পানযোগ্য করা হবে সাগরের পানি

২০২৫ সালের মধ্যে পানযোগ্য পানির প্রায় ৯০ শতাংশই শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা৷ তাই সমুদ্রের পানিকে পানযোগ্য করার জন্য চলছে নিরন্তর গবেষণা। লোনা পানিকে পানযোগ্য করার বর্তমান উপায়ের নাম হ’ল ‘রিভার্স অসমোসিস’। কিন্তু এতে প্রচুর জ্বালানী খরচ হয় এবং এটা বেশ ব্যয়বহুলও। তাই বিকল্প উপায় নিয়ে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। যার নেতৃত্বে রয়েছেন ফাবিও লা মান্টিয়া। তাদের পদ্ধতির নাম ‘ডিস্যালাইনেশন ব্যাটারী’। তিনি বলেন, আমরা প্রথমে সমুদ্রের পানি থেকে ২৫ ভাগ সোডিয়াম ক্লোরাইড দূর করার চেষ্টা করছি। তবে আমাদেরকে ৯৮ ভাগ সোডিয়াম ক্লোরাইড দূর করতে হবে। কিন্তু প্রয়োজনীয় উপাদান পাওয়া যাচ্ছে না বলে সেটা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান মান্টিয়া। নিজেদের গবেষণার চূড়ান্ত সফলতার জন্য আরো সময় চেয়েছেন মান্টিয়া ও তার দল।

চাঁদের বুকে পরবর্তী পদচিহ্নটি হতে পারে চীনাদের

১৯৬৯ সালের ২১শে জুলাই মার্কিন অভিযাত্রী নেইল আর্মস্ট্রং চাঁদে প্রথম পা রাখার প্রায় ৪৩ বছর পেরিয়ে গেলেও অন্য কোনো মানুষের পক্ষে আর চাঁদে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে চাঁদের বুকের পরবর্তী মানুষটি হতে পারেন একজন চীনা নাগরিক। আগামী বছরের দ্বিতীয়ার্ধের যে কোন সময় চীন চাঁদে একটি যান নামানোর চেষ্টা করবে৷ ২০৩০ সাল নাগাদ তারা একজন নভোচারীকে চাঁদে পাঠাতে সক্ষম হতে পারে বলে জানানো হয়েছে৷

বোবারাও কথা বলতে পারবে

পক্ষাঘাতে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলা ব্যক্তিরাও কথা বলতে পারবে যন্ত্রের সাহায্যে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের একদল বিজ্ঞানী এমন যন্ত্র আবিষ্কারের লক্ষ্যে কয়েক ধাপ এগিয়েছেন। কথা বলতে গেলে মানুষের মস্তিষ্কে ঠিক কী কী পরিবর্তন হয় তা জানতে পেরেছেন বলে সম্প্রতি দাবি করেছেন এই বিজ্ঞানীরা। এখন মস্তিষ্কের ঐ পরিবর্তনকে শব্দে পরিণত করার উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছেন তারা।

ঐ গবেষণা দলটির অন্যতম সদস্য ইঝাক ফ্রায়েড বলেন, পক্ষাঘাতে বোবা হয়ে পড়া ব্যক্তিদের মস্তিষ্কের সেই পরিবর্তনকে শব্দে রূপান্তর ঘটানো সম্ভব হলে তারাও কথা বলতে পারবে। আর তখন এমন একটা যন্ত্র তৈরি করা খুব সহজ হবে। আর সেই যন্ত্রটিকে মস্তিষ্কের সংশ্লিষ্ট অংশের সঙ্গে জুড়ে দিলেই কোন অসুখ বিসুখে যারা কথা বলার ক্ষমতা হারাবে তারা কথা বলতে পারবে।

বিষণ্ণতার জন্য সামাজিক যোগাযোগ সাইট দায়ী

সামাজিক সাইটগুলি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের মাঝে সম্পর্ক তৈরীর ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখলেও বিষণ্ণতা, হতাশা, অকর্মণ্যতা সৃষ্টিতে এর বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটির একদল গবেষকের গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে। এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা বিশেষ করে তরুণরা বাস্তবে সামাজিক মেলামেশা থেকে সামাজিক যোগাযোগসাইটে মেলামেশা বা সময় কাটানোর প্রতি বিশেষভাবে ঝুঁকে পড়ছে। গবেষকদের দাবি, ফেসবুক, টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলো কল্যাণের পরিবর্তে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষকে বিষণ্ণ, হতাশাগ্রস্থ ও আশাহত করে তোলে। এসব সাইটে অধিক সময় ব্যয়কারীদের বিষণ্ণতার পরিমাণ বেড়ে যায়, যা শারীরিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিকর।

গবেষণার ফলাফল হিসাবে দেখা যায়, সামাজিক যোগাযোগ সাইট ব্যবহারকারীরা অন্যদের তুলনায় জীবন নিয়ে অধিক হতাশ। আমেরিকান অ্যাকাডেমী অফ পেডিয়াট্রিকস নামের গবেষণা সংস্থা জানায়, অধিক সময় সামাজিক যোগাযোগ সাইট ব্যবহারকারীরা প্রথমে হতাশা ও বিষণ্ণতায় ভুগতে ভুগতে স্থায়ী জটিল রোগে ভোগা শুরু করে। এমনকি অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে।






আরও
আরও
.