২৬শে
ফেব্রুয়ারী ২০১৯ মঙ্গলবার পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয়
বিমানবাহিনীর মিগ-২১ বিমান আযাদ কাশ্মীরে বিধ্বস্ত হয়েছিল। ঐ বিমানের পাইলট
‘অভিনন্দন বর্তমান’ পাকিস্তানে আটক হয়। শুক্রবার পাকিস্তান তাকে মুক্তি
দিয়ে ভারতের হাতে সোপর্দ করে। তার ফিরে যাওয়ার সময় তার কাছে তার ছেলে
বানী-র জন্য একটি চিঠি তুলে দেয় পাকিস্তান সেনাবাহিনী। এখানে ঐ চিঠিটির
অনুবাদ তুলে ধরা হ’ল।-
‘হে ছোট্ট বানী! অভিনন্দন তোমাকে। খুব শীঘ্রই তুমি তোমার পিতাকে জড়িয়ে ধরতে পারবে। আমরা তোমার কাছে তাকে উপহার হিসাবে পাঠিয়ে দিলাম। তিনি তোমার মতো কতজনকে যে বোমা মেরে হত্যা করতে এখানে এসেছিলেন, সেগুলি বিষয় আমরা বিবেচনা করছি না।
বানী শোন! তোমার কাছে আমাদের একটি অনুরোধ আছে। তিনি যখন তোমার কাছে ছুটে গিয়ে তোমাকে শক্তভাবে জড়িয়ে ধরবেন, দয়া করে আমাদের পক্ষ হ’তে তাকে কয়েকটি প্রশ্ন করো।-
বাবা! কাশ্মীরী শিশুদের কি আমার মতো তাদের পিতাদের সাথে সুখে থাকার অধিকার নেই? তাকে জিজ্ঞেস করো, তারা যদি দাঙ্গাবাজ লোকদের কাছে তোমাকে ছেড়ে দিত, তাহ’লে কী হ’ত? তার কাছে জানতে চেয়ো, যুদ্ধ আর ঘৃণার মূল্য কত? তাকে জিজ্ঞেস করো, বেশী শক্তিশালী কোনটি, ঘৃণা না ভালোবাসা? তার কাছে জানতে চেয়ো কোনটা বেশী সুন্দর, জীবন না মৃত্যু?
আমরা অবশ্যই তোমাকে এসব প্রশ্নের উত্তর দিব। সুখে থাকো ছোট্ট বানী। আমরা আশা করি, তুমি একদিন ক্ষেপণাস্ত্র আর বোমার বদলে হাতে ফুল নিয়ে পিতার সাথে আমাদের দেশে আসবে।
আর একটি কথা, আমরা তোমাকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমরা কাউকেই কোনভাবে তোমার হাসি কেড়ে নিতে দিব না। আমাদের ভূমিকে ধ্বংস করতে দিব না। পিতার সাথে সুখে থাকো। সহৃদয় ভালোবাসা নিয়ো’।
[মর্মস্পর্শী এই চিঠিটি ইসলামী জিহাদের ফেলে আসা সোনালী স্মৃতিকে জাগরুক করে তুলেছে। যখন শত্রুনেতা আবু সুফিয়ানকে নিরস্ত্রভাবে হাতের মুঠোয় পেয়েও তাকে মুক্ত করে দেন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)। ইয়ারমূকের যুদ্ধে মৃত্যু পথযাত্রী মুসলিম সেনা পাশের আরেকজন সেনার আকুতি শুনে নিজের পানির পাত্র তাকে দিয়ে দেন। অবশেষে পরপর তিনজন সেনা পানি পান না করেই শহীদ হয়ে যান। আমরা মুসলিম দেশ সমূহের নেতৃবৃন্দকে এই সুন্দর উদাহরণ সমূহ থেকে শিক্ষা গ্রহণের আবেদন জানাই (স.স.)।]