১লা বৈশাখ উদযাপনে সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থার ব্যাপক মাতামাতি দেখে মনে হচ্ছে যেন এদেশে বিদেশী সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদ চেপে বসেছে। ১লা বৈশাখ বর্ষবরণকে এদেশের আবহমান কালের সর্বজনীন সংস্কৃতি বলে অহরহ মিথ্যাচার করা হচ্ছে। অথচ ৭দিন পরেই বৈশাখের তারিখ জানতে চাইলে এদের মাথা চুলকাতে হয়। মনে হচ্ছে যেন বিদেশীদের শিখানো বুলি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় মুখস্থ আওড়ানো হচ্ছে। যাতে উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা সেটা বিশ্বাস করে নেয়। অথচ এদেশের সাধারণ মানুষের সাথে এ সবের কোন সম্পর্ক নেই। ইলিশ-পান্তা খাওয়ার নামে চলছে গরীবের সাথে নির্মম রসিকতা। এমনকি স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা মেট্রো পুলিশের ইলিশ-পান্তা উৎসবের উদ্বোধন করছেন। বিভিন্ন মূর্তি ও পশু-পাখির মুখোশ সামনে নিয়ে হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী বিশাখা নক্ষত্রকে অর্ঘ্য দানের জন্য ধূতি-পাঞ্জাবী ও গেরুয়া পোষাকধারী পুরুষ এবং শাখা-সিঁদুর ও লাল টিপ দেওয়া ও তার আদলে সাদা যমীন ও লাল পেড়ে শাড়ী পরে নারীদের মঙ্গল শোভাযাত্রা পুরাপুরি পৌত্তলিক সংস্কৃতি মাত্র। তাছাড়া পরস্পরে ঢলাঢলি ও বেলেল্লাপনা আদৌ কোন সংস্কৃতি নয়। এইসব নোংরামির দৃশ্য বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী টিভি চ্যানেলে দেখিয়ে গ্রামে-গঞ্জে সর্বত্র অনৈতিকতার বিষ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে লোকজ সংস্কৃতির নামে। অথচ সরকার ভালভাবেই জানেন যে, এদেশের ৯০ শতাংশ নাগরিক মুসলমান। তাদের আক্বীদা-বিশ্বাসে ছবি ও মূর্তিপূজা শিরক। নারী-পুরুষের পর্দা ফরয ও অবাধ মেলামেশা নিষিদ্ধ। প্রাণীর ছবি ও মূর্তি হারাম। বর্ষবরণ, বর্ষাবরণ, পৌষ সংক্রান্তি, চৈত্র সংক্রান্তি ইত্যাদি অনুষ্ঠান পালন পুরোপুরি হিন্দুয়ানী পার্বন। ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী মঙ্গল-অমঙ্গলের মালিক আল্লাহ। তিনিই বার মাসের ও ঋতু বৈচিত্র্যের সৃষ্টিকর্তা। দেশে শান্তি ও মঙ্গলের জন্য কেবল তাঁর কাছেই প্রার্থনা করতে হবে। মানুষকে আল্লাহমুখী করার মধ্যেই দেশের সত্যিকারের মঙ্গল নিহিত রয়েছে। সকলেই জানেন যে, মানুষের আক্বীদা ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে সংস্কৃতি গড়ে ওঠে। তাই হিন্দু বাঙ্গালীর সংস্কৃতি ও মুসলিম বাঙ্গালীর সংস্কৃতির মধ্যে আসমান ও যমীনের পার্থক্য রয়েছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রটি চায় তাদের শিরকী সংস্কৃতি এদেশে চাপিয়ে দিতে ও আমাদের নিজস্ব তাওহীদী সংস্কৃতি ভুলিয়ে দিতে। আর এর মাধ্যমে তারা আগামী দিনে এদেশের রাজনৈতিক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে তাদের অঙ্গ রাজ্য বানাতে চায়। তাই সরকারকে চোখ-কান খোলা রাখতে অনুরোধ রইল।

সরকারের প্রতি আমীরে জামা‘আত







আরও
আরও
.