শিশু জন্মের সময় কোন জটিলতায় মা ও নবজাতকের জীবন হুমকির মুখে পড়লে সিজারিয়ান অপরিহার্য হয়ে পড়ে। কিন্তু এতে মা ও শিশুর কিছু সমস্যা দেখা দেয়। তাই একেবারে অপরিহার্য না হলে যেন সিজার না করা হয়, সেদিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া দরকার।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, স্বাভাবিক প্রসবে জন্ম নেওয়া শিশুরা অনেক বেশী স্মার্ট এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তাদের অনেক বেশী। যার কারণ হল, জন্মের পরপরই ওরা সহজে ও দ্রুত মায়ের বুকের দুধ পায় ও খেতে পারে। জন্মের পরপরই মায়ের ত্বকের স্পর্শে এসে নবজাতক প্রয়োজনীয় উষ্ণতা পায়। এছাড়া জন্মনালী অতিক্রমের সময় নবজাতকেরা কিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়া পায়। এগুলো তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। স্বাভাবিক জন্মের শিশুরা যে শুধু স্মার্ট হয়, তা-ই নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, ওই শিশুরা পরবর্তী জীবনে অনেক বেশি মেধার পরিচয় দেয়। পড়াশোনায় তারা ভালো করে।
অথচ বর্তমানে দেশে সিজারিয়ানের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এই হার মোট শিশুজন্মের ১০ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যে থাকা দরকার। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে ৩১ শতাংশ শিশু জন্ম নেয় অপারেশনের মাধ্যমে।
অভিযোগ আছে যে কিছু বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিক বেশী লাভের জন্য অপ্রয়োজনীয় অপারেশন করে। অন্যদিকে এটাও সত্য যে, অনেক মা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা চান না যে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে প্রসূতি মায়ের ব্যথা-বেদনায় খুব বেশি কষ্ট হোক। তাই সমস্যার আশংকা থেকে তারাও অপারেশনের ব্যাপারে প্রবল চাপ সৃষ্টি করেন। কিন্তু অধিকাংশই ক্ষতিকর দিকটা ভেবে দেখেন না।
এ ব্যাপারে সেভ দ্য চিলড্রেনের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর ইশতিয়াক মান্নান বলেন, অপ্রয়োজনীয় অপারেশনের মাধ্যমে শিশু জন্মের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। এর ফলে মা ও শিশু দুজনেই ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। তাই অপারেশনের মাধ্যমে শিশু জন্মের হার কমিয়ে আনতে হবে।
[সুখপ্রসব ও স্বাস্থ্যবান সন্তানের জন্য গর্ভের ৭ম মাস থেকে প্রতি রাতে শোওয়ার সময় ১ ডোজ পালসেটিলা (হোমিও) ২০০ খান। সেই সাথে সকালে কেলি ফস ৬x দু’টি করে বড়ি এক কাপ গরম পানিসহ এবং বিকেলে ক্যালকেরিয়া ফস ৬x দু’টি বড়ি এক কাপ গরম পানি সহ খান। ৪ দিন পরপর দু’দিন করে বিরতি দিন। ইনশাআল্লাহ সিজারের প্রয়োজন হবে না। সর্বাবস্থায় আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন এবং বিসমিল্লাহ ও দো‘আ পাঠের মাধ্যমে ঔষধ খান। আল্লাহ মূল আরোগ্যদাতা (স.স.)]