
বাংলাদেশের আয়তন দিন দিন বাড়ছে। পদ্মা, মেঘনা ও উপকূলীয় বদ্বীপ অঞ্চলে গত কয়েক বছরে জেগে উঠেছে প্রায় ৫০টিরও বেশী নতুন চর ও দ্বীপ। এসব নতুন ভূখন্ড মানুষের বসবাসের উপযোগী হয়ে উঠছে, যা বাংলাদেশকে দিচ্ছে একটি গোটা দেশের সমান বিস্তৃত অঞ্চল। এ যেন দক্ষিণ তালপট্টি হারানোর জবাব আল্লাহর পক্ষ থেকে।
স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের আয়তন ধীরে ধীরে বাড়ছে। নদীর পলি জমে, বিশেষ করে বঙ্গোপসাগরে, বিশাল বিশাল চর জেগে উঠছে। একসময় যেসব এলাকা ছিল শুধু ডোবার চর, এখন তা স্থায়ী ভূখন্ডে রূপ নিচ্ছে। বহু চর ভরা জোয়ারেও আর ডুবে না, বরং দেশের মানচিত্রে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিচ্ছে। অনেকেই বলছেন, ভারতের ছেড়ে দেওয়া অতিরিক্ত পানিই যেন হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ।
১৯৭০ সালে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের পর বঙ্গোপসাগরে জেগে উঠেছিল দক্ষিণ তালপট্টি, যেটি নিয়ে শুরু হয়েছিল ভারত-বাংলাদেশ বিরোধ। বাংলাদেশ দাবী করেছিল দ্বীপটি আমাদের। এমনকি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্যাটেলাইট ছবি ও তথ্য-প্রমাণও পেশ করেছিলেন। কিন্তু ভারত সেখানে যুদ্ধজাহায পাঠিয়ে ও বিএসএফ চৌকি বসিয়ে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে। পরে কিছু সময়ের জন্য দ্বীপটি নো-ম্যানস ল্যান্ড হিসাবে বিবেচিত হ’লেও, ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে তা ভারতের হয়ে যায়। কিন্তু এখন আর সেই দ্বীপের অস্তিত্ব নেই, সমুদ্রের নীচে বিলীন হয়ে গেছে।
তবে প্রকৃতি যেন সেই হারানো দ্বীপের বদলা নিচ্ছে অন্যভাবে। বিগত কয়েক বছরে হাতিয়া থেকে ভোলা চ্যানেল, চর কুকরি-মুকরি, চর ওছমান, চর গাঙগুলিয়ার মতো নতুন ভূখন্ড জেগে উঠেছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর প্রায় ৩২ কিলোমিটার ভূমি নদীভাঙনে হারালেও নতুন করে ১০০ বর্গ কিলোমিটার জমি চর হিসাবে ফিরে পাচ্ছে বাংলাদেশ। এই চরগুলোর কিছুতে ইতিমধ্যেই গড়ে উঠেছে স্থায়ী অবকাঠামো।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হিমালয় থেকে আসা পলি যদি সঠিকভাবে ধরে রাখা যায়, তবে আগামী কয়েক দশকে ২ লাখ ৫ হাযার বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত নতুন ভূখন্ড মূল ভূখন্ডের সাথে যুক্ত হ’তে পারে। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের সমান একটি নতুন ভূখন্ড বাংলাদেশ পেতে পারে শুধুমাত্র প্রাকৃতিকভাবে!
[আলহামদুলিল্লাহ! বাংলাদেশের জনসংখ্যা যতই বৃদ্ধি হৌক না কেন, তাদের রুটি-রূযীর ব্যবস্থা আল্লাহই এদেশের মাটিতেই করে রেখেছেন। জনসংখ্যার আধিক্যে শংকিতদের জন্য এর মধ্যে রয়েছে চপেটাঘাত। আল্লাহ তুমি আমাদের দেশকে ফুলে-ফলে বরকতমন্ডিত কর! (স.স.)]