কৃষক আফযাল হোসেন পুরো ঋণ পরিশোধ করে দিয়েছে। বন্ধকী দায়মুক্তি দলীল সম্পাদনও করে দিয়েছে ব্যাংক। কথা ছিল, সরাসরি ব্যাংকে টাকা শোধ করলেই ব্যাংক মামলা প্রত্যাহার করে নেবে। কিন্তু ব্যাংক তা করেনি। কৃষক আফযাল হোসেনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

জানা গেছে, আফযাল হোসেন ২০০৮ সালে ১৮০ বিঘা জমি ইজারা নিয়ে আম, পেয়ারা ও মাছ চাষ শুরু করেন। লাভের টাকা দিয়ে চার বিঘা জমিও ক্রয় করেন। ২০১৪ সাল পর্যন্ত তার খামার ভালোই ছিল। ২০১৫ সালে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের রহনপুর শাখা থেকে ২০ লাখ টাকা ঋণ নেন। যার বার্ষিক সূদ ছিল ১ লাখ ৮০ হাযার টাকা। এক বছর দেওয়ার পর তার খামারে লোকসান শুরু হয়। ফলে আর সূদের কিস্তি দিতে পারেননি। বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানালেও তার নামে ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত চারটি মামলা করা হয়।

আফযাল হোসাইনের বক্তব্য, ব্যাংক শুধু ঋণের টাকা নয়, তার কাছ থেকে মামলার খরচও আদায় করে নিয়েছে। ব্যাংক মোট ২২ লাখ টাকার দাবীতে মামলা করলেও পরে সূদ, মামলার খরচসহ তার কাছ থেকে ২৯ লাখ ৯১ হাযার টাকা দাবী করে। ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আশ্বাস দিয়েছিলেন, ঋণ পরিশোধ করলে মামলা প্রত্যাহার করে নেবেন। এজন্য তিনি বন্ধকী সম্পত্তি বিক্রি করে ও বিভিন্নভাবে টাকা সংগ্রহ করে সব পাওনা পরিশোধ করেন। ব্যাংক ঐ টাকা আদালতের মাধ্যমে না নিয়ে সরাসরি ব্যাংকে জমা নেয় এবং তাকে বন্ধকী দায়মুক্তি দলীল নিবন্ধন করে দেয়। এখন ব্যাংক বলছে, আইনী প্রক্রিয়ায় তাকেই মামলা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য তাকে আবার আদালতে ঋণের পুরো টাকা জমা দিতে হবে। এ ব্যাপারে ইসলামী ব্যাংকের রহনপুর শাখার ব্যবস্থাপক সোলায়মান আলী বলেন, ব্যাংকের অডিট নিষ্পত্তির জন্য এই আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।

[মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন (স.স.)]।






আরও
আরও
.