। সেখানে ৪ বছর অধ্যয়নের পর ১৯৩১ সালে ঢাকার বড় কাটারা মাদরাসায় ভর্তি হন। ১৯৪৩ সালে তিনি সেখান থেকে দাওরায়ে হাদীছ সমাপ্ত করে উচ্চ শিক্ষার জন্য ভারতে গমন করেন। সেখানে তিনি জামে‘আ ইসলামিয়া ও দারুল উলূম দেওবন্দে অধ্যয়ন করেন।
কর্মজীবন : ভারতে পড়াশুনা শেষ করে তিনি ঢাকার বড় কাটারা মাদরাসায় মাসিক ৪০ টাকা বেতনে শিক্ষক হিসাবে যোগদানের মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবনের সূচনা করেন। অতঃপর পর্যায়ক্রমে লালবাগ মাদরাসা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ (ভিজিটিং প্রফেসর), বরিশাল জামে‘আ মাহমূদিয়া, জামে‘আ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া মুহাম্মাদপুর, মিরপুর জামেঊল উলূম, উত্তরা দারুস সালাম, লালমাটিয়া জামে‘আ ইসলামিয়া, সাভার ব্যাংক কলোনী ও বনানী জামে‘আ ইসলামিয়া প্রভৃতি মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন। ১৯৭৮ সালে কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক)-এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সালে ঢাকার মুহাম্মাদপুরে সাত মসজিদের পার্শ্বে জামে‘আ রহমানিয়া আরাবিয়া প্রতিষ্ঠা করেন।
রাজনৈতিক জীবন : ‘নেযামে ইসলাম পার্টি’র রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর ‘জমিয়তে উলামায়ে ইসলামে’র সভাপতি, ১৯৮১ সালে হাফেজ্জী হুজুরের ‘খেলাফত আন্দোলন’-এর নায়েবে আমীর এবং ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের তিনিই মূল রূপকার ও প্রতিষ্ঠাতা মুখপাত্র ছিলেন। পরবর্তীতে তাঁরই ছাত্র মাওলানা ফযলুল করীম যার নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৮৯ সালে তাঁর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস’ এবং ১৯৯১ সালে তাঁকে চেয়ারম্যান করে সমমনা কয়েকটি ইসলামী দল নিয়ে গঠন করা হয় ‘ইসলামী ঐক্যজোট’। তিনি বিভিন্নভাবে রাজনৈতিক যুলুম-নির্যাতনেরও শিকার হন। জেনারেল এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি সর্বপ্রথম কারা নির্যাতিত হন। বাবরী মসজিদ ইস্যুতে আন্দোলন করতে গিয়ে ১৯৯৩ সালের ৯ এপ্রিল ঢাকার বায়তুল মুকাররম চত্বর থেকে গ্রেফতার হন। অতঃপর হাইকোর্টের ফৎওয়া বিরোধী রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে তৎকালীন আওয়ামী সরকারের ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় তিনি তৃতীয় বারের মত গ্রেফতার হন এবং প্রায় চার মাস কারান্তরীণ থাকেন।
প্রচলিত নির্বাচনীয় কিংবা গণতান্ত্রিক রাজনীতির মাধ্যমে সমাজে কিংবা রাষ্ট্রে ইসলামী নীতি-আদর্শের প্রতিফলন ঘটানো খুবই কঠিন বলে তিনি মনে করতেন। তাঁর মতে মানবতার সত্যিকার মুক্তি ও মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার একমাত্র গ্যারান্টি হচ্ছে খেলাফত রাষ্ট্র ব্যবস্থা। তাঁর দল বিভিন্ন নির্বাচনে অংশ নিলেও তিনি নিজে কোনদিন নির্বাচনে প্রার্থী হননি।
বিদেশ
প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের মন্তব্য
মিয়ানমার থেকে বিতাড়নই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান
রোহিঙ্গাদের বিতাড়ন বা জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) পরিচালিত আশ্রয় শিবিরে পাঠানোই রোহিঙ্গা সমস্যার ‘একমাত্র সমাধান’ বলে মন্তব্য করেছেন মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন। মিয়ানমারে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে যারা পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে বাস করছে। তবে মিয়ানমার তাদের নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নিয়েছে। থেইন সেইন বলেছেন, ‘নৃতাত্ত্বিকভাবে যারা আমাদের জনগণ, আমরা তাদের দায়িত্ব নেব। কিন্তু মিয়ানমারে অবৈধভাবে প্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব নেওয়া আমাদের পক্ষে অসম্ভব। রোহিঙ্গারা নৃতাত্ত্বিকভাবে আমাদের জনগণ নয়’।
[এটি একটি ডাহা মিথ্যাচার। রোহিঙ্গারা খৃষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর পূর্ব থেকেই আরাকানের আদি বাসিন্দা। বর্তমানের বৌদ্ধরা ৭৮৮ খ্রীষ্টাব্দের পরের মানুষ। ১৯৪২ সালে বর্মা সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব বাতিল করে স্রেফ মুসলমান ও বাঙ্গালী হওয়ার অপরাধে (দ্রঃ সম্পাদকীয় জুলাই ’১২)]।
রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন অব্যাহত
রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্যাতন এখনো অব্যাহত রয়েছে। মিয়ানমার সরকার এবং মগ বৌদ্ধরা মিলে যেভাবে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে, তার কোন খবরই মিডিয়াতে আসছে না। মিয়ানমারের মংডু এলাকার এক রোহিঙ্গা মুসলমান রেডিও তেহরানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধারণ মগ বৌদ্ধদের নাসাকা পোষাক পরিয়ে মুসলমানদের ওপর গণহত্যা চালানোর অনুমতি দেয়া হয়েছে। তারা একই সঙ্গে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাড়ি-ঘরে গিয়ে লুটপাট চালাচ্ছে, তরুণীদের গণধর্ষণ করছে এবং অন্যান্যদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে।
৮ জুনের পর যরূরী অবস্থা ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত আমাদেরকে ছালাত আদায় করতে দিচ্ছে না সরকার। প্রথমে সরকার ঘোষণা দিল শুক্রবারে জুম‘আর ছালাত পড়তে পারবে না মুসলমানরা। তারপর ঘোষণা দিল কোনো ছালাতই পড়তে পারবে না মসজিদে গিয়ে। সম্প্রতি সরকারী প্রশাসনের লোক, সেনাবাহিনী, নাসাকা ও পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মসজিদে আযান দেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। প্রথম রামাযানে তারাবীহ পড়ানোর অভিযোগে চারজন বিশিষ্ট ইমামকে গ্রেফতার করে কোথায় নিয়ে গেছে তা জানা যায়নি। বুছিডং নামে একটা জায়গায় বৌদ্ধদের চিতা রয়েছে। সেখানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের হত্যার পর গণকবর দিচ্ছে বলে আমাদের অনেকে দেখেছেন’। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী গত জুনে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যা, ধর্ষণ ও গণগ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’। সরকার তাদেরকে রক্ষায় কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানায় সংস্থাটি।
ভারতের মহারাষ্ট্রে ১ বছরে অপুষ্টিতে ২৪ হাযার শিশুর মৃত্যু
ভারতের মহারাষ্ট্রে এক বছরে অপুষ্টিতে ভুগে ২৪ হাযারের বেশি শিশু মারা গেছে। রাজ্যের সরকারী এক প্রতিবেদনে এ মর্মান্তিক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের বিধান সভায় পেশ করা এ প্রতিবেদনে আরো বলা হয়- রাজ্যে ১০ লাখ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে এবং এদের মধ্যে এক লাখ ২৪ হাযারের বেশি শিশু মারাত্মক অপুষ্টির শিকার। ভারতে এখনো সন্তান প্রসবের সময় প্রতি ১০ মিনিটে একজন মা মারা যান বলে সম্প্রতি এক তথ্যে জানা গেছে।
শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ইতালীয় পাদ্রী গ্রেপ্তার
১৩ বছর বয়সী এক বালিকার ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ইতালির একজন খৃষ্টান ধর্মীয় পুরোহিতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর পরই রুগেইরিকে পৌরহিত্যের সব ধরনের দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়নের হাযার হাযার ঘটনা এবং এ ধরনের বহু ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার খবর ফাঁস হওয়ায় ক্যাথলিক গির্জা মারাত্মক সংকটের মুখে পড়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা মনে করছেন শিশুদের ওপর পাদ্রীদের যৌন নির্যাতনের বহু ঘটনা এখনও ফাঁস হয়নি। বিশেষ করে ইতালীসহ যেসব দেশে ক্যাথলিক খৃষ্টানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে সেসব দেশে এ ধরনের অনেক ঘটনা ধামাচাপা দেয়া হয়।
[বিয়ে না করে সাধুতা দেখানোর বানোয়াট ধর্মীয় রীতির তিক্ত ফলাফল এগুলি। অতএব নিজেদের তৈরী এসব ধর্ম ছেড়ে আল্লাহ প্রেরিত স্বভাবধর্ম ইসলামে প্রবেশ করার মধ্যেই খৃষ্টানদের মুক্তি নিহিত রয়েছে (স.স.)]
দারিদ্রে্যর কাছে পরাজিত ইসরাঈলীর আত্মহত্যার চেষ্টা
ইহুদীবাদী ইসরাঈলের রাজধানী তেলআবিবে বিক্ষোভের সময় এক অসহায় গরীব ইসরাঈলী গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। গায়ে আগুন দেয়ার আগে তিনি বলেন, তার দুর্দশার জন্য প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দায়ী। ৫২ বছর বয়সী বিক্ষোভকারী গায়ে পেট্রোল ঢেলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে ইসরাঈলের বহুল প্রচারিত দৈনিক ‘হারেতজ’। ঘটনাস্থল থেকে ব্যক্তির লেখা একটি চিঠি উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে লেখা ছিল ‘ইসরাঈল আমার সম্পদ চুরি-ডাকাতি করেছে এবং আমাকে অসহায় অবস্থায় ফেলেছে’।
ভারতে ৬২ রূপীতে সন্তান বিক্রি
ভারতের বিহারে অভাবের তাড়নায় চার মাসের শিশু সন্তানকে ৬২ রূপীতে বিক্রি করে দিয়েছে এক অসহায় মা। বিহারের ফরবিশগঞ্জ স্টেশনে মাত্র ৬২ রূপীর বিনিময়ে শান্নু খাতুন নামে ৩৫ বছরের মা এক নেপালী দম্পতির হাতে নিজের যমজ সন্তানকে তুলে দেন। অক্ষম স্বামী ও অন্য তিন সন্তানকে বাঁচাতেই স্বেচ্ছায় এ কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভূগর্ভস্থ পানি দিয়ে ৪০০ বছর চলতে পারবে নামিবিয়া!
আফ্রিকার মরু-অধ্যুষিত দেশ নামিবিয়ার উত্তরাঞ্চলে মাটির নীচেই আবিষ্কৃত হয়েছে সুপেয় পানির এক বিশাল আধার। ঐ পানি দিয়ে আগামী অন্তত ৪০০ বছর এতদঞ্চলের লাখো মানুষের প্রয়োজন মেটানো সম্ভব হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে শত শত বছর ধরে এ দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ পানি অন্তত ১০ হাযার বছরের পুরোনো। কিন্তু আধুনিক অন্যান্য উৎস থেকে পাওয়া পানির চেয়ে তা অনেক বেশি পরিষ্কার ও পানযোগ্য। পানীয় জলের চাহিদা মেটানোর উদ্দেশ্যে নামিবিয়ার সরকার জার্মানী ও ইউরোপের অন্যান্য দেশের গবেষকদের সহায়তায় ভূগর্ভস্থ পানির অনুসন্ধান করছিল। অনুসন্ধান দলটি অ্যাঙ্গোলা ও নামিবিয়া সীমান্তে বহমান এই বিশাল পানির আধার আবিষ্কার করে।
[সারা পৃথিবীতেই আল্লাহর নে‘মত লুকিয়ে আছে ভূগর্ভে, ভূপৃষ্ঠে ও অন্তরীক্ষে। বাংলাদেশ-এর ভূগর্ভে অনুরূপ লুকিয়ে আছে অফুরন্ত সম্পদ। সেগুলো উঠিয়ে কাজে লাগানোর দায়িত্ব আমাদের (স.স.)]
রাশিয়ায় মাদকের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করলেন পুতিন
রাশিয়া থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্র ও ওয়েবসাইটে মাদক দ্রব্যের বিজ্ঞাপনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আইনটি প্রশাসনিকভাবে প্রকাশ করার পর থেকেই ওয়েবসাইটগুলোতে বিজ্ঞাপনের এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। তবে রাশিয়ার পত্রিকাগুলোতে মাদকদ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে কিছুটা বিলম্ব হবে। কারণ পত্রিকাগুলো বিজ্ঞাপন প্রচারে মাদক কোম্পানীগুলোর সঙ্গে বছরের শুরুতেই চুক্তিবদ্ধ হয়। তাই আগামী বছর অর্থাৎ ২০১৩ সালের জানুয়ারী থেকে পত্রিকার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
ভারতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রণব মুখার্জীর বিজয়
স্বাধীনতার ৬৫ বছরের ইতিহাসে প্রথম বাঙালী রাষ্ট্রপতি
ভারতের স্বাধীনতার ৬৫ বছরের ইতিহাসে প্রথম বাঙালী হিসাবে গত ২৫ জুলাই ত্রয়োদশ রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন পশ্চিম বঙ্গের প্রণব মুখার্জী। আগামী ৫ বছরের জন্য তিনিই ১২০ কোটি মানুষের দেশ ভারতের রাষ্ট্রপতি। যোগ্যতাবলেই সম্মানজনক এ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন কমবেশি সবার কাছে শ্রদ্ধাভাজন এ প্রবীণ নেতা। প্রথম জীবনে শিক্ষক ও সাংবাদিক এই নেতা ১৯৬৯ সালে কংগ্রেসের হয়ে প্রথম রাজ্যসভার সদস্য হন। ১৯৮০ সালে রাজ্যসভার দলনেতা। ১৯৮২-৮৪ সালে প্রথমবার দায়িত্ব পান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর। ১৯৯১ সালে পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান হন। এরপর ১৯৯৫ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত কয়েক দফায় কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও অর্থমন্ত্রী হয়েছেন।
ভারতীয় রাজনীতির ‘চাণক্য’ এবং বর্তমান ইউপিএ সরকারের ক্রাইসিস ম্যানেজার হিসাবে পরিচিত, দীর্ঘ ৪৩ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ প্রণব মুখোপাধ্যায় (৭৭) পশ্চিম বঙ্গের বীরভূম যেলার মিরাটি গ্রামের এক নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ পরিবারে ১৯৩৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শ্বশুরবাড়ী বাংলাদেশের নড়াইল যেলার সদর থানার ভদ্রবিলা গ্রামে এবং তিনি মুর্শিদাবাদের জঙ্গীপুর থানার এম.পি। তবে প্রেসিডেন্ট হওয়ায় এখন ওটা শূন্য হ’ল।
ভারতে ধর্ষণের ঘটনায় শীর্ষে রাজধানী দিল্লী
ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর পরিসংখ্যান-রিপোর্ট অনুযায়ী দেশটিতে গত তিন বছরে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। দেশের বড় শহরগুলোর মধ্যে ধর্ষণের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাজধানী দিল্লী। কলকাতার স্থান তালিকায় তৃতীয়। রাজ্যভিত্তিক পরিসংখ্যানে পশ্চিমবঙ্গের স্থান দ্বিতীয় এবং সবার উপরে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ। ২০০৯ সালে মধ্যপ্রদেশে ২৯৯৮টি, ২০১০ সালে ৩১৩৫টি এবং ২০১১ সালে ৩৪০৬টি ধর্ষণের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। দেশের চারটি মেট্রো শহরে ধর্ষণের পরিসংখ্যান বলছে, দিল্লী শহরে সব থেকে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ২০০৯ সালে দিল্লীতে ৪শ’ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে, ২০১০ ও ২০১১ সালে এই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ৪১৪ ও ৪৫৩ তে।
ইউরোপ ও ভারতে ইসলামবিদ্বেষী তৎপরতা ক্রমেই বাড়ছে
ইউরোপে ইসলাম-বিদ্বেষী তৎপরতা বেড়ে চলেছে এবং ভারতের গুজরাটের মুসলমানরা এখনও নির্যাতনের ভয়ে সন্ত্রস্ত। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ২০১১ সালের ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপে ইসলাম-বিদ্বেষী তৎপরতা ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বাড়তে থাকায় তা উদ্বেগের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ঘোমটা বা নেকাব নিষিদ্ধ করার আইন পাসের জন্য ইউরোপের কোনো কোনো সরকারের তৎপরতা বাড়তে থাকায় সেখানকার মুসলিম নারীদের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ইউরোপীয় নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংস্থাও ভিয়েনায় এক সম্মেলনে বলেছে, ‘ইউরোপে ইসলাম-বিদ্বেষী তৎপরতা এখন গণহত্যার পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ইসলাম-বিদ্বেষী নরওয়ের এক যুবকের সাম্প্রতিক হত্যাযজ্ঞই এর দৃষ্টান্ত।’
কৃষ্ণাঙ্গ বলে দম্পতির বিয়ে হয়নি মার্কিন গির্জায়
যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ দম্পতি চার্লস ও টিএন্ড্রিয়া উইলসন গির্জায় বিয়ে করতে গেলে কালো হওয়ায় যাজক তাদের বিয়ে দিতে রাজি হননি। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস রাজ্যে এ ঘটনা ঘটে। যাজক স্ট্যান হুইদারফোর্ড এবিসিকে জানান, ক্রিস্টাল স্প্রিংসের ফাস্ট ব্যাপ্টিস্ট চার্চটি তার যাত্রা শুরু করে ১৮৮৩ সালে। তখন থেকে এ পর্যন্ত কখনও এখানে কালোদের বিয়ে পড়ানো হয়নি।