যুক্তরাষ্ট্রের
সানফ্রান্সিসকোর সোনোমা ভ্যালিতে কৃষক রায়ান কান্ডির পারিবারিক আঙ্গুর
ক্ষেতটি দেখতে ছবির মতোই নিখুঁত। বিশাল ক্ষেতটি রক্ষণাবেক্ষণ থেকে শুরু করে
পর্যবেক্ষণের সার্বিক কাজ সারেন ড্রোন দিয়েই। শুধু তিনিই নন, তাঁর মতো
অনেক মার্কিন কৃষকই এখন ড্রোন ব্যবহার করেন। একসময়ের অত্যাধুনিক সামরিক
প্রযুক্তির ড্রোনের ব্যবহার এখন এভাবেই কৃষিকাজে ছড়িয়ে পড়েছে। ক্ষেতের ওপর
দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় ড্রোনের তোলা ছবি এবং এতে থাকা শনাক্তকরণ যন্ত্রে
সংগৃহীত তথ্য থেকে ফসলের জন্য সিদ্ধান্ত নির্ভুলভাবে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
তবে এই ড্রোন হ’ল ক্যামেরা ও অন্যান্য যন্ত্রসমৃদ্ধ স্বল্পমূল্যের এক
উড়ুক্কু যান, যা দেখতে অনেকটা ছোট উড়োজাহাজের মতো। বেতার-তরঙ্গ নিয়ন্ত্রিত
প্রথাগত একটি ড্রোনকে পরিচালনা করে থাকেন ভূমিতে থাকা একজন পাইলট। তবে কিছু
ড্রোন অটোপাইলটের মাধ্যমেও চলে। প্রয়োজনীয় ওড়ার পথ ঠিক করে দেয় ড্রোনে
থাকা সফটওয়্যার।
খুবই সামান্য খরচের এই ড্রোন ব্যবহার করে আকাশ থেকে দেখার কারণে ক্ষেতের পানি সেচ থেকে শুরু করে মাটির গুণাগুণের মতো বিষয়গুলো বোঝা সহজ হয়। এমনকি কীটপতঙ্গ ছড়িয়ে পড়া বা ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টিও জানা যায়, যা খালি চোখে বুঝা যায় না। এছাড়া ছবি দেখে ক্ষেতের ফসলের প্রকৃত অবস্থা (কোনটি স্বাস্থ্যবান বা দুর্দশাগ্রস্ত) বোঝা যায়, যা খালি চোখে দেখা অসম্ভব।
উকিলের দিন শেষ!
২০৩০ সাল নাগাদ আইনজীবীদের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হ’তে শুরু করবে। আইনজীবীদের জায়গা নেবে বুদ্ধিমান রোবট। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা একটি গবেষণায় দেখিয়েছেন, বুদ্ধিমান রোবটের কারণে শিগগিরই আইন পেশাজীবীদের অন্য পথ খুঁজতে হবে। কারণ ২০৩০ সাল পর্যন্ত হিসাব করলে দেখা যায়, আইনজীবীদের সে সময় খুব বেশি প্রয়োজনই পড়বে না।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, বুদ্ধিমান একটি রোবটই এক ডজনেরও বেশী জুনিয়র আইনজীবীর সমান কাজ করতে পারবে। এ কাজের জন্য আইনী পরামর্শক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশেষ সুবিধা হবে। আলাদা করে বেতন দিতে হবে না। এ ছাড়া একটানা কাজ করে যেতে পারবে এই রোবট।
২০৩০ সাল নাগাদ বড় বড় আইনী পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ব্যবসা মডেল যুক্ত করবে। অবশ্য বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে বড় ধরনের প্রভাব পড়লেও ছোট ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ ধরনের প্রভাব কম পড়তে পারে বলেই ঐ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।