ভারতের
বিহার রাজ্যের পানিসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী সঞ্জয় কুমার ঝা ক্ষোভ প্রকাশ করে
বলেছেন, ফারাক্কা বাঁধের ত্রুটিযুক্ত নকশার কারণে বর্ষা মৌসুমে রাজ্যে
বন্যা এবং বছরের বাকি সময় খরার সৃষ্টি হচ্ছে। এই পরিস্থিতির জন্য তিনি
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ফারাক্কার পানিবণ্টন চুক্তিকেও দোষারোপ করেন। গত
১৩ই মার্চ হিন্দুস্থান টাইমস এ খবর প্রকাশ করেছে। এর আগেও বিভিন্ন সময়
বাঁধের ফটকগুলোতে গঙ্গার পলিমাটি জমে বিহারে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির জন্য
ফারাক্কা বাঁধকে দায়ী করা হয়েছে। এক সেমিনারে ঝা বলেন, ফারাক্কা ব্যারেজের
ত্রুটিযুক্ত নকশার ফলে নদীর তলদেশে ভারি পলি জমে যাচ্ছে। ফলে বৃষ্টির সময়
নদীর তীর ধরে সমগ্র অঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। বর্ষার পর বিহারের নদীগুলোর
গঙ্গায় ১৪০০ কিউসেক পানি সরবরাহ করার কথা, অথচ পলি জমা হওয়ার কারণে পানি
প্রবাহিত না হয়ে নদীর বুকে বন্যা ডেকে আনছে। মাত্র ৪০০ কিউসেক পানি গঙ্গায়
প্রবাহিত হচ্ছে।
[‘যে অন্যের জন্য গর্ত খোঁড়ে, সে সেই গর্তে ডুবে মরে’। ভারতের দশাও তাই। ধন্যবাদ বিহার রাজ্যের উক্ত মন্ত্রীকে সত্য কথা বলার জন্য। আমরা ভারতীয় নেতৃবৃন্দের শুভবুদ্ধি কামনা করি (স.স.)]