গাদ্দাফী-উত্তর লিবিয়ায় মুক্তি ও উন্নয়নের দেখা মেলেনি
লিবিয়ার বর্তমান পাশ্চাত্য সমর্থিত সরকার প্রায় ৪০ বছর যাবৎ লিবিয়া শাসনকারী মুয়াম্মার গাদ্দাফীর পতনের দ্বিতীয় বার্ষিকী সম্প্রতি পালন করল। তবে গাদ্দাফীর পতনের পর লিবিয়ার জনগণ যে মুক্তি ও উন্নয়নের আশা করেছিল, ইসলামপন্থীরা যে ইসলামী রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিল, তার দেখা মেলেনি; বরং গোটা দেশ এক গভীর নৈরাজ্যের মধ্যে নিমজ্জিত হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী পাশ্চাত্যপন্থী, ইসলামপন্থী, চরমপন্থী বিভিন্ন দল-উপদল দেশের উচ্ছৃঙ্খল মিলিশিয়াদের সাথে মিলে রাজনৈতিক বিরোধকে সশস্ত্র সংঘাতে পরিণত করেছে। সম্প্রতি খোদ প্রধানমন্ত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে। যদিও পরে আবার তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে হত্যা করা হয়েছে শত শত সামরিক অফিসার, ধর্মীয় ও সমাজ নেতাকে। গাদ্দাফীর পতনে নিয়োজিত প্রায় ৩ লক্ষাধিক মিলিশিয়ার অধিকাংশই অস্ত্র জমা না দিয়ে নিজ নিজ এলাকার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। দেশের প্রত্যেক রাজনীতিকই দলীয় সংঘাতে নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনী ব্যবহার করছে। বিশেষত তেলক্ষেত্রগুলির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মাঝে সংঘাত চরমে উঠেছে। ইতিমধ্যেই দৈনিক তেল উৎপাদন ১৫ লাখ ব্যারেল থেকে ৬ লাখ ব্যারেলে নেমে এসেছে।
এদিকে গত ৩ নভেম্বর লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে একদল প্রাদেশিক নেতা আজদাবীয়া শহরে আনুষ্ঠানিকভাবে আঞ্চলিক সরকার গঠন করেছেন। গত ১২ জানুয়ারী সির্ত গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন দেশটির ডেপুটি শিল্পমন্ত্রী হাসান আল-দ্রউয়ী। সব মিলিয়ে আফ্রিকার এ মুসলিম দেশটিতে যেভাবে সহিংস বিভক্তি দেখা দিয়েছে, তাতে স্থায়ী গৃহযুদ্ধের এবং কয়েকভাগে বিভক্ত হয়ে যাওয়ার আশংকা ক্রমে ঘনীভূত হচ্ছে।
[কথায় বলে ‘সুখে খেলে ভূতে কিলায়’। ইসলামের শত্রুদের সুড়সুড়িতে ভুলে মুসলমানেরা তাদের নেতাকে হত্যা করেছে। এখন নিজেরা মরছে। আর ফায়েদা লুটছে লুটেরার দল। তাই আল্লাহর বিশেষ রহমত ছাড়া বাঁচার উপায় নেই। অতএব হে লিবিয়াবাসী! তওবা কর (স.স.)]
হিজাবের অনুমতি পেল কানাডার মহিলা পুলিশ
কানাডার অ্যাডামুন্তুন সিটির মুসলিম মহিলা পুলিশ কর্মকর্তাদের ইসলামী শালীন পোশাক বা হিজাব পরার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এরপর থেকে তারা হিজাব পরে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। কুরআন বিষয়ক আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা ‘ইকনা’ জানিয়েছে, এর আগে কানাডার এই শহরের পুলিশ কর্তৃপক্ষ পুলিশ বিভাগে কাজ করতে মুসলিম মহিলাদেরকে উৎসাহিত করার জন্য মুসলিম পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে হিজাব ব্যবহারের অনুমতি দেয়ার বিষয়টি উত্থাপন করেছিল। হিজাব ব্যবহারের বিষয়টি অনুমোদন লাভের পর এখন থেকে যে কোন মুসলিম নারী কোন রকম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছাড়াই ইসলামী শালীন পোশাক পরে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করতে পারবেন। মুসলিম নারীদের হিজাব ব্যবহারের অনুমতি দেয়ার ব্যাপারে কানাডার অ্যাডামুন্তুন সিটির পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অনেক যাচাই-বাছাই করে দেখার পর এটা প্রমাণিত হয়েছে, হিজাব ব্যবহারের কারণে মুসলিম নারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে কোন সমস্যা হবে না এবং কাজেও ব্যাঘাত ঘটবে না। উল্লেখ্য, কানাডার মোট জনসংখ্যার প্রায় তিন শতাংশ হচ্ছে মুসলিম জনগোষ্ঠী।
[মাত্র তিন শতাংশ মুসলিম নাগরিকের জন্য যদি তাদের ধর্মীয় পোষাক স্বীকৃত হয়, তাহ’লে ৯০ শতাংশ মুসলিমের বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুসলিম মেয়েদের হিজাবের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা জারি হয় কেন? যদিও ঐ আদেশ কেউ মানে না। কারণ আল্লাহর আদালতই বড় আদালত। তাই বিচারপতিদের আল্লাহকে ভয় করা উচিত (স.স.)]