অজ্ঞান হওয়ার মুহূর্তে মস্তিষ্কের ছবি তুলে অবাক বিজ্ঞানীরা

এই প্রথম বিজ্ঞানীরা মানব মস্তিষ্কের অজ্ঞান হ’তে শুরু করার ছবি তুলতে পেরে বিস্মিত হয়েছেন। ম্যানচেস্টারের রয়্যাল ইনফার্মারির প্রফেসর ব্রায়ান পোলার্ড বলেছেন, অ্যানেস্থেসিয়া বা অজ্ঞান করার ওষুধ রোগীর শরীরে প্রবেশ করানোর পরপরই তারা মস্তিষ্কের স্ক্যান শুরু করে দিয়েছিলেন। দেখা যায়, মানুষটি অজ্ঞান হ’তে শুরু করামাত্রই তার মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ নিউরন বা রেডিও সিগন্যালের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে কথা বলা শুরু করে দিল। বর্তমানে মস্তিষ্কের স্ক্যান করা বা মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের ছবি তোলার যে পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে, তাতে অনেক তথ্য জানা গেলেও মানুষ অজ্ঞান হওয়ার সময় সেই একই মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে বা আদৌ করে কিনা, সে বিষয়ে তেমন কোন তথ্য জানতেন না বিজ্ঞানীরা। এই প্রথম বোঝা গেল, মানুষ যখন অজ্ঞান হ’তে থাকে, মস্তিষ্ক কিন্তু তখনও সচল থাকে। তার বেশ কিছু অংশ প্রয়োজনীয় কাজ করে যায়। চেষ্টা করে যেতে থাকে শরীরবৃত্তীয় কিছু কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়ার। নতুন এই জ্ঞান হার্টঅ্যাটাক বা সেরিব্র্যাল জাতীয় অসুখের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বেশ কাজে দেবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

মানুষের গলায় প্রথম কৃত্রিম শ্বাসনালী স্থাপন

সুইডেনে শল্যচিকিৎসকদের একটি আন্তর্জাতিক দল ক্যান্সারে আক্রান্ত একজন রোগীর গলায় সফলভাবে কৃত্রিম শ্বাসনালী প্রতিস্থাপন করেছে। বিশ্বে এটাই প্রথম কোন মানুষের দেহে কৃত্রিম শ্বাসনালী স্থাপন বলে শল্যচিকিৎসকদের দাবী। গত ৯ জুন সুইডেনের স্টকহোমে ক্যারোলনিস্কা বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ১২ ঘণ্টাব্যাপী এ অস্ত্রোপচার চলে। মানুষের শ্বাসনালী প্রতিস্থাপনের নতুন এ প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম শ্বাসনালির কাঠামোটি এমনভাবে তৈরী করা হয় যে, সেটি রোগীর শ্বাসনালির কাঠামোর অনুরূপ। এতে এ প্রক্রিয়ায় কোন দাতার প্রয়োজন হয় না এবং সংশ্লিষ্ট অঙ্গটি পরিত্যক্ত হওয়ারও কোন সম্ভাবনা থাকে না।

২০ বছর পর হাযার বছরের আয়ু নিয়ে আসছে মানুষ!

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২০ বছর পর হাযার বছরের আয়ু নিয়ে মানুষ পৃথিবীতে জন্ম নিবে। দীর্ঘায়ু গবেষণায় নিয়োজিত ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক এসইএনএস (স্ট্রাটেজিস ফর ইঞ্জিনিয়ার্ড নেগলিজিবল সেনেসেন্স) ফাউন্ডেশনের প্রধান বিজ্ঞানী বায়োমেডিক্যাল জেরোন্টোলজিস্ট আব্রে দ্য গ্রে ব্রিটেনের রয়্যাল একাডেমী অব সায়েন্সে প্রভাষণের পর এক সাক্ষাৎকারে এই পূর্বাভাস দেন। তিনি বলেন, আমরা এখন বয়স ধরে রাখার ৫০/৫০ সম্ভাবনার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। আগামী ২৫ বছরের মধ্যে অতি সংক্রামক রোগসমূহ জয়ের মধ্য দিয়ে সুস্পষ্ট সাফল্য এসে যাবে। আব্রে দ্য গ্রে এমন একটি সময়ের স্বপ্ন দেখছেন যখন মানুষ দেহযন্ত্রটিকে শুধু রক্ষণাবেক্ষণের জন্যই চিকিৎসকদের কাছে যাবে। চিকিৎসকরা জিন থেরাপি, ইমমিউন সিমুলেশন এবং অত্যাধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে দেহযন্ত্রটিকে ঠিকঠাক করে দেবেন।






আরও
আরও
.