রাজশাহী, ২৫ ও ২৬ শে আগস্ট বৃহস্পতি ও শুক্রবার : অদ্য বৃহস্পতিবার সকাল ৯-টায় ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়ায় দারুলহাদীছ বিশ্ববিদ্যালয় (প্রা.) জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত বার্ষিক কর্মী সম্মেলনে প্রদত্ত উদ্বোধনী ভাষণে সম্মেলনের সভাপতি ও ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদশে’-এর মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্ল­াহ আল-গালিব কর্মীদের প্রতি উপরোক্ত আহবান জানান। 

তিনি সূরা ইউসুফের ১০৮ আয়াত উদ্ধৃত করে বলেন, মুসলিম উম্মাহর জন্য জামা‘আতবদ্ধ জীবনযাপন অপরিহার্য। শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) একাকী দাওয়াত দেননি। তিনি শুধু কা‘বা ঘরে বসে ইবাদত করলে কেউ তাঁর শত্রু হতো না। কিন্তু তিনি তা করেননি। বরং তিনি জাতির মুক্তির জন্য দাওয়াত ও জিহাদের ময়দানে গিয়েছেন। ওহোদের ময়দানে দান্দান মুবারক শহীদ হওয়ার পর তিনি বলেছিলেন, ‘ঐ জাতি কিভাবে সফলকাম হবে, যারা তাদের নবীর মুখমন্ডল আহত করেছে এবং তাঁর দাঁত ভেঙ্গে দিয়েছে। অথচ তিনি তাদেরকে আল্লাহর দিকে আহবান করছেন’ (মুসলিম হা/১৭৯১; মিশকাত হা/৫৮৪৯)। আল্ল­াহ তা‘আলা বিষয়টি পসন্দ করেননি। তাই সঙ্গে সঙ্গে আয়াত নাযিল হয়, ‘আল্ল­াহ তাদের ক্ষমা করবেন অথবা শাস্তি দিবেন, সে বিষয়ে তোমার কিছুই করার নেই। কেননা তারা হ’ল যালেম’ (আলে ইমরান ৩/১২৮)। এতে বুঝা যায় যে, যালেমদের শাস্তি দানের বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে আল্ল­াহর ইচ্ছাধীন। যখন চাইবেন তখন তিনি তাদের শাস্তি দিবেন। অথবা তিনি চাইলে তাদের ক্ষমা করে দিবেন। কিন্তু আমাদের দায়িত্ব আমাদের পালন করে যেতে হবে।

রাসূলুল্ল­াহ (ছাঃ)-কে ১৩ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আল্ল­াহ তা‘আলা তাঁকে রক্ষা করেছেন। অথচ ওহোদের ময়দানে তিনি তাঁকে রক্ষা করলেন না কেন? এর দ্বারা বুঝা যায় দাওয়াত ও জিহাদের মাধ্যমেই ইসলাম কায়েম হবে। শুধু ঘরে বসে দো‘আর মাধ্যমে নয়। তবে স্মরণ রাখতে হবে যে, জিহাদ হবে শুধু আল্ল­াহর সন্তুষ্টির জন্য। দুনিয়া অর্জনের জন্য নয়। আরেকটি বিষয় আমাদের জন্য অপরিহার্য তা হ’ল শিরক হ’তে মুক্ত থাকা। কেননা শিরকযুক্ত ইবাদত আল্ল­াহর দরবারে কবুল হয় না।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি, ছহীহ বুখারী ও ছহীহ মুসলিমের দারস দেওয়া আহলেহাদীছ শিক্ষকরাও চল্লি­শা ও কুলখানীসহ বিভিন্ন বিদ‘আতী কর্মকান্ডে জড়িত থাকতেন। আমাদের দাওয়াত ও সাংগঠনিক তৎপরতায় যা এখন প্রায় শূন্যের কোঠায়। তাই আপনাদেরকে দাওয়াতী ময়দানে সর্বদা সক্রিয় থাকতে হবে।

তাই আসুন! আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে জামা‘আতবদ্ধভাবে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের দাওয়াত নিয়ে সমাজ সংস্কারের লক্ষ্যে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাই।

১ম দিন সকাল ৯-টায় আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফীর হিফয ও মক্তব বিভাগের প্রধান হাফেয লুৎফর রহমানের অর্থ সহ কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সম্মেলন শুরু হয়। এরপর আল-হেরা শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য মুহাম্মাদ রাক্বীবুল ইসলাম (মেহেরপুর) জাগরণী পরিবেশন করে। অতঃপর স্বাগত ভাষণ পেশ করেন সম্মেলনের আহবায়ক ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম (মেহেরপুর)।

অতঃপর আমীরে জামা‘আতের উদ্বোধনী ভাষণের পর বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য শুরু হয়। প্রথমে ‘আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার শর্তাবলী’ বিষয়ে বক্তব্য পেশ করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা দুর্রুল হুদা (রাজশাহী)। এরপর ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন কি ও কেন?’ বইয়ের বিভিন্ন অধ্যায়ের উপর ২ ঘণ্টাব্যাপী তিন সেশনে ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘ’-এর প্রশিক্ষণ সম্পাদকগণ ও অন্যান্য দায়িত্বশীলদের নেতৃত্বে অন্যূন ১০ জনের এক একটি গ্রুপে সামষ্টিক পাঠ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি গ্রুপে ১ম ও ২য় এবং শেষে সব গ্রুপের ১ম ও ২য়দের নিয়ে মৌখিক নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান নির্ধারণ করা হয়। যা পরিচালনা করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন (সাতক্ষীরা) ও শূরা সদস্য কাযী হারূণুর রশীদ (সাতক্ষীরা)।

অতঃপর বাদ আছর ‘সমকালীন ফেৎনাসমূহ প্রতিরোধে আমাদের ভূমিকা’ বিষয়ে বক্তব্য পেশ করেন মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল (পাবনা), ‘আহলেহাদীছ আন্দোলনের প্রচার ও প্রসারে প্রবাসী সংগঠন সমূহের ভূমিকা’ বিষয়ে সিঙ্গাপুর শাখা ‘আন্দোলন’-এর উপদেষ্টা মু‘আয্যম হোসাইন (বগুড়া) ও ‘অঙ্গ সংগঠনসমূহের কর্মতৎপরতা বৃদ্ধিতে ‘আন্দোলন’-এর ভূমিকা’ বিষয়ে কেন্দ্রীয় যুববিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশীদ আখতার (কুষ্টিয়া)।

তারপর সংগঠনের উন্নতি ও অগ্রগতি বিষয়ে যেলা সভাপতি ও প্রতিনিধিগণের মধ্য হ’তে পরামর্শমূলক বক্তব্য পেশ করেন কিশোরগঞ্জ যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি প্রফেসর এস. এম নূরুল ইসলাম, পিরোজপুর যেলার সভাপতি মুহাম্মাদ মাহবূব আলম, নারায়ণগঞ্জ যেলার সভাপতি মাওলানা শফীকুল ইসলাম, পাবনা যেলার সভাপতি মাওলানা সোহরাব আলী, মানিকগঞ্জ যেলার সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ শামীম, ঢাকা-দক্ষিণ যেলার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আযীমুদ্দীন, মুহাম্মাদ ইয়াসীন (নেত্রকোনা), আমীনুল ইসলাম (মাদারীপুর) প্রমুখ।

অতঃপর বাদ মাগরিব ‘বর্তমান দাওয়াতী প্রেক্ষাপট ও আমাদের ভূমিকা’ বিষয়ে বক্তব্য পেশ করেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব (মারকায), ‘ইক্বামতে দ্বীন : ভ্রান্তি নিরসন’ বিষয়ে আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়ার শিক্ষক মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম (রাজশাহী), ‘শাখা গঠন ও কর্মী তৈরীর ধাপ সমূহ’ বিষয়ে ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ও মাসিক আত-তাহরীকের সহকারী সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম (মারকায) ও ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ প্রকাশিত বই সমূহের বৈশিষ্ট্য এবং তা পাঠের ও বিতরণের গুরুত্ব’ বিষয়ে আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়ার ভাইস-প্রিন্সিপ্যাল ড. নূরুল ইসলাম (মারকায)। অতঃপর বাদ এশা ‘দাঈ ইলাল্লাহর বৈশিষ্ট্য ও করণীয়’ বিষয়ে বক্তব্য পেশ করেন ঢাকা-দক্ষিণ সাংগঠনিক যেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুল ওয়াদূদ (কুমিল্লা)।

২য় দিন শুক্রবার বাদ ফজর সূরা ছফ-এর ১০-১১ আয়াতের উপর মারকাযের পশ্চিম পার্শ্বস্থ জামে মসজিদে দরসে কুরআন পেশ করেন কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম (মারকায) এবং পূর্ব পার্শ্বস্থ মসজিদে মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম (শিক্ষক, মারকায)।

দরসের পর ১০ মিনিট বিরতি দিয়ে বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য শুরু হয়। (১) ‘ইহতিসাব : কেন রাখব, কিভাবে রাখব?’ বিষয়ে বক্তব্য পেশ করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম (যশোর), (২) ‘সাপ্তাহিক তা‘লীমী বৈঠকের পদ্ধতি’ বিষয়ে কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ মাওলানা আলতাফ হোসাইন (সাতক্ষীরা), (৩) ‘সংগঠনের গতিশীলতা বৃদ্ধিতে করণীয়’ বিষয়ে খুলনা যেলা সভাপতি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম (৪) ‘কথা ও কাজে সততা ও আমানতদারিতার গুরুত্ব’ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম (মেহেরপুর), (৫) ‘নিয়মিত সাংগঠনিক সফর পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নের গুরুত্ব’ বিষয়ে আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়ার ভাইস-প্রিন্সিপ্যাল ড. নূরুল ইসলাম (মারকায), (৬) ‘জঙ্গীবাদ, চরমপন্থা ও অন্যান্য বাতিল মতবাদ (আহলে কুরআন, কাদিয়ানী)-এর বিরুদ্ধে আন্দোলন -এর ভূমিকা’ বিষয়ে জামালপুর-দক্ষিণ সাংগঠনিক যেলার সাধারণ সম্পাদক ক্বামারুয্যামান বিন আব্দুল বারী (৭) ‘জামা‘আতবদ্ধ জীবন যাপনের গুরুত্ব’ বিষয়ে হাফেয আব্দুল মতীন (শিক্ষক, মারকায)।

নাশতার বিরতির পর (৮) ‘আদর্শ সন্তান প্রতিপালনে অভিভাবকদের করণীয়’ বিষয়ে বক্তব্য পেশ করেন ‘সোনামণি’র কেন্দ্রীয় পরিচালক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল হালীম (মারকায), (৯) ‘আল-‘আওন-এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা’ বিষয়ে ‘আল-‘আওন’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেয আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির (মারকায) ও (১০) ‘কর্মীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য’ বিষয়ে ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন (মারকায) প্রমুখ। অতঃপর ২০২২-২৩ বছরের বার্ষিক পরিকল্পনা পেশ করেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম (যশোর)। এরপর কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য অধ্যাপক জালালুদ্দীন (নরসিংদী) কর্মী সম্মেলনের পক্ষ থেকে সরকারের নিকট ১৩ দফা প্রস্তাবনা পেশ করেন। যা সমস্বরে গৃহীত হয়। এরপর ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন কি ও কেন?’ বইয়ের উপর গ্রুপ ভিত্তিক সামষ্টিক পাঠের ফলাফল ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন। এতে প্রথম স্থান অধিকার করেন হাফেয মুহাম্মাদ গোলাম রহমান (সাতক্ষীরা), দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন মুহাম্মাদ আশরাফুল আলম (লালমণিরহাট) ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন হাফেয মুহাম্মাদ হাবীবুর রহমান (কুমিল্লা)। তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মুহতারাম আমীরে জামা‘আত। অতঃপর ‘যুবসংঘ’-এর ২০২২-২৪ সেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসাবে মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম (শিক্ষক, মারকায)-এর বায়‘আত গ্রহণ করেন মুহতারাম আমীরে জামা‘আত। অতঃপর বায়‘আত গ্রহণ করেন, সদ্যগঠিত ‘আহলেহাদীছ পেশাজীবী ফোরাম’-এর সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ড. মুহাম্মাদ আলী নাঈম (সহকারী অধ্যাপক, বুয়েট), ইঞ্জিনিয়ার মহিবুল হোসাইন (ঢাকা), ডা. যুবায়ের হোসাইন (রামেক), শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক শরীফুল ইসলাম (ঢাকা)। অতঃপর সবাইকে ধন্যবাদ দেন কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল।

শূরা সম্মেলন : সম্মেলনের ২য় দিন শুক্রবার সকাল ৭-টা থেকে ৮.৩০টা পর্যন্ত ২০২১-২০২৩ সেশনের তৃতীয় শূরা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন ৩ জন ব্যতীত। তারা হ’লেন, ২০২১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার মৃত্যুবরণকারী ‘যুব বিষয়ক সম্পাদক’ অধ্যাপক আমীনুল ইসলাম (রাজশাহী), অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী জনাব গোলাম মুক্তাদির (খুলনা) ও আলহাজ্জ আব্দুর রহমান (সাতক্ষীরা)। তাদের জন্য বিশেষভাবে দো‘আ করা হয়। সম্মেলনে ২০২২-২০২৩-এর বার্ষিক পরিকল্পনা ও বাজেট অনুমোদিত হয়। এছাড়া প্রস্তাবিত দারুলহাদীছ বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহত্তর ক্যাম্পাস ও তাবলীগী ইজতেমা ময়দানের জন্য জমি ক্রয়ের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়।     

কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্য সম্মেলন : সম্মেলনের ২য় দিন শুক্রবার সকাল

৯-টা থেকে ১১-টা পর্যন্ত আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফীর শিক্ষক মিলনায়তনে মুহতারাম আমীরে জামা‘আতের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম-এর পরিচালনায় ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্য মাওলানা দুর্রুল হুদা (রাজশাহী) কর্তৃক অর্থসহ কুরআন তেলাওয়াতের পর সেক্রেটারী জেনারেল উদ্বোধনী ভাষণ দেন। অতঃপর ইতিপূর্বে মজলিসে শূরা কর্তৃক অনুমোদিত ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বার্ষিক অডিট রিপোর্ট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম (কুষ্টিয়া)। এরপর ২০২২-২৩ বর্ষের বার্ষিক বাজেট ও পরিকল্পনা পেশ করেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম (যশোর)।

অতঃপর সংগঠনের অগ্রগতি সম্পর্কে পরামর্শমূলক বক্তব্য আহবান করা হয়। যেখানে একে একে পরামর্শ পেশ করেন রাজশাহী সদর সাংগঠনিক যেলার উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট জারজিস আহমাদ, সাতক্ষীরা যেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল মান্নান, পিরোজপুর যেলা সভাপতি মুহাম্মাদ মাহবূব আলম, গাযীপুর যেলা সভাপতি মুহাম্মাদ হাবীবুর রহমান, কুমিল্লা যেলা সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ছফিউল্লাহ, জয়পুরহাট যেলার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুল মুন‘ইম, খুলনা যেলার প্রশিক্ষণ সম্পাদক শেখ আব্দুল কুদ্দূস ও নওগাঁ যেলার প্রতিনিধি মামূনুর রশীদ প্রমুখ। এ সময় লিখিত পরামর্শ পেশ করেন, কুমিল্লা যেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জামীলুর রহমান, নওগাঁ যেলার সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আফযাল হোসাইন, নওগাঁ যেলা প্রতিনিধি তাওফীকুল ইসলাম ও জামালপুর-দক্ষিণ যেলা সভাপতি অধ্যাপক বযলুর রহমান। সবশেষে কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বিষয়ে হেদায়াতী ভাষণ পেশ করেন মুহতারাম আমীরে জামা‘আত।

সম্মেলনের অন্যান্য রিপোর্ট : দু’দিন ব্যাপী কর্মী সম্মেলনের বিভিন্ন অধিবেশনে অর্থসহ কুরআন তেলাওয়াত করেন, হাফেয লুৎফর রহমান (মারকায), হাফেয আহমাদ আব্দুল্ল­াহ শাকির (মারকায), হাফেয রবীউল ইসলাম (মারকায), হাফেয আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ (সভাপতি, ঢাকা-দক্ষিণ যেলা যুবসংঘ)। ইসলামী জাগরণী পরিবেশন করে আল-হেরা শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য মুহাম্মাদ মীযানুর রহমান (জয়পুরহাট), রাক্বীবুল ইসলাম (মেহেরপুর) ও কেরামত আলী (পাবনা) প্রমুখ।

সম্মেলনের বিভিন্ন অধিবেশনে পরিচালক ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক আলতাফ হোসাইন, যুববিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশীদ আখতার, দফতর সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম, শূরা সদস্য কাযী হারূণুর রশীদ ও মুহাম্মাদ তরীকুয্যামান। সম্মেলনে ৬৪টি সাংগঠনিক যেলা থেকে ১৭৭০ জন বাছাইকৃত কর্মী উপস্থিত হন। ট্রেন ও অন্যান্য বাহন ছাড়াও সাতক্ষীরা যেলা থেকে রিজার্ভ বাস ৩টি, কুমিল্লা, মেহেরপুর, যশোর, বগুড়া থেকে ১টি করে মোট ৪টি সর্বমোট ৭টি বাস; চাঁপাই নবাবগঞ্জ-দক্ষিণ থেকে ১টি ও জয়পুরহাট থেকে ১টি মোট ২টি মাইক্রোবাস এবং নরসিংদী থেকে ২টি প্রাইভেট কার নিয়ে কর্মীরা আসেন।






আরও
আরও
.