আবর্জনা

আমীরুল ইসলাম মাষ্টার

ভায়া লক্ষ্মীপুর, চারঘাট, রাজশাহী।

কি বলব আজ এই সমাজের ভেবে কিছু ঠিক না পাই

দুঃখ-ব্যথায় পাঁজর ভাঙ্গে জীবন ভরে হতাশায়।

লোক সমাজে বড় যারা প্রধান মোড়ল মান্যমান

ঘৃণায় ভরে দেখলে তাদের চরিত্র আর স্বভাবখান।

মিথ্যা কথা ধোঁকাবাজী লোক ঠকানোর চেষ্টাতে

নিত্য নতুন কায়দা-কানূন চলছে সারা দেশটাতে।

পড়ে মোরা ঠকের হাতে সবাই যেন ঠকছি আজ

দুঃখ-জ্বালার আগুনে তাই মরছে পুড়ে এই সমাজ।

আজকে যারা চালাক-চতুর মিথ্যাবাদী ধুরন্ধর

তারাই বেশী সমাজপতি প্রধান মোড়ল-মাতববর।

নেই কোন বিচার-আচার তাদের বেলায় সমাজে

যদিও  তারা অপরাধী সকলখানে সবকাজে।

তাদের দ্বারাই হচ্ছে যত দুর্নীতি আর মন্দ কাজ

আজকে তারাই ভালো মানুষ হিরো জিরো মহারাজ।

আয়রে তোরা যুবক তরুণ নবীন অরুণ আয় ছুটে

ঝড় তুলে আজ পাহাড় ভাঙ্গা আয়তো তোরা সবজুটে।

ঘুনে ধরা সমাজটাকে গুড়িয়ে দিয়ে করতো চুর

যত ঝঞ্ঝাট আবর্জনা উড়িয়ে তোরা করতো দূর।

আর সহে না এই যাতনা দুঃখ জ্বালার পাহাড় চাপ

সব সমাজে আসুক ফিরে ন্যায়-নীতি আর হক্ব ইনছাফ।

অশান্তির দাবানলে

ওয়াহীদুযযামান

রাজপুর, কলারোয়া, সাতক্ষীরা।

তপ্ত হয়ে শক্ত আজি

মোদের সবুজ দেশটা,

ব্যক্ত করে রক্ত গরম

তবু বিফল চেষ্টা।

রবের সাথে সবের মিলন

করছে লোকে মাযারে,

সুস্থ হ’তে ব্যস্ত সবাই

তাবীয ঝুলায় শরীরে।

বোতল খেয়ে মাতাল হ’তে

ভীড়ছে মদের দোকানে,

পাগলামী আর মাতলামীতে

ব্যস্ত সদা নাচ-গানে।

আলেম সেজে যালিমেরা

করছে যত গোলমাল,

ধোঁকায় পড়ে বোকা হয়ে

গড়ছে লোকে নতুন দল।

মিছে কথার পিছে পড়ে

ব্যবসা করে দোকানী,

ভন্ডপীরে দ্বন্দ্ব বাড়ায়

আলেম সেজে হককানী।

বড় লোকে ডর দেখিয়ে

ধনী হচ্ছে সমাজে,

ঘুষের টাকা চুষে নিয়ে

হাযির আবার ছালাতে।

লজ্জা ছেড়ে যেনাতে আজ

লিপ্ত যুব নর-নারী,

ডাকাতেরা টাকার লোভে

ছাড়ছে রাতে ঘরবাড়ী।

নেতাগণ ব্যথা দিয়ে

গরীব লোকের অন্তরে,

দেশের মাল ঠেসে ঠেসে

খাচ্ছে সবাই পেট পুরে।

এমন হ’লে কেমন করে

দেশে মোরা শান্তি পাই?

সহায় তুমি আল্লাহ মহান

তোমার কাছেই বিচার চাই।

আলোর জ্যোতি

ছানাউল্লাহ আববাসী

বাবুপুর, গোমস্তাপুর, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।

অসত্যের অাঁধার নাশি এলে তুমি

হে মোর প্রিয় আত-তাহরীক!

বাতিল নিধনের বিপ্লব সাধনে

তুমি যে চির নির্ভীক।

নাশি পৃথিবীর পাপ-তাপ যত

তুমি জ্বালো সত্যের আলো

তোমার বলেই দূরীভূত হোক

ধরার সব অাঁধার কালো।

সত্যের জ্যোতি হে প্রিয় তাহরীক!

কত যতনে রাখি তোমায়

বিশ্বের বুকে চিরজীবী হও

ভরে দাও তোমার জ্ঞান প্রভায়।

যে পেয়েছে স্বাদ তোমার

সে কি ভুলিতে পারে?

তোমার অম্লান জ্যোতি আমার

সতত হৃদয় কাড়ে।

হরতাল মানে

মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ

নলত্রী, গোদাগাড়ী, রাজশাহী।

হরতাল মানে মারামারি ও পুলিশের লাঠি খাওয়া,

হরতাল মানে বিশৃঙ্খলা আর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।

হরতাল মানে রাস্তা অবরোধ গাড়ি পোড়াপুড়ি,

হরতাল মানে সকাল-সন্ধ্যা রাস্তাতে দৌড়াদৌড়ি।

হরতাল মানে রাস্তা-ঘাটে পঁঁুলিশের আনাগোনা,

হরতাল মানে বিরোধী দল হবেই তুলোধূনা।

হরতাল মানে সকাল-বিকাল জ্বালাও পোড়াও অভিযান

হরতাল মানে রাস্তা-ঘাটে বন্ধ সকল যানবাহন।

হরতাল মানে জনগণের পথচলায় মহাদুর্ভোগ,

হরতাল মানে যেখানে সেখানে বিপুল অগ্নি সংযোগ।

হরতাল মানে সকাল-বিকাল ইট-পাটকেল বৃষ্টি,

হরতাল মানে দেশের মাঝে যত অশান্তির সৃষ্টি।

হরতাল মানে সরকারী-বিরোধী দলের সংঘর্ষ খুবই

হরতাল মানে দেশ ও জাতির চরম ভরাডুবি।

***






আরও
আরও
.