আয়তনে বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশ কাযাখস্তান। ২৭ লাখ ২৪ হাযার ৯০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই বিশাল দেশটিতে প্রায় ২ কোটি মানুষের বসবাস। দেশটির প্রধান ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। ১৯৯১ সালে কমিউনিস্ট শাসনের অবসান ঘটার পরও দেশের শাসনব্যবস্থায় ধর্মবিরোধী ছাপ থেকে গেছে। তবে আশার কথা হ’ল, দেশটিতে ধর্মীয় অনুরাগ বাড়ছে দিন দিন। বর্তমানে দেশটির ৭০ শতাংশ জনগণ মুসলিম এবং তাদের বেশীরভাগ তুর্কী বংশোদ্ভূত। মার্কসবাদ-লেনিনবাদের সাময়িক দাপটে স্বাধীনতা হারানো যেসব প্রজাতন্ত্র সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়, তাদের মধ্য অন্যতম হ’ল কাযাখস্তান।

কে বিশ্বাস করবে যে, এই কাযাখস্তানে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ৬০ বছর ব্যাপী কমিউনিস্ট শাসন চলাকালে বন্ধ করা হয়েছিল হাযার হাযার মসজিদ-মাদ্রাসা, নিষিদ্ধ করা হয়েছিল সকল প্রকার ধর্মীয় কার্যক্রম, এমনকি কুরআন সংগ্রহে রাখাও ফাঁসিযোগ্য অপরাধ ছিল! সেই কাযাখস্তানে আজ ৪ হাযারেরও বেশী মসজিদ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা অবাধে দ্বীনী ইলম চর্চা করছে। দেশের বাইরে পাকিস্তান, সঊদী আরব, মিসর প্রভৃতি দেশেও উচ্চতর লেখাপড়া করতে পাড়ি জমাচ্ছে। দেশটির বিশিষ্ট সমাজবিদ মদীনা নুরগালিভা সমাজে ধর্মের প্রভাবের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, দেশের সক্রিয় প্রায় ৯০ শতাংশ যুবকই ধর্মভীরু। এথেকে বুঝা যায়, কল্পনা দিয়ে যত শক্তিশালী আদর্শিক ভিত্তি দাঁড় করানো হোক না কেন, সত্যিকার অর্থে তা যে ঠুনকো, তা প্রমাণিত হয় খান খান হয়ে যাওয়া কমিউনিজমের পতনের মধ্য দিয়ে।

অষ্টম শতাব্দীতে আরবদের আগমনের ফলে এই অঞ্চলে ইসলামের প্রসার ঘটে। ১৩ থেকে ১৬ শতকে মোঙ্গলরা এখানে রাজত্ব করে। ১৮৭০-১৮৭৬ সালের মধ্যে রাশিয়া কাযাখস্তান দখল করে নিলে সেখানে জারের রাজত্ব শুরু হয়। অতঃপর সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেলে ১৯৯১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর রাশিয়া থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীন হয় দেশটি।

আল্লামা তক্বী উছমানী কাযাখস্তানে ধর্মীয় সফর থেকে ফিরে স্বীয় ভ্রমণকাহিনীতে লিখেছেন কমিউনিস্ট শাসনকালে বেড়ে ওঠা কিছু উদ্যমী হাফেযে কুরআন যুবকের কথা। তাদেরকে তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন, যেখানে কুরআনের কপি ঘরে রাখা অপরাধ ছিল, সেখানে আপনারা কিভাবে কুরআন হেফয করলেন? প্রশ্ন শুনে তাদের চোখগুলো থেকে অশ্রু ঝরতে লাগল।

তারা শোনালেন, তাদের পূর্বপুরুষ আলেমরা কীভাবে জান-মাল বিসর্জন দিয়ে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে গোপনে মাটির নিচে কোরআন শেখাতেন। আরবী ভাষা, ধর্মীয় জ্ঞান-বিজ্ঞান শিক্ষা প্রদান করতেন। বস্ত্তত তাদের সেই ত্যাগ-তিতিক্ষার বদৌলতে তাদের হাতেগড়া তরুণরাই কাযাখস্তান স্বাধীন হওয়ার পর ধর্মীয় ক্ষেত্রে মুসলমানদের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে।

বর্তমানে সেখানে শতাধিক মাদ্রাসা ও হাযারের বেশী ইসলামিক সেন্টার রয়েছে। দেশের বৃহত্তম মসজিদ হ’ল- হযরত সুলতান মসজিদ। মসজিদটি রাজধানী নূর সুলতানে (আস্তানা) অবস্থিত। এটি মধ্য এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ। যেখানে একসঙ্গে ৫০ হাযার মুছল্লী ছালাত আদায় করতে পারেন।






তিউনিসিয়ায় ৮০টি মসজিদ বন্ধ করে দেয়া হবে
গাযার ৭৫ ভাগ মসজিদ ধ্বংস করেছে ইসরাঈল
দক্ষিণ সূদান : মানবতা যেখানে ভূলুণ্ঠিত
সঊদী আরবের পরবর্তী শাসক হিসাবে পুত্র মুহাম্মাদকে যুবরাজ ঘোষণা করলেন বাদশাহ সালমান
শীর্ষ অস্ত্র উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হওয়ার পরিকল্পনা সঊদী আরবের
তুরস্ক ও পাকিস্তানের যৌথ ব্যবস্থাপনায় প্রথম ‘মুসলিম বিশ্বের যুদ্ধবিমান’ প্রকল্প
মুসলিম জাহান
ফিলিস্তীনের গাযায় ইসরাঈলের পৈশাচিক বর্বরতা : নিশ্চুপ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ
তালেবানদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ আফগান ফেরত ভারতীয় শিক্ষক
জাতিসংঘে ইমরান খানের হৃদয়স্পর্শী ভাষণ (কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ হ’লে পুরো বিশ্বকে তার ফল ভোগ করতে হবে)
সমুদ্রে মনুষ্যহীন নৌযান আনছে তুরস্ক
মুসলিম জাহান
আরও
আরও
.