অপরাধী চেনাবে মাইন্ড রিডিং হেলমেট
মার্কিন টেকনোলজিক্যাল কোম্পানী ভেরিটাস সায়েন্টিফিক তৈরি করছে মাইন্ড রিডিং হেলমেট। ব্রেইন ওয়েভ মনিটর করে অপরাধ করার আগেই বিপজ্জনক ব্যক্তিকে শনাক্ত করাই মাইন্ড রিডিং হেলমেট তৈরির মূল উদ্দেশ্য। ভেরিটাস সায়েন্টিফিকের তৈরি মাইন্ড রিডিং হেলমেটটি দেখতে মোটরসাইকেল আরোহীর হেলমেটের মতোই হবে। আর হেলমেটটির ভেতরে থাকবে মেটাল ব্রাশ সেন্সর। হেলমেট পরা ব্যক্তির সামনে দেখানো হবে বিভিন্ন ছবি। হেলেমেটের সেন্সরগুলো ইইজির মাধ্যমে ব্রেইন ওয়েভ মনিটর করে ডাটা সংগ্রহ করবে। আর ওই ডাটা বিশ্লেষণ করেই সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে ব্যক্তিটি বিপজ্জনক বা অপরাধপ্রবণ মানসিকতার কি-না।
কম্পিউটারভিত্তিক রেললাইন নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র আবিষ্কার
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রুয়েটের ৪র্থ বর্ষের ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ছাত্র খন্দকার মারছুছ আবিষ্কার করল কম্পিউটার ভিত্তিক রেললাইন নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র। বাংলাদেশের রেল লাইনে বিদ্যমান ক্রসিংগুলো সাধারণত গেটম্যান দ্বারা পরিচালিত হয়। এছাড়া অনেক জায়গায় দেখা যায় গেটম্যানও থাকে না। ফলশ্রুতিতে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এছাড়া গেটম্যানের সামান্য অবহেলাও একটি বড়রকম দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এর সমাধানকল্পে মারছুছ আবিষ্কার করল এ যন্ত্রটি। ট্রেন আসার নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই যন্ত্রটি রেলক্রসিংয়ের গেটটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ করে দেবে। আবার ট্রেনটি ক্রসিং পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে দেবে। ফলে অন্যান্য গাড়ি চলাচল শুরু করতে পারবে। এছাড়া বর্তমানে বিদ্যমান গেটনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় সময় সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। হয়তো বা দেখা গেল ট্রেন আসার অনেক আগেই অথবা নির্দিষ্ট সময়ের পরে গাড়ির রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে। ফলে একদিকে যেমন দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও বেড়ে যায় তেমনি অপচয় হয় সময়ের। কিন্তু এ যন্ত্র সম্পূর্ণরূপে এই সমস্যাগুলো দূর করতে সক্ষম বলে তিনি দাবি করেন। এ যন্ত্রের সঙ্গে কম্পিউটার সংযোগ থাকার ফলে প্রতি মুহূর্তে ট্রেন আসা-যাওয়া বা গেট কাজ করছে কিনা এগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে দূর থেকে বসে পর্যবেক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। একটি কম্পিউটার থেকে প্রায় ৪০-৫০টি গেট এক সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে তিনি জানান।
অন্ধত্বের কারণ হ’তে পারে কম্পিউটার স্ক্রিন
কম্পিউটার মনিটর বা টেলিভিশনের স্ক্রিনের সামনে লম্বা সময় কাটানো চোখের জন্য যে ক্ষতিকর তা নতুন কোনো খবর না হলেও এর ভয়াবহতা এতদিন অজানাই ছিল। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জার্নাল অব পিডিয়াট্রিকসের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী অন্ধত্বের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে ব্যবহারকারীদের স্ক্রিন আসক্তি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিশুরা কম্পিউটার মনিটর এবং টেলিভিশনের সামনে প্রতিদিন নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে শতকরা ৬৬ ভাগ সময় বেশি কাটায়। বিশ্বব্যাপী আরো কয়েক কোটি মানুষকে কাজের খাতিরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় কম্পিউটার মনিটরের সামনে। কম্পিউটার মনিটর বা টিভি স্ক্রিনের সামনে এভাবে লম্বা সময় কাটালে তা ধীরে ধীরে চোখের এতই ক্ষতি করে যে, অন্ধ হয়ে যেতে পারেন উজ্জ্বল স্ক্রিনের সামনে লম্বা সময় কাটানো ব্যক্তিরা। দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের সামনে কাটালে ক্লান্ত হয়ে পড়ে চোখের ছোট ছোট মাংসপেশী। আর সাধারণ একজন মানুষের চোখের পাতা পড়ে প্রতি মিনিটে ১২ থেকে ১৫ বার। কিন্তু ইলেকট্রনিক স্ক্রিনের সামনে থাকলে তা কমে ৪ থেকে ৫ বারে দাঁড়ায়। স্ক্রিনের দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকলে ‘কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম’ বা সিভিএসে আক্রান্ত হ’তে পারে ব্যবহারকারীরা। এতে ঘোলা দৃষ্টি, মাথাব্যথা এবং আলোর প্রতি মারাত্মক সংবেদনশীলতার শিকার হন ব্যবহারকারীরা। চোখের এমন ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে কিছুক্ষণ পর পর স্ক্রিনের সামনে থেকে উঠে যতটা সম্ভব দূরে বসে সময় কাটানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও স্ক্রিনের উজ্জ্বল আলো থেকে চোখ রক্ষা করতে গ্লেয়ার প্রোটেক্টর ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছেন তারা।
স্প্রে করে জোড়া দেয়া যাবে ভগ্ন হৃদয়!
১০ হাযার ভোল্টের থ্রিডি ইলেকট্রিক স্প্রেয়ার হৃৎপিন্ডের ক্ষত জোড়া দেবে জীবন্ত হার্ট সেল ছুঁড়ে দিয়ে। হার্ট অ্যাটাকের ফলে সৃষ্ট হৃৎপিন্ডের ক্ষত সারাতে চিকিৎসকদের শেষ ভরসা হ’তে পারে এই ‘স্প্রে-প্যাচ’ প্রযুক্তি। হার্ট অ্যাটাক হ’লে মারা যায় হৃৎপিন্ডের কিছু সেল। পরে রোগী সুস্থ হয়ে উঠলেও ঐ মৃত হার্ট সেলগুলো ঠিক হয় না বরং থেকে যায় ক্ষত। পরে হৃৎপিন্ডে রক্ত সঞ্চালনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে হৃৎপিন্ডের ঐ মৃত অংশটুকু। এ কারণে হৃৎপিন্ডের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যায় ভোগেন হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত অনেক ব্যক্তি।
দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতের ঐ সমস্যা সমাধানে জীবন্ত হার্ট সেল পেইন্টের মতো হৃৎপিন্ডে ছুঁড়ে দেবার প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করছেন বৃটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞানীরা। হৃৎপিন্ডের ভেতরের ক্ষত সারিয়ে তোলা সম্ভব হ’তে পারে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
অফিসে খবরদারী করবে রোবট বস!
কর্মীদের ওপর খবরদারী করতে রোবট বস বানাচ্ছে মাইক্রোসফট। ঐ রোবট বসের বদৌলতে ছুটিতে গেলেও অফিসের ওপর খবরদারী করতে পারবেন বস।
রেডমন্ড, ওয়াশিংটনের রিসার্চ ল্যাবে ঐ রোবট বসটি বানাচ্ছেন মাইক্রোসফটের ইঞ্জিনিয়াররা। মাইক্রোসফটের রোবটটিতে থাকছে দু’টি ক্যামেরা ও একটি হাই ডেফিনেশন ডিসপ্লে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ওয়েবক্যাম আছে এমন একটি কম্পিউটারের সামনে বসেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে রোবটটি।
রোবটটি ব্যবহার করে দূরে থেকেও রীতিমতো অফিসে ঘুরে বেড়াতে পারবেন এর চালক। কথা বলতে পারবেন কর্মীদের সঙ্গে। রোবটটির প্রক্সি ক্যামেরাকে নির্দিষ্ট একজন ব্যক্তির ওপর ফোকাস করে তার কথা বলতে প্রশিক্ষণ দেয়াও সম্ভব।