সাজানো কাবিন ব্যবসায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে ‘বাংলাদেশ মেনস রাইটস ফাউন্ডেশন’ (বিএমআরএফ)। গত ২৭শে ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনটির উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসুচী থেকে এ দাবী জানানো হয়। মানববন্ধনে বিএমআরএফর আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা জার্মান প্রবাসী প্রকৌশলী মাযহারুল মান্নান বলেন, বর্তমানে কাবিন বাণিজ্যের বলি হচ্ছে শতকরা ৮০ শতাংশ পুরুষ। স্বদেশ কী বিদেশ সবখানে খারাপ পরিবার দ্বারা উচ্চ কাবিন করে বিয়ে দিয়ে এক সপ্তাহের মাথায় মেয়ে তার পরিবারের কথায় তালাক দিয়ে তার সাজানো মোহরানা দাবী করে। এই পরিকল্পনায় তার পরিবার আবার আরেক বড়লোক ছেলেকে টার্গেট করে কাবিন করিয়ে নেয়। এ ধরনের প্রবণতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এখন এটি ব্যবসায় রূপ নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমার ও আমার চাচাতো ভাইয়ের সাথে এমন হওয়াতে আমি নিজে দেখেছি। তাই আমি অবিলম্বে এমন আইন করার দাবী জানাচ্ছি, যাতে কনে পক্ষ স্বেচ্ছায় তালাক দিলে কোন মোহরানা দাবী করতে না পারে।

সভাপতির বক্তব্যে বিএমআরএফর চেয়ারম্যান শেখ খায়রুল আলম বলেন, কিছু নারী বিয়ের নামে কাবিনের ব্যবসা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অথচ এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তাই এমন একটি আইন করতে হবে, যেন কনে পক্ষে স্বেচ্ছায় তালাক দিলে কোন মোহরানা দাবী করতে না পারে অথবা স্ত্রী ডিভোর্স দিলে দেনমোহরের সমপরিমাণ টাকা স্বামীকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এই আইন কার্যকর করা হ’লে দুষ্ট নারীদের দেন মোহর ব্যবসা বন্ধ হবে। তিনি বলেন, আমাদের দেশীয় আইন অনুসারে স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক প্রদান করা হ’লেও স্বামীকে দেন মোহর প্রদান করতে হয়, যা ইসলামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

[দেশে ইসলামী বিধান চালু না থাকায় প্রচলিত আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে দুষ্টুরা এমন প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে। কেননা ইসলামী আইনে স্ত্রী কর্তৃক খোলা বা ডিভোর্সের ক্ষেত্রে স্ত্রীকেই বরং মোহরানা ফেরত দিতে হয় (বুখারী হা/৫২৭৩)। সুতরাং সরকারকে ইসলামী বিধান চালু করার আবেদন জানাই। এরপরেও প্রতারককে তার শাস্তি পেতেই হবে। (স.স.)]






আরও
আরও
.