
শান্তিতে
নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন পাকিস্তানে সূদবিহীন ক্ষুদ্রঋণ
কর্মসূচি ‘উখুওয়াত ফাউন্ডেশনে’র প্রতিষ্ঠাতা ড. আমজাদ ছাকিব। দারিদ্র্য
বিমোচনে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য তিনি এ মনোনয়ন পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
খবরে বলা হয়, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে ৩৪৩ প্রার্থীকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের
জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৫১ জন ব্যক্তি এবং ৯২টি প্রতিষ্ঠান
রয়েছে। এ তালিকায় ড. আমজাদ ছাকিবের নামও রয়েছে।
পাকিস্তানের এ জনহিতৈষী দেশটির বৃহত্তম সূদমুক্ত ইসলামী শরী‘আহসম্মত ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের প্রতিষ্ঠাতা। দেশটির বিভিন্ন শহরে ৮০০ শতাধিক শাখা নিয়ে গড়ে ওঠা এই প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যন্ত ৩০ লক্ষাধিক মানুষের মধ্যে ৯০ কোটি ডলার বা প্রায় ৮ হাযার কোটি টাকার সূদমুক্ত ঋণ বিতরণ করেছে। ঋণ পরিশোধের হারও প্রায় ১০০ শতাংশ। তবে এর জন্য ঋণগ্রহীতাদের অতিরিক্ত কোন অর্থ বা সার্ভিস চার্জ পরিশোধ করতে হয় না। কিং এডওয়ার্ড মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা ড. আমজাদ পাঞ্জাব সরকারের গ্রাম উন্নয়ন ও ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি পাঞ্জাব রুরাল সাপোর্ট প্রোগ্রামসহ (পিআরএসপি) সরকারের উচ্চপর্যায়ের বিভিন্ন পদে নিয়োজিত ছিলেন। এসব দায়িত্বে থাকার সময় তাঁর মনে হ’ত দরিদ্রদের চাহিদা পূরণের জন্য বিকল্প পদ্ধতি প্রয়োজন। সে চিন্তা থেকে ২০০৩ সালে সরকারী চাকুরী থেকে পদত্যাগ করেন এবং একই বছর উখুওয়াত প্রতিষ্ঠা করেন। প্রায় দুই দশক সফলতার সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করা আখুওয়াত এখন শরী‘আহসম্মত ক্ষুদ্রঋণের একটি কার্যকর মডেল উপস্থাপন করেছে, যা খুবই টেকসই বলে প্রমাণিত হয়েছে। সূদ ও জামানতবিহীন ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচী চালুর জন্য যে পাঁচ ব্যক্তি র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পেয়েছেন, তাদেরই একজন আমজাদ ছাকিব। ঋণের অর্থ বিতরণের জন্য মসজিদকে ব্যবহার করেন তিনি। তার বিশ্বাস মানুষের দয়া ও সংহতির মধ্য দিয়ে দারিদ্র্য বিমোচনের পথ খুঁজে পাওয়া সম্ভব। উখুওয়াতের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে যুক্ত আছেন তিনি।
নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়ার খবরে ডা. আমজাদ বলেন, পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। পুরস্কার পাওয়ার জন্য আমি কাজগুলো করিনি। এগুলো পুরোপুরিভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য করা। আমার সেবা এ ধরনের পুরস্কারের বাইরে এবং সম্পূর্ণভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। বিদেশী কেউ হয়তো আমার নাম এই পুরস্কারের জন্য সুফারিশ করেছেন।
[এটি পুরো সূদমুক্ত কি-না আমাদের সন্দেহ আছে। যদি পুরোপুরি সূদমুক্ত হয়, তাহ’লে আমরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই (স.স.) ]।